দেশে প্রথম ফাইবারগ্লাস টাওয়ার স্থাপন করতে যাচ্ছে ইডটকো ও হুয়াওয়ে
নাগরিক প্রতিবেদন
০৭ মার্চ, ২০২৪, 7:43 PM
দেশে প্রথম ফাইবারগ্লাস টাওয়ার স্থাপন করতে যাচ্ছে ইডটকো ও হুয়াওয়ে
পরিবেশ-বান্ধব ফাইবারগ্লাস রিইনফোর্সড প্লাস্টিক (এফআরপি) দিয়ে তৈরি উন্নত টেলিকমিউনিকেশন টাওয়ার চালু করতে যাচ্ছে ইডটকো বাংলাদেশ ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। এ উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। গত সপ্তাহে স্পেনের বার্সেলোনায় আয়োজিত ‘মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে’ (এমডব্লিউসি) এই এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির বাস্তবায়ন হলে, ইডটকো বাংলাদেশ হবে দেশের প্রথম টাওয়ার কোম্পানি যারা মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের ফাইবারগ্লাস টাওয়ার সমাধান প্রদান করবে। এক্ষেত্রে এফআরপি টাওয়ার তৈরিতে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে টেকনোলজি পার্টনার হিসেবে ইডটকো টিমের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে হুয়াওয়ে।
নতুন এই এফআরপি সল্যুশন্স টাওয়ারের ওজন কমাবে ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত এবং ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত নির্মাণ দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। ফলে এটি হবে দেশের জনবহুল এলাকাগুলোর রুফটপ সাইটের জন্য একটি আদর্শ সমাধান। এই টাওয়ারগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে এতে রেডিও তরঙ্গ প্রতিফলিত না হয়। তাই এটি দক্ষ মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশন নিশ্চিত করে। এর স্থায়িত্ব কোনো রকম ক্ষতি ছাড়াই হাই ভোল্টেজ সহ্য করার সক্ষমতা প্রদান করে। তাছাড়া, এগুলো ইনস্টল এবং পরিবহন করাও সহজ। এ কারণে আরও দক্ষতার সঙ্গে নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। এর পরিবেশ-বান্ধব ফিচার কম কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ নিশ্চিত করে এবং ঘন-ঘন রঙ করার প্রয়োজনীয়তাও হ্রাস করে। এই অনন্য টেলিকম অবকাঠামোর মাধ্যমে বাংলাদেশের উদীয়মান টাওয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে আরও অবদান রাখা সম্ভব।
ইডটকো ও হুয়াওয়ে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) সুনীল আইজ্যাক। তাঁর মতে, “আমাদের এই অংশীদারিত্ব হলো বাংলাদেশের সমৃদ্ধিশীল টেলিকম অবকাঠামো উন্নত করার ক্ষেত্রে একটি অসাধারণ সুযোগের উপস্থাপন। আমাদের টেকসই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এই চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যত গঠনে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উন্নত টেকসই অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত রাখার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাব। আমরা আশাবাদী যে, হুয়াওয়ে’র সঙ্গে আমাদের এই অংশীদারিত্ব অন্যদেরও এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করবে এবং সম্মিলিতভাবে দেশের শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধিতে আরও বেশি অবদান রাখবে।”
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট হুয়ে বলেন, “বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় প্রবৃদ্ধিতে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে ইডটকো ও হুয়াওয়ে। এবং আমদের নতুন এই যৌথ পদক্ষেপ প্রতিশ্রুতিরই আরও একটি প্রমাণ। সাইটের সুযোগ-সুবিধার সহজলভ্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি টাওয়ার অবকাঠামো শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আমরা একসাথে কাজ করব। আমি বিশ্বাস করি হুয়াওয়ে’র যুগান্তকারী উদ্ভাবনসমূহ এবং ইডটকো’র দক্ষতার সমন্বয়ে আমরা একটি টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাব।”
মালয়েশিয়া-ভিত্তিক বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম টেলিকম টাওয়ার অবকাঠামো কোম্পানি ইডটকো গ্রুপ। এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইডটকো বাংলাদেশ টেকসই অবকাঠামোর তৈরির মাধ্যমে একটি টেকসই পৃথিবী গড়তে ইডটকো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর তাই ব্যাম্বু টাওয়ার, হাইব্রিড সোলার-উইন্ড টাওয়ার, স্পান প্রিস্ট্রেসড কংক্রিট টাওয়ার এবং স্মার্ট পোল স্ট্রিট ফার্নিচারের মতো বিভিন্ন উদ্ভাবনী ও পরিবেশ-বান্ধব সমাধানের এর মধ্যেই নিয়ে এসেছে। এছাড়াও দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে ইডটকো ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে এসডিজি অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এবংএকইসঙ্গে টেকসই যাত্রার অগ্রগতির বিষয়ে স্বচ্ছতা রক্ষার্থে অঙ্গীকারবদ্ধ প্রতিষ্ঠানটি।
নাগরিক প্রতিবেদন
০৭ মার্চ, ২০২৪, 7:43 PM
পরিবেশ-বান্ধব ফাইবারগ্লাস রিইনফোর্সড প্লাস্টিক (এফআরপি) দিয়ে তৈরি উন্নত টেলিকমিউনিকেশন টাওয়ার চালু করতে যাচ্ছে ইডটকো বাংলাদেশ ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। এ উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। গত সপ্তাহে স্পেনের বার্সেলোনায় আয়োজিত ‘মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে’ (এমডব্লিউসি) এই এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির বাস্তবায়ন হলে, ইডটকো বাংলাদেশ হবে দেশের প্রথম টাওয়ার কোম্পানি যারা মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের ফাইবারগ্লাস টাওয়ার সমাধান প্রদান করবে। এক্ষেত্রে এফআরপি টাওয়ার তৈরিতে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে টেকনোলজি পার্টনার হিসেবে ইডটকো টিমের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে হুয়াওয়ে।
নতুন এই এফআরপি সল্যুশন্স টাওয়ারের ওজন কমাবে ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত এবং ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত নির্মাণ দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। ফলে এটি হবে দেশের জনবহুল এলাকাগুলোর রুফটপ সাইটের জন্য একটি আদর্শ সমাধান। এই টাওয়ারগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে এতে রেডিও তরঙ্গ প্রতিফলিত না হয়। তাই এটি দক্ষ মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশন নিশ্চিত করে। এর স্থায়িত্ব কোনো রকম ক্ষতি ছাড়াই হাই ভোল্টেজ সহ্য করার সক্ষমতা প্রদান করে। তাছাড়া, এগুলো ইনস্টল এবং পরিবহন করাও সহজ। এ কারণে আরও দক্ষতার সঙ্গে নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। এর পরিবেশ-বান্ধব ফিচার কম কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ নিশ্চিত করে এবং ঘন-ঘন রঙ করার প্রয়োজনীয়তাও হ্রাস করে। এই অনন্য টেলিকম অবকাঠামোর মাধ্যমে বাংলাদেশের উদীয়মান টাওয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে আরও অবদান রাখা সম্ভব।
ইডটকো ও হুয়াওয়ে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) সুনীল আইজ্যাক। তাঁর মতে, “আমাদের এই অংশীদারিত্ব হলো বাংলাদেশের সমৃদ্ধিশীল টেলিকম অবকাঠামো উন্নত করার ক্ষেত্রে একটি অসাধারণ সুযোগের উপস্থাপন। আমাদের টেকসই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এই চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যত গঠনে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উন্নত টেকসই অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত রাখার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাব। আমরা আশাবাদী যে, হুয়াওয়ে’র সঙ্গে আমাদের এই অংশীদারিত্ব অন্যদেরও এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করবে এবং সম্মিলিতভাবে দেশের শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধিতে আরও বেশি অবদান রাখবে।”
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট হুয়ে বলেন, “বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় প্রবৃদ্ধিতে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে ইডটকো ও হুয়াওয়ে। এবং আমদের নতুন এই যৌথ পদক্ষেপ প্রতিশ্রুতিরই আরও একটি প্রমাণ। সাইটের সুযোগ-সুবিধার সহজলভ্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি টাওয়ার অবকাঠামো শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আমরা একসাথে কাজ করব। আমি বিশ্বাস করি হুয়াওয়ে’র যুগান্তকারী উদ্ভাবনসমূহ এবং ইডটকো’র দক্ষতার সমন্বয়ে আমরা একটি টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাব।”
মালয়েশিয়া-ভিত্তিক বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম টেলিকম টাওয়ার অবকাঠামো কোম্পানি ইডটকো গ্রুপ। এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইডটকো বাংলাদেশ টেকসই অবকাঠামোর তৈরির মাধ্যমে একটি টেকসই পৃথিবী গড়তে ইডটকো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর তাই ব্যাম্বু টাওয়ার, হাইব্রিড সোলার-উইন্ড টাওয়ার, স্পান প্রিস্ট্রেসড কংক্রিট টাওয়ার এবং স্মার্ট পোল স্ট্রিট ফার্নিচারের মতো বিভিন্ন উদ্ভাবনী ও পরিবেশ-বান্ধব সমাধানের এর মধ্যেই নিয়ে এসেছে। এছাড়াও দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে ইডটকো ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে এসডিজি অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এবংএকইসঙ্গে টেকসই যাত্রার অগ্রগতির বিষয়ে স্বচ্ছতা রক্ষার্থে অঙ্গীকারবদ্ধ প্রতিষ্ঠানটি।