প্রতি জিবি মোবাইল ইন্টারনেটের দাম বেড়েছে ২০ টাকা

#
news image

চলতি বছরে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম প্রতি জিবিতে গড়ে ২০ টাকা বাড়িয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলো। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের ইন্টারনেটের দাম প্রতি জিবিতে বেড়েছে ২১ টাকা। আর রবি ও বাংলালিংকের দাম বেড়েছে জিবিপ্রতি ২০ টাকা। এতে এ তিন কোম্পানির সিম দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের খরচ ৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটকের ইন্টারনেটের দাম। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য ও মোবাইল অপারেটরগুলোর দাম মিলিয়ে দেখেও দাম বাড়ানোর এ প্রবণতার সত্যতা মিলেছে।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে ৩ থেকে ১৫ দিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ বন্ধ করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। একই সঙ্গে ইন্টারনেট প্যাকেজের সংখ্যা ৯৫ থেকে কমিয়ে ৪০টিতে নামিয়ে আনা হয়। এর ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারে ১০ থেকে ১৫ টাকা খরচ বাড়ে গ্রাহকদের। তারপর নির্বাচনের আগে ৬৮ টাকায় দেড় জিবি ইন্টারনেট দেয় অপারেটরগুলো। কিন্তু গত ১৫ দিন আগে ৬৮ টাকায় এক জিবি ইন্টারনেট পাচ্ছেন গ্রাহকরা। অন্যদিকে আগে ৪৮ টাকায় এক জিবি ইন্টারনেট পেতেন গ্রাহকরা। এ প্যাকেজের দাম জাতীয় নির্বাচনের আগে বাড়িয়ে ৬৮-৬৯ টাকা করা হয়। গ্রাহকরা এর প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। তখন তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার কমিশনে অপারেটরগুলোর প্রতিনিধিদের ডেকে আগের দাম বহাল রাখতে নির্দেশনা দেন।

বাধ্য হয়ে অপারেটরগগুলো এক জিবি সাত দিন মেয়াদে দাম নির্ধারণ করে ৪৮ টাকা। এতে গ্রাহকদের মধ্যে স্বস্তি ফেরে। কিন্তু নভেম্বরে অপারেটররা দেড় জিবি ইন্টারনেটের প্যাকেজ তৈরি করে ৬৮-৬৯ টাকায়। এর মাধ্যমে তারা গ্রাহকদের অতিরিক্ত সুবিধা দেয়ার নামে দাম বাড়ায়। নির্বাচনের পর (২০ জানুয়ারির পর থেকে) দেড় জিবির স্থলের ইন্টারনেট প্যাকেজ এক জিবির দাম একই রাখে, অর্থাৎ এক জিবি ইন্টারনেটের দাম ৬৮-৬৯ টাকা নেয়া হয়। বর্তমানেও ৭ দিন মেয়াদের এক জিবি ইন্টারনেট কিনতে গ্রাহককে গুনতে হচ্ছে ৬৮ থেকে ৬৯ টাকা। ফলে সর্বনিম্ন প্যাকেজের প্রতি জিবির ইন্টারনেটের দামও ২০-২১ টাকা বেড়েছে।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এভাবে ইন্টারনেটের দাম বাড়ানোয় গ্রাহকের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। গ্রাহক সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। আগামীতে আরও কমবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। কেন অপারেটররা ইন্টারনেটের দাম বাড়াল, তার সঠিক ব্যাখ্যা কমিশনের নেয়া উচিত। বিটিআরসির তথ্যমতে, গত বছরের ডিসেম্বরে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৮৪ লাখ। নতুন বছরের জানুয়ারিতে সেই সংখ্যা কমে হয় ১১ কোটি ৬৩ লাখ। এরপর ফেব্রুয়ারি মাস পার হলেও এখনো এ মাসের ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা প্রকাশ করেনি বিটিআরসি।

মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিটিআরসির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি নন বলে জানান। এ নিয়ে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন দুজন কর্মকর্তা।

নাগরিক প্রতিবেদন

১৯ মার্চ, ২০২৪,  3:40 PM

news image

চলতি বছরে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম প্রতি জিবিতে গড়ে ২০ টাকা বাড়িয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলো। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের ইন্টারনেটের দাম প্রতি জিবিতে বেড়েছে ২১ টাকা। আর রবি ও বাংলালিংকের দাম বেড়েছে জিবিপ্রতি ২০ টাকা। এতে এ তিন কোম্পানির সিম দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের খরচ ৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটকের ইন্টারনেটের দাম। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য ও মোবাইল অপারেটরগুলোর দাম মিলিয়ে দেখেও দাম বাড়ানোর এ প্রবণতার সত্যতা মিলেছে।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে ৩ থেকে ১৫ দিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ বন্ধ করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। একই সঙ্গে ইন্টারনেট প্যাকেজের সংখ্যা ৯৫ থেকে কমিয়ে ৪০টিতে নামিয়ে আনা হয়। এর ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারে ১০ থেকে ১৫ টাকা খরচ বাড়ে গ্রাহকদের। তারপর নির্বাচনের আগে ৬৮ টাকায় দেড় জিবি ইন্টারনেট দেয় অপারেটরগুলো। কিন্তু গত ১৫ দিন আগে ৬৮ টাকায় এক জিবি ইন্টারনেট পাচ্ছেন গ্রাহকরা। অন্যদিকে আগে ৪৮ টাকায় এক জিবি ইন্টারনেট পেতেন গ্রাহকরা। এ প্যাকেজের দাম জাতীয় নির্বাচনের আগে বাড়িয়ে ৬৮-৬৯ টাকা করা হয়। গ্রাহকরা এর প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। তখন তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার কমিশনে অপারেটরগুলোর প্রতিনিধিদের ডেকে আগের দাম বহাল রাখতে নির্দেশনা দেন।

বাধ্য হয়ে অপারেটরগগুলো এক জিবি সাত দিন মেয়াদে দাম নির্ধারণ করে ৪৮ টাকা। এতে গ্রাহকদের মধ্যে স্বস্তি ফেরে। কিন্তু নভেম্বরে অপারেটররা দেড় জিবি ইন্টারনেটের প্যাকেজ তৈরি করে ৬৮-৬৯ টাকায়। এর মাধ্যমে তারা গ্রাহকদের অতিরিক্ত সুবিধা দেয়ার নামে দাম বাড়ায়। নির্বাচনের পর (২০ জানুয়ারির পর থেকে) দেড় জিবির স্থলের ইন্টারনেট প্যাকেজ এক জিবির দাম একই রাখে, অর্থাৎ এক জিবি ইন্টারনেটের দাম ৬৮-৬৯ টাকা নেয়া হয়। বর্তমানেও ৭ দিন মেয়াদের এক জিবি ইন্টারনেট কিনতে গ্রাহককে গুনতে হচ্ছে ৬৮ থেকে ৬৯ টাকা। ফলে সর্বনিম্ন প্যাকেজের প্রতি জিবির ইন্টারনেটের দামও ২০-২১ টাকা বেড়েছে।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এভাবে ইন্টারনেটের দাম বাড়ানোয় গ্রাহকের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। গ্রাহক সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। আগামীতে আরও কমবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। কেন অপারেটররা ইন্টারনেটের দাম বাড়াল, তার সঠিক ব্যাখ্যা কমিশনের নেয়া উচিত। বিটিআরসির তথ্যমতে, গত বছরের ডিসেম্বরে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৮৪ লাখ। নতুন বছরের জানুয়ারিতে সেই সংখ্যা কমে হয় ১১ কোটি ৬৩ লাখ। এরপর ফেব্রুয়ারি মাস পার হলেও এখনো এ মাসের ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা প্রকাশ করেনি বিটিআরসি।

মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিটিআরসির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি নন বলে জানান। এ নিয়ে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন দুজন কর্মকর্তা।