চৌহালীতে যমুনার ভাঙ্গনে চার বাড়ি বিলিন হুমকিতে তিন ডজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মাহমুদুল হাসান, চৌহালী (সিরাজগঞ্জের)
৩০ এপ্রিল, ২০২৩, 10:01 PM

চৌহালীতে যমুনার ভাঙ্গনে চার বাড়ি বিলিন হুমকিতে তিন ডজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
নদী ভাঙ্গন কবলিত মানুষের আহাজারি কেউ শুনেনা। আর কত বাড়ি ভাঙ্গলে বাধ হবে জানতে চায় নদী পারেন মানুষ। গতকাল শনিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গনে চার বাড়ি বিলিন হয়ে গেছে। হুমকিতে তিন ডজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বহু স্থাপনা।
চৌহালীর মানুষ ভাঙ্গন রোধে আর প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাস বানি আর শুনতে চায়না। নদী পারেন মানুষ টেকসই চায়না বাধ ও স্থায়ীবাধ দেখতে চায়। নদীর তীর রক্ষা বাঁধ স্থায়ীবাঁধ ও ডাম্পিং ব্যবস্থা চলমান না থাকায় প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি, অর্ধশত শিক্ষা অঙ্গন, কবরস্থান, মসজিদ, মাদরাসা, রাস্তা ও ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকীর মুখে পরেছে তিন ডজনেরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ২০টি প্রাইমারি স্কুল, মাধমিক ৫টি, কলেজ ৪টি,দাখিল মাদ্রাসা ৩টি, হাসপাতাল ও বন্যা আশ্রায় কেন্দ্র ২টি, হাট বজার, রাস্তা ঘাট, আবাদী জমি ও প্রকৃতিক জীবকুল সহ বহু স্থাপনা। ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে ঘর, স্কুলের চাল ও আসবাপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে দেখার কেউ নেই স্মার্ট যুগে।
ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন পদক্ষেপ এলাকাবাসীর নজরে না আশায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন এলেই শুরু হয় নানামুখী প্রতিশ্রুতি, ভোট শেষ আশ্বাসবাণীও শেষ হয়ে যায়, এমন প্রতিশ্রুতি আর শুনতে চায়না চৌহালীর মানুষ। তারা স্থায়ী বাধ ও টেকসই চায়না বাঁধ দেখতে চায়। চৌহালীর এক অংশ বাঁধের আওতায় থাকলেও কোন জটিলতায় খাষপুখুরিয়া ও বাঘুটিয়া ইউনিয়ন আসছে না নদীর তীর শাসনের আওতায়। জানা যায় খাষপুখুরিয়া ইউনিয়ন থেকে বাঘুটিয়া ভুতের মোড় পর্যন্ত জিও ব্যাগ ডাম্পিং হচ্ছে না কোন এক অজানা কারণে, বিষয়টি নিয়ে জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হচ্ছে। ভাঙ্গন রোধের আশায় পার ছারেনি বহু পরিবার, তারা আজ নিশ্ব অসহায় সম্বলহীন হয়ে মানুষ বা রাস্তায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এছাড়াও বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। উপজেলার ঐতিহ্য শিক্ষা অঙ্গন ও অবকাঠামো বাচাতে স্থায়ীবাধ বা পার শাসন কাজ দ্রুত দরকার ।
উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলে বালির বস্তা(জিও ব্যাগ) ডাম্পিং এর অভাবে শত শত বসতি তিন ডজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাজার রাস্তা ঘাট আবাদি জমি নদী ভাঙ্গনের শিকার। মিটুয়ানি পাকা সড়ক থেকে বিনানই স্কুল পর্যন্ত ডাম্পিং করায় নদী অনেকটাই শান্ত, ভুতের মোর পর্যন্ত ডাম্পিং এর আওতায় না থাকায় শত শত বসতি স্কুল ফসলি জমি নদী গর্বে বিলীন। স্মার্ট যুগে ভাঙ্গছে নদী কাঁদছে মানুষ।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকার রবিউল ইসলাম ভুট্ট, রাশেদুল মাষ্টার,ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম, শিক্ষক গোলাম মস্তফা জানায়, যমুনায় পানি বাড়ার ও কমার সময় পাল্লা দিয়ে ভাঙ্গে নদী। ধসে পড়েছে অনেক জায়গায়, মুল কারণ অবৈধ ড্রেজার ও ভোলগেট।
জানা যায় সারা বছর এক শ্রেণির অসাধু বালু ব্যাবসায়ী যমুনা নদী থেকে ড্রেজার লাগিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে, সাধারণ মানুষ মনে করে অসময়ে নদী ভাঙার কারণ যত্র তত্র নদী থেকে বালু উত্তোলন । যার কারনে চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ও খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নে রেহাইপুখুরিয়া, চরনাকালিয়া, চরবিনানই, তাতীপারা, চরসলিমাবাদ, ভুতের মোর, মিটুয়ানি, খাষপুখুরিয়া গ্রামে নদী ভাঙ্গন। হুমকির মধ্যে রয়েছে মিটুয়ানি হাইস্কুল, প্রাইমারি, বাজার, মসজিদ, বিনানই বাজার, সরকারি প্রাইমারি, বাঘুটিয়া ইউপি পরিষদ, সম্ভুদিয়া হাই স্কুল, কারিগরি কলেজ, পয়লা হাইস্কুল, মাদরাসা, চৌবাড়িয়া কারিগরি কলেজ, হাইস্কুল, কবরস্থান,ঘরবাড়ি ফসলী জমি ও বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখনো বহু শিক্ষা অঙ্গন বিভিন্ন বাড়িতে পাঠদান চলছে যার বাস্তবচিত্র সরেজমিন।
ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে আসবাপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে ভুক্তভোগিরা। বাড়িঘর হারিয়ে ভাঙ্গন কবলিত মানুষ অনেকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। সহায় সম্বল হারিয়ে নিশ্ব এসব মানুষ ছেলে মেয়ে নিয়ে এক বেলা খেয়ে আরেক বেলা না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে তারা জানান। সরকার বিনা মূল্যে ঘর ও জমি হস্তান্তর করে চলছে ঘরহীন ও ভুমিহীন মানুষকে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ব্যস্ত অথচ ভাল নেই চৌহালী নদী পারের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মানের দাবী জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী কোন সুফল নেই।
এই অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি আমরা অন্য কোন সাহায্য চাই না, আমরা একটা স্থায়ী টেকসই বেড়ীবাঁধ চাই।
এ দিকে ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাধ নির্মানের দাবিতে যারা সাক্ষাৎকার ও আন্দোলন করবে তারাই যমুনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, ড্রেজার, মাটি বহনকারি ট্র্যাক্টর (কাকরা গাড়ি) ভেকু ও নদীতে ভোলগেট এর সাথে জড়িত, প্রশাসন নিরব।
মাহমুদুল হাসান, চৌহালী (সিরাজগঞ্জের)
৩০ এপ্রিল, ২০২৩, 10:01 PM

নদী ভাঙ্গন কবলিত মানুষের আহাজারি কেউ শুনেনা। আর কত বাড়ি ভাঙ্গলে বাধ হবে জানতে চায় নদী পারেন মানুষ। গতকাল শনিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গনে চার বাড়ি বিলিন হয়ে গেছে। হুমকিতে তিন ডজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বহু স্থাপনা।
চৌহালীর মানুষ ভাঙ্গন রোধে আর প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাস বানি আর শুনতে চায়না। নদী পারেন মানুষ টেকসই চায়না বাধ ও স্থায়ীবাধ দেখতে চায়। নদীর তীর রক্ষা বাঁধ স্থায়ীবাঁধ ও ডাম্পিং ব্যবস্থা চলমান না থাকায় প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি, অর্ধশত শিক্ষা অঙ্গন, কবরস্থান, মসজিদ, মাদরাসা, রাস্তা ও ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকীর মুখে পরেছে তিন ডজনেরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ২০টি প্রাইমারি স্কুল, মাধমিক ৫টি, কলেজ ৪টি,দাখিল মাদ্রাসা ৩টি, হাসপাতাল ও বন্যা আশ্রায় কেন্দ্র ২টি, হাট বজার, রাস্তা ঘাট, আবাদী জমি ও প্রকৃতিক জীবকুল সহ বহু স্থাপনা। ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে ঘর, স্কুলের চাল ও আসবাপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে দেখার কেউ নেই স্মার্ট যুগে।
ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন পদক্ষেপ এলাকাবাসীর নজরে না আশায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন এলেই শুরু হয় নানামুখী প্রতিশ্রুতি, ভোট শেষ আশ্বাসবাণীও শেষ হয়ে যায়, এমন প্রতিশ্রুতি আর শুনতে চায়না চৌহালীর মানুষ। তারা স্থায়ী বাধ ও টেকসই চায়না বাঁধ দেখতে চায়। চৌহালীর এক অংশ বাঁধের আওতায় থাকলেও কোন জটিলতায় খাষপুখুরিয়া ও বাঘুটিয়া ইউনিয়ন আসছে না নদীর তীর শাসনের আওতায়। জানা যায় খাষপুখুরিয়া ইউনিয়ন থেকে বাঘুটিয়া ভুতের মোড় পর্যন্ত জিও ব্যাগ ডাম্পিং হচ্ছে না কোন এক অজানা কারণে, বিষয়টি নিয়ে জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হচ্ছে। ভাঙ্গন রোধের আশায় পার ছারেনি বহু পরিবার, তারা আজ নিশ্ব অসহায় সম্বলহীন হয়ে মানুষ বা রাস্তায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এছাড়াও বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। উপজেলার ঐতিহ্য শিক্ষা অঙ্গন ও অবকাঠামো বাচাতে স্থায়ীবাধ বা পার শাসন কাজ দ্রুত দরকার ।
উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলে বালির বস্তা(জিও ব্যাগ) ডাম্পিং এর অভাবে শত শত বসতি তিন ডজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাজার রাস্তা ঘাট আবাদি জমি নদী ভাঙ্গনের শিকার। মিটুয়ানি পাকা সড়ক থেকে বিনানই স্কুল পর্যন্ত ডাম্পিং করায় নদী অনেকটাই শান্ত, ভুতের মোর পর্যন্ত ডাম্পিং এর আওতায় না থাকায় শত শত বসতি স্কুল ফসলি জমি নদী গর্বে বিলীন। স্মার্ট যুগে ভাঙ্গছে নদী কাঁদছে মানুষ।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকার রবিউল ইসলাম ভুট্ট, রাশেদুল মাষ্টার,ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম, শিক্ষক গোলাম মস্তফা জানায়, যমুনায় পানি বাড়ার ও কমার সময় পাল্লা দিয়ে ভাঙ্গে নদী। ধসে পড়েছে অনেক জায়গায়, মুল কারণ অবৈধ ড্রেজার ও ভোলগেট।
জানা যায় সারা বছর এক শ্রেণির অসাধু বালু ব্যাবসায়ী যমুনা নদী থেকে ড্রেজার লাগিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে, সাধারণ মানুষ মনে করে অসময়ে নদী ভাঙার কারণ যত্র তত্র নদী থেকে বালু উত্তোলন । যার কারনে চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ও খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নে রেহাইপুখুরিয়া, চরনাকালিয়া, চরবিনানই, তাতীপারা, চরসলিমাবাদ, ভুতের মোর, মিটুয়ানি, খাষপুখুরিয়া গ্রামে নদী ভাঙ্গন। হুমকির মধ্যে রয়েছে মিটুয়ানি হাইস্কুল, প্রাইমারি, বাজার, মসজিদ, বিনানই বাজার, সরকারি প্রাইমারি, বাঘুটিয়া ইউপি পরিষদ, সম্ভুদিয়া হাই স্কুল, কারিগরি কলেজ, পয়লা হাইস্কুল, মাদরাসা, চৌবাড়িয়া কারিগরি কলেজ, হাইস্কুল, কবরস্থান,ঘরবাড়ি ফসলী জমি ও বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখনো বহু শিক্ষা অঙ্গন বিভিন্ন বাড়িতে পাঠদান চলছে যার বাস্তবচিত্র সরেজমিন।
ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে আসবাপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে ভুক্তভোগিরা। বাড়িঘর হারিয়ে ভাঙ্গন কবলিত মানুষ অনেকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। সহায় সম্বল হারিয়ে নিশ্ব এসব মানুষ ছেলে মেয়ে নিয়ে এক বেলা খেয়ে আরেক বেলা না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে তারা জানান। সরকার বিনা মূল্যে ঘর ও জমি হস্তান্তর করে চলছে ঘরহীন ও ভুমিহীন মানুষকে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ব্যস্ত অথচ ভাল নেই চৌহালী নদী পারের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মানের দাবী জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী কোন সুফল নেই।
এই অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি আমরা অন্য কোন সাহায্য চাই না, আমরা একটা স্থায়ী টেকসই বেড়ীবাঁধ চাই।
এ দিকে ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাধ নির্মানের দাবিতে যারা সাক্ষাৎকার ও আন্দোলন করবে তারাই যমুনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, ড্রেজার, মাটি বহনকারি ট্র্যাক্টর (কাকরা গাড়ি) ভেকু ও নদীতে ভোলগেট এর সাথে জড়িত, প্রশাসন নিরব।