অভয়নগরে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত  মৌচাষিরা

#
news image

যশোরের অভয়নগরের মাঠে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌচাষিরা এবছর সরিষা আবাদ বাড়াই মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলছেন কৃষি বিভাগ। 

অভয়নগরের বিভিন্ন মাঠঘাট  এখন হলুদ রঙে মাতোয়ারা। যত দূর চোখ যায় হলুদ আর হলুদ। দেখলেই মন ভরে যায়। আর হলুদ ফুলে সুশোভিত মাঠে পাখা মেলেছে মৌমাছি-ভ্রমর। তাদের গুঞ্জনে কৃষকের মনও আনন্দিত। 

অভয়নগরে সরিষা ফুলকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের মতো এবারও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মধু সংগ্রহের জন্য এসেছেন মধুচাষিরা। তারা মধু সংগ্রহের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। মৌমাছির বাক্স স্থাপন করে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায় , সরিষা খেতে মধু উৎপাদন যত বেশি হবে মৌমাছির দ্বারা ফুলে ফুলে পরাগায়ন তত বেশি ঘটবে। ফলে সরিষার উৎপাদনও বাড়বে।  উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের পুড়াখালী  গ্রামে সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে এসেছেন মৌচাষি সামিমুল আক্তার  । ২৮ বক্সে ২০০টির অধিক চাক আছে তার, সপ্তাহে দুই মন মতে মধুপান তিনি।

বক্সের ভেতরে কাঠের তৈরি ফ্রেমের সঙ্গে মোম দিয়ে বানানো এক ধরনের সিট বিশেষ কায়দায় লাগানো থাকে। পরে বাক্সগুলো সরিষা ক্ষেতের পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়। পাশাপাশি বাক্সগুলোর ভেতরে দেওয়া হয় রানি মৌমাছি।

যাকে ঘিরে আনাগোনা করে হাজারো পুরুষ মৌমাছি। রানির আকর্ষণে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছিরা। একটি রানি মৌমাছির বিপরীতে প্রায় তিন হাজারের মতো পুরুষ মৌমাছি থাকে একেকটি বাক্সে।

সামিউল আক্তার বলেন অন্যান্য বছরের মতো এবার মধু কম হচ্ছে, তবে এখনও যে ফুল আছে আল্লাহ দিলে বেশ কিছু মধু পাওয়া যাবে। উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন বলেন, সরিষার আবাদ যেহেতু বেশি হয়েছে, সেহেতু মধুও যথেষ্ট পাওয়া যাবে বলে আসা করা যায়। এছাড়াও মধু সংগ্রহের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করেছেন বলে জানান। অনেককেই  মাঠ থেকে মুধু ক্রয় করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

এছাড়াও অনেক পাইকারী ভাবে মধু সংগ্রহ করছেন। এলাকার আব্দুস সাত্তার নামে ভ্রম্যমান মধু ব্যবসায়ী বলেন,প্রতি বছর  এলাকার  মৌচাষি জসিমউদদীনের নিকট থেকে মধু পাইকারি কিনে ভ্যান গাড়িতে করে বিক্রয় করি, গ্রাম ও শহরের মানুষ খুবই আগ্রহভরে ক্রয় করে থাকে,তাতে বেশ লাভবান হয়।

মোঃ ইবাদৎ হোসেন, অভয়নগর (যশোর)

২০ ডিসেম্বর, ২০২৩,  9:17 PM

news image

যশোরের অভয়নগরের মাঠে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌচাষিরা এবছর সরিষা আবাদ বাড়াই মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলছেন কৃষি বিভাগ। 

অভয়নগরের বিভিন্ন মাঠঘাট  এখন হলুদ রঙে মাতোয়ারা। যত দূর চোখ যায় হলুদ আর হলুদ। দেখলেই মন ভরে যায়। আর হলুদ ফুলে সুশোভিত মাঠে পাখা মেলেছে মৌমাছি-ভ্রমর। তাদের গুঞ্জনে কৃষকের মনও আনন্দিত। 

অভয়নগরে সরিষা ফুলকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের মতো এবারও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মধু সংগ্রহের জন্য এসেছেন মধুচাষিরা। তারা মধু সংগ্রহের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। মৌমাছির বাক্স স্থাপন করে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায় , সরিষা খেতে মধু উৎপাদন যত বেশি হবে মৌমাছির দ্বারা ফুলে ফুলে পরাগায়ন তত বেশি ঘটবে। ফলে সরিষার উৎপাদনও বাড়বে।  উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের পুড়াখালী  গ্রামে সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে এসেছেন মৌচাষি সামিমুল আক্তার  । ২৮ বক্সে ২০০টির অধিক চাক আছে তার, সপ্তাহে দুই মন মতে মধুপান তিনি।

বক্সের ভেতরে কাঠের তৈরি ফ্রেমের সঙ্গে মোম দিয়ে বানানো এক ধরনের সিট বিশেষ কায়দায় লাগানো থাকে। পরে বাক্সগুলো সরিষা ক্ষেতের পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়। পাশাপাশি বাক্সগুলোর ভেতরে দেওয়া হয় রানি মৌমাছি।

যাকে ঘিরে আনাগোনা করে হাজারো পুরুষ মৌমাছি। রানির আকর্ষণে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছিরা। একটি রানি মৌমাছির বিপরীতে প্রায় তিন হাজারের মতো পুরুষ মৌমাছি থাকে একেকটি বাক্সে।

সামিউল আক্তার বলেন অন্যান্য বছরের মতো এবার মধু কম হচ্ছে, তবে এখনও যে ফুল আছে আল্লাহ দিলে বেশ কিছু মধু পাওয়া যাবে। উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন বলেন, সরিষার আবাদ যেহেতু বেশি হয়েছে, সেহেতু মধুও যথেষ্ট পাওয়া যাবে বলে আসা করা যায়। এছাড়াও মধু সংগ্রহের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করেছেন বলে জানান। অনেককেই  মাঠ থেকে মুধু ক্রয় করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

এছাড়াও অনেক পাইকারী ভাবে মধু সংগ্রহ করছেন। এলাকার আব্দুস সাত্তার নামে ভ্রম্যমান মধু ব্যবসায়ী বলেন,প্রতি বছর  এলাকার  মৌচাষি জসিমউদদীনের নিকট থেকে মধু পাইকারি কিনে ভ্যান গাড়িতে করে বিক্রয় করি, গ্রাম ও শহরের মানুষ খুবই আগ্রহভরে ক্রয় করে থাকে,তাতে বেশ লাভবান হয়।