বাজার মনিটরিং ও বিকল্পকে গুরুত্ব দিয়ে পলিথিন বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার
নাগরিক নিউজ ডেস্ক
১৭ নভেম্বর, ২০২৪, 10:38 PM
বাজার মনিটরিং ও বিকল্পকে গুরুত্ব দিয়ে পলিথিন বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার
পলিথিন বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার। পরিবেশের জন্য পলিথিন মারাত্মক ক্ষতিকর। পলিথি বন্ধে চলতি মাসের প্রথম দিন থেকেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে সারাদেশের বাজার ও কারখানাগুলোতে অভিযান চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারোর কাছে ওই জাতীয় ব্যাগ পাওয়া গেলে শাস্তির আওতায় আনা হবে। কিন্তু সরকারের এমন অবস্থানেও দেশে দেদার পলিথিন তৈরি হচ্ছে। যদিও পলিথিন বন্ধে সরকারের বিকল্প ব্যবস্থাসহ নানা বিষয়ে প্রস্ততির ঘাটতি রয়েছে।
তবে ২০০২ সালে সরকার আইন করে সাধারণ পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু দুই দশকেও আইনটির বাস্তবায়ন হয়নি। বরং পলিথিনের অতি ব্যবহারের কারণে বিপর্যয়ের মুখে পরিবেশ। হুমকির মুখে প্রাণ-প্রকৃতি। নালায় পলিথিনের স্তূপ আটকে থাকার কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় মানুষকে নিয়মিত জলাবদ্ধতায় ভুগতে হচ্ছে।
তবে বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকার আইনটি বাস্তবায়নে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর অংশ হিসেবে গত ১ অক্টোবর সুপারশপে ওই জাতীয় ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। আর ১ নভেম্বর থেকে অন্যান্য বাজারেও পলিথিন নিষিদ্ধের আইন কার্যকর করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় পলিথিন বন্ধে অভিযান দেখভাল করার জন্য ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করেছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশে প্রায় তিন হাজার কারখানায় প্লাস্টিক ও পলিথিন তৈরি হয়। ওসব প্রতিষ্ঠানে দিনে ১ কোটি ৪০ লাখ ব্যাগ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে রাজধানীর পুরান ঢাকায় সবচেয়ে বেশি কারখানা রয়েছে। সেখানে অলিগলির বিভিন্ন বাসার নিচ তলায় পলিথিনের কারখানায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। কেউ রাখঢাকও করছে না। তবে কোনো কারখানার সামনে সাইনবোর্ড নেই। ওসব কারখানায় দিনরাত চলে পলিথিন তৈরির কাজ। পাশাপাশি ওসব এলাকায় পলিথিন তৈরির সরঞ্জাম বিক্রির জন্যও রয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্যাকেজিং, রোল ম্যানুফ্যাকচারার্স ওনার্স অ্যান্ড ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় দেড় শতাধিক দোকান থাকলেও চকবাজারের পেয়ারা মার্কেট, লুতফর নাহার ম্যানশন, আবুল হোসেন মার্কেট, মৌলভীবাজার মাংসপট্টি মসজিদ গলি, সালাম মার্কেট, মাওলানা মার্কেট, শামসুদ্দিন প্লাজা ও এসরার ম্যানশনে তিন শতাধিক পাইকারি দোকানে নিষিদ্ধ পলিথিনের প্রকাশ্যে বেচাকেনা চলছে। ঢাকার পলিথিন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে করে একাধিক প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। বাজারজাতকরণে রয়েছে ‘পরিবহন সিন্ডিকেট’। ওই সিন্ডিকেট ‘জরুরি রপ্তানি কাজে নিয়োজিত’ ট্রাকে করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিষাক্ত পলিথিন পৌঁছে দেয়। বর্তমানে রপ্তানিযোগ্য কিছু পণ্য, প্যাকেজিং, নার্সারির চারা, রেণু পোনা পরিবহন ও মাশরুম চাষের জন্য পলিথিন উৎপাদনের ছাড়পত্র নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা পলিথিন ব্যাগ তৈরি করছে। মাঝে মধ্যে প্রশাসন অভিযান চালায়। তখন তাদের ম্যানেজ করা হয়।
তাছাড়া কারখানাভেদে নিয়মিত টাকা দিতে হয়। ছোট মেশিনের জন্য সাড়ে ৪ হাজার আর বড় মেশিনের জন্য দিতে হয় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। আবার যেসব কারখানায় শ্রমিক বেশি, তাদের জন্য আরেক রেট। সূত্র আরো জানায়, পলিথিনের ব্যাগের বিকল্প ব্যবস্থার জন্য সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন ছাড়াও ২০টি প্রতিষ্ঠান বিকল্প ব্যাগের জোগান বাড়াতে কাজ করছে। মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্টদের মতে, বিকল্প ব্যাগের কোনো ঘাটতি হবে না। ইতোমধ্যে বিভিন্ন কাঁচাবাজারে প্রচার অভিযান চালিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হয়েছে, বিতরণ করা হয়েছে বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ।
বিকল্প হিসেবে ভিন্নধর্মী ও সৃজনশীল উদ্যোগ যেমন পাটের কাপড়ের ব্যাগ, মোমের আবরণ দেয়া কাগজ, মোটা ব্রাউন পেপার, টিনের ঝুড়ির কথা বলা হয়েছে। তাছাড়া পাট থেকে ‘সেলুলোজ’ সংগ্রহ করে তা দিয়ে সবুজ ব্যাগ তথা পরিবেশবান্ধব ব্যাগ তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। এটি দেখতে সাধারণ পলিথিনের মতো হলেও পচনশীল। আর তা বাজারজাত করতে ২০১৮ সালে পাইলট প্রকল্প নেয়া হলেও এখনও তা বাজারে আসেনি।
এদিকে পলিথিন উৎপাদনকারীরা বলছেন, পলিথিন উৎপাদন বন্ধ করা হলে এ ব্যবসায় জড়িত লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। নিম্ন আয়ের অসংখ্য মানুষকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে। তাছাড়া আকস্মিক কারখানা বন্ধ হলে কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের সংসার চলবে কীভাবে। এছাড়া কারখানায় মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে।
পলিথিন নিষিদ্ধ হলে ওসব মেশিনারিজের কী হবে সরকারের তাও ভাবা উচিত। এ খাতে হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। আর উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণনের সঙ্গে কয়েক লাখ শ্রমিক-কর্মচারীর জীবিকা জড়িত। কোনো ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা না করে পলিথিন কারখানা বন্ধ করে দেয়া হলে শ্রমিক-কর্মচারীদের পাশাপাশি মালিকরাও পথে বসবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধন-২০০২) অনুযায়ী, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে সরকার পলিথিন ব্যাগ বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। আইনে পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সর্বনিম্ন শাস্তি ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ৬ মাস সশ্রম কারাদণ্ড এবং পলিথিন ব্যবহারকারীকে তাৎক্ষণিকভাবে ৫০০ টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে।
এ ব্যাপারে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়া হাসান বাজার মনিটরিং ও বিকল্পকে গুরুত্ব দিয়ে জানান, আগেও পলিথিন বন্ধের উদ্যোগ অনেকখানি সফল হয়েছিল শুধু বাজার মনিটরিংয়ের কারণে। পলিথিনের বিকল্প নিয়েও কাজ চলছে। তবে বাংলাদেশে সব সময়ই পলিথিনের সুস্পষ্ট বিকল্প ছিল। এখন পাট, কাপড় ও কাগজকে বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে।
নাগরিক নিউজ ডেস্ক
১৭ নভেম্বর, ২০২৪, 10:38 PM
পলিথিন বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার। পরিবেশের জন্য পলিথিন মারাত্মক ক্ষতিকর। পলিথি বন্ধে চলতি মাসের প্রথম দিন থেকেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে সারাদেশের বাজার ও কারখানাগুলোতে অভিযান চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারোর কাছে ওই জাতীয় ব্যাগ পাওয়া গেলে শাস্তির আওতায় আনা হবে। কিন্তু সরকারের এমন অবস্থানেও দেশে দেদার পলিথিন তৈরি হচ্ছে। যদিও পলিথিন বন্ধে সরকারের বিকল্প ব্যবস্থাসহ নানা বিষয়ে প্রস্ততির ঘাটতি রয়েছে।
তবে ২০০২ সালে সরকার আইন করে সাধারণ পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু দুই দশকেও আইনটির বাস্তবায়ন হয়নি। বরং পলিথিনের অতি ব্যবহারের কারণে বিপর্যয়ের মুখে পরিবেশ। হুমকির মুখে প্রাণ-প্রকৃতি। নালায় পলিথিনের স্তূপ আটকে থাকার কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় মানুষকে নিয়মিত জলাবদ্ধতায় ভুগতে হচ্ছে।
তবে বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকার আইনটি বাস্তবায়নে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর অংশ হিসেবে গত ১ অক্টোবর সুপারশপে ওই জাতীয় ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। আর ১ নভেম্বর থেকে অন্যান্য বাজারেও পলিথিন নিষিদ্ধের আইন কার্যকর করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় পলিথিন বন্ধে অভিযান দেখভাল করার জন্য ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করেছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশে প্রায় তিন হাজার কারখানায় প্লাস্টিক ও পলিথিন তৈরি হয়। ওসব প্রতিষ্ঠানে দিনে ১ কোটি ৪০ লাখ ব্যাগ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে রাজধানীর পুরান ঢাকায় সবচেয়ে বেশি কারখানা রয়েছে। সেখানে অলিগলির বিভিন্ন বাসার নিচ তলায় পলিথিনের কারখানায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। কেউ রাখঢাকও করছে না। তবে কোনো কারখানার সামনে সাইনবোর্ড নেই। ওসব কারখানায় দিনরাত চলে পলিথিন তৈরির কাজ। পাশাপাশি ওসব এলাকায় পলিথিন তৈরির সরঞ্জাম বিক্রির জন্যও রয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্যাকেজিং, রোল ম্যানুফ্যাকচারার্স ওনার্স অ্যান্ড ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় দেড় শতাধিক দোকান থাকলেও চকবাজারের পেয়ারা মার্কেট, লুতফর নাহার ম্যানশন, আবুল হোসেন মার্কেট, মৌলভীবাজার মাংসপট্টি মসজিদ গলি, সালাম মার্কেট, মাওলানা মার্কেট, শামসুদ্দিন প্লাজা ও এসরার ম্যানশনে তিন শতাধিক পাইকারি দোকানে নিষিদ্ধ পলিথিনের প্রকাশ্যে বেচাকেনা চলছে। ঢাকার পলিথিন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে করে একাধিক প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। বাজারজাতকরণে রয়েছে ‘পরিবহন সিন্ডিকেট’। ওই সিন্ডিকেট ‘জরুরি রপ্তানি কাজে নিয়োজিত’ ট্রাকে করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিষাক্ত পলিথিন পৌঁছে দেয়। বর্তমানে রপ্তানিযোগ্য কিছু পণ্য, প্যাকেজিং, নার্সারির চারা, রেণু পোনা পরিবহন ও মাশরুম চাষের জন্য পলিথিন উৎপাদনের ছাড়পত্র নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা পলিথিন ব্যাগ তৈরি করছে। মাঝে মধ্যে প্রশাসন অভিযান চালায়। তখন তাদের ম্যানেজ করা হয়।
তাছাড়া কারখানাভেদে নিয়মিত টাকা দিতে হয়। ছোট মেশিনের জন্য সাড়ে ৪ হাজার আর বড় মেশিনের জন্য দিতে হয় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। আবার যেসব কারখানায় শ্রমিক বেশি, তাদের জন্য আরেক রেট। সূত্র আরো জানায়, পলিথিনের ব্যাগের বিকল্প ব্যবস্থার জন্য সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন ছাড়াও ২০টি প্রতিষ্ঠান বিকল্প ব্যাগের জোগান বাড়াতে কাজ করছে। মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্টদের মতে, বিকল্প ব্যাগের কোনো ঘাটতি হবে না। ইতোমধ্যে বিভিন্ন কাঁচাবাজারে প্রচার অভিযান চালিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হয়েছে, বিতরণ করা হয়েছে বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ।
বিকল্প হিসেবে ভিন্নধর্মী ও সৃজনশীল উদ্যোগ যেমন পাটের কাপড়ের ব্যাগ, মোমের আবরণ দেয়া কাগজ, মোটা ব্রাউন পেপার, টিনের ঝুড়ির কথা বলা হয়েছে। তাছাড়া পাট থেকে ‘সেলুলোজ’ সংগ্রহ করে তা দিয়ে সবুজ ব্যাগ তথা পরিবেশবান্ধব ব্যাগ তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। এটি দেখতে সাধারণ পলিথিনের মতো হলেও পচনশীল। আর তা বাজারজাত করতে ২০১৮ সালে পাইলট প্রকল্প নেয়া হলেও এখনও তা বাজারে আসেনি।
এদিকে পলিথিন উৎপাদনকারীরা বলছেন, পলিথিন উৎপাদন বন্ধ করা হলে এ ব্যবসায় জড়িত লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। নিম্ন আয়ের অসংখ্য মানুষকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে। তাছাড়া আকস্মিক কারখানা বন্ধ হলে কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের সংসার চলবে কীভাবে। এছাড়া কারখানায় মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে।
পলিথিন নিষিদ্ধ হলে ওসব মেশিনারিজের কী হবে সরকারের তাও ভাবা উচিত। এ খাতে হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। আর উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণনের সঙ্গে কয়েক লাখ শ্রমিক-কর্মচারীর জীবিকা জড়িত। কোনো ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা না করে পলিথিন কারখানা বন্ধ করে দেয়া হলে শ্রমিক-কর্মচারীদের পাশাপাশি মালিকরাও পথে বসবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধন-২০০২) অনুযায়ী, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে সরকার পলিথিন ব্যাগ বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। আইনে পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সর্বনিম্ন শাস্তি ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ৬ মাস সশ্রম কারাদণ্ড এবং পলিথিন ব্যবহারকারীকে তাৎক্ষণিকভাবে ৫০০ টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে।
এ ব্যাপারে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়া হাসান বাজার মনিটরিং ও বিকল্পকে গুরুত্ব দিয়ে জানান, আগেও পলিথিন বন্ধের উদ্যোগ অনেকখানি সফল হয়েছিল শুধু বাজার মনিটরিংয়ের কারণে। পলিথিনের বিকল্প নিয়েও কাজ চলছে। তবে বাংলাদেশে সব সময়ই পলিথিনের সুস্পষ্ট বিকল্প ছিল। এখন পাট, কাপড় ও কাগজকে বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে।