কালীগঞ্জের ঐতিহাসিক গলাকাটা মসজিদ
জেলা প্রতিবেদক
২০ নভেম্বর, ২০২৩, 11:37 PM
কালীগঞ্জের ঐতিহাসিক গলাকাটা মসজিদ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ‘গলাকাটা মসজিদ’। উপজেলার তাহেরপুর রাস্তাটির পাশেই অবস্থিত ‘গলাকাটা দিঘি ঢিবি মসজিদ’। গলাকাটা মসজিদটির পাশেই অবস্থিত গলাকাটা দীঘি। এই দীঘিটি খান জাহান আলী কর্তৃক নির্মিত বলে জনমত রয়েছে। আর ঠিক এই দীঘির দক্ষিণ পাশেই রয়েছে ঐতিহাসিক ‘গলাকাটা মসজিদ’। গলাকাটা মসজিদ এর অবস্থান কালীগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে। এই সমজিদটি দেখতে অনেক সুন্দর।
নব্বই দশকের দিকে প্রতœতন্তেÍা অধিদপ্তর এর খনন করে এবং মসজিদটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে মসজিদটি খুব ভালো ভাবে সংস্কার করা হয়। চারটি ৬ কোণাকৃতি বড় পিলার এর উপর বর্গাকৃতি প্রধান মসজিদটি স্থাপিত এবং এর প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য ২৫ ফুট এবং এর দেওয়াল ৫ ফুট এর মত চওড়া। মসজিদটি ৬ গম্বুজ বিশিষ্ট এবং এর পশ্চিম দেয়ালে ৩টি মেহরাব আর টেরাকোটার অলংকরণ করা আছে।
গলাকাটা মসজিদের পূর্ব দিকে রয়েছে তিনটি প্রবেশ দ্বার এবং উত্তর ও দক্ষিণ উভয় দিকে দু’টি করে প্রবেশ দ্বার রয়েছে। প্রবেশ দ্বার গুলোর উপর রয়েছে সুচাল খিলান। উত্তর ও দক্ষিণ দিকের প্রবেশ দ্বার দুইটি ইটের জাল করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেবলা করার দেয়ালটিতে তিনটি অর্ধবৃত্তাকৃতির সুসজ্জিত মেহরাব আছে আর এই মেহরাব গুলির দুই পাশে রয়েছে পোড়া মাটির দিগন্ত রেখাকৃতির বাধন। গলাকাটা সমজিটি দেখার জন্য প্রতিটি অনেকেই ভিড় করে ও বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রোগ বালাই নিবারনের জন্য মান্নত করে থাকে। আরো আছে বিভিন্ন প্রকার জ্যামিতিক ও ফুলের নকশা, এগুলোর ভিতর দিকে আছে পোড়া মাটির ঘণ্টা ও চেইন নকশা। তিনটি মেহরাবের প্রাপ্ত ভাগ ফ্রেম দ্বারা বাঁধানো। উত্তর ও দক্ষিন পার্শের মেহরাবের আরো ক্ষেত্রাকৃতির ফ্রেমের মধ্যে পোড়া মাটির জ্যামিতিক নকশা রয়েছে। এই মসজিদের সাথে বাগেরহাট ষাট গম্বুজ মসজিদ এর মিল রয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সংস্কার ও সংরক্ষনের আগে মসজিদের দেয়াল গুলোর উচ্চতা নির্দিষ্ট ছিল এর কোনো গম্বুজ ছিল না। পরবর্তীতে কয়েকটি গম্বুজসহ মসজিদটি পূর্ণনির্মাণ করা হয়। এটি উদ্ধারের পূর্বে স্থানীয়দের মধ্যে অনেক মতভেদ ছিল। অনেকে এটিকে মন্দির বলেও দাবি করেছিল। তবে বৃটিশ সরকারের ভূমি রেকর্ডে এটি মসজিদ নামেই রেকর্ড ছিল। পরবর্তীতে খননের পর তাই প্রমান হয়। এলাকার ও দুরদুরান্তের মানুষ অনেকেই এখানে বিভিন্ন রোগ বালাই নিবারনের জন্য মাননত করে থাকে। অনেকে মসজিদ টি দেখার জন্য আসে ও ছবি তোলে। মসজিদের পাশে রয়েছে ছোট একটি লাইব্রেরি সেখানে অনেক ধরনের বই পাওয়া যায়। তাতে মসজিদ গুলোর ইতিহাস ও লেখা রয়েছে। এ ছাড়া গলাকাটা মসজিদে জুম্মার নামাজসহ ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে থাকেন মুসল্লিরা। এটা এলাকার একটা ঐতিহ্য বলে সবাই মনে করে। গলাকাটা মসজিদ দেখার জন্য প্রতিনিয়ত ভিড় জমায় নারী ও পুরুষরা। প্রতিদিন বিকালের দিকে দুরদুরান্তের মানুষ বেশি ভীড় করে খাকে। অনেকে সেখানে পিকনিক করে ছবি তুলে থাকে। দেখলে মনে হয় এটা একটা বিনোদনের স্থান।
জেলা প্রতিবেদক
২০ নভেম্বর, ২০২৩, 11:37 PM
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ‘গলাকাটা মসজিদ’। উপজেলার তাহেরপুর রাস্তাটির পাশেই অবস্থিত ‘গলাকাটা দিঘি ঢিবি মসজিদ’। গলাকাটা মসজিদটির পাশেই অবস্থিত গলাকাটা দীঘি। এই দীঘিটি খান জাহান আলী কর্তৃক নির্মিত বলে জনমত রয়েছে। আর ঠিক এই দীঘির দক্ষিণ পাশেই রয়েছে ঐতিহাসিক ‘গলাকাটা মসজিদ’। গলাকাটা মসজিদ এর অবস্থান কালীগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে। এই সমজিদটি দেখতে অনেক সুন্দর।
নব্বই দশকের দিকে প্রতœতন্তেÍা অধিদপ্তর এর খনন করে এবং মসজিদটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে মসজিদটি খুব ভালো ভাবে সংস্কার করা হয়। চারটি ৬ কোণাকৃতি বড় পিলার এর উপর বর্গাকৃতি প্রধান মসজিদটি স্থাপিত এবং এর প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য ২৫ ফুট এবং এর দেওয়াল ৫ ফুট এর মত চওড়া। মসজিদটি ৬ গম্বুজ বিশিষ্ট এবং এর পশ্চিম দেয়ালে ৩টি মেহরাব আর টেরাকোটার অলংকরণ করা আছে।
গলাকাটা মসজিদের পূর্ব দিকে রয়েছে তিনটি প্রবেশ দ্বার এবং উত্তর ও দক্ষিণ উভয় দিকে দু’টি করে প্রবেশ দ্বার রয়েছে। প্রবেশ দ্বার গুলোর উপর রয়েছে সুচাল খিলান। উত্তর ও দক্ষিণ দিকের প্রবেশ দ্বার দুইটি ইটের জাল করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেবলা করার দেয়ালটিতে তিনটি অর্ধবৃত্তাকৃতির সুসজ্জিত মেহরাব আছে আর এই মেহরাব গুলির দুই পাশে রয়েছে পোড়া মাটির দিগন্ত রেখাকৃতির বাধন। গলাকাটা সমজিটি দেখার জন্য প্রতিটি অনেকেই ভিড় করে ও বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রোগ বালাই নিবারনের জন্য মান্নত করে থাকে। আরো আছে বিভিন্ন প্রকার জ্যামিতিক ও ফুলের নকশা, এগুলোর ভিতর দিকে আছে পোড়া মাটির ঘণ্টা ও চেইন নকশা। তিনটি মেহরাবের প্রাপ্ত ভাগ ফ্রেম দ্বারা বাঁধানো। উত্তর ও দক্ষিন পার্শের মেহরাবের আরো ক্ষেত্রাকৃতির ফ্রেমের মধ্যে পোড়া মাটির জ্যামিতিক নকশা রয়েছে। এই মসজিদের সাথে বাগেরহাট ষাট গম্বুজ মসজিদ এর মিল রয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সংস্কার ও সংরক্ষনের আগে মসজিদের দেয়াল গুলোর উচ্চতা নির্দিষ্ট ছিল এর কোনো গম্বুজ ছিল না। পরবর্তীতে কয়েকটি গম্বুজসহ মসজিদটি পূর্ণনির্মাণ করা হয়। এটি উদ্ধারের পূর্বে স্থানীয়দের মধ্যে অনেক মতভেদ ছিল। অনেকে এটিকে মন্দির বলেও দাবি করেছিল। তবে বৃটিশ সরকারের ভূমি রেকর্ডে এটি মসজিদ নামেই রেকর্ড ছিল। পরবর্তীতে খননের পর তাই প্রমান হয়। এলাকার ও দুরদুরান্তের মানুষ অনেকেই এখানে বিভিন্ন রোগ বালাই নিবারনের জন্য মাননত করে থাকে। অনেকে মসজিদ টি দেখার জন্য আসে ও ছবি তোলে। মসজিদের পাশে রয়েছে ছোট একটি লাইব্রেরি সেখানে অনেক ধরনের বই পাওয়া যায়। তাতে মসজিদ গুলোর ইতিহাস ও লেখা রয়েছে। এ ছাড়া গলাকাটা মসজিদে জুম্মার নামাজসহ ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে থাকেন মুসল্লিরা। এটা এলাকার একটা ঐতিহ্য বলে সবাই মনে করে। গলাকাটা মসজিদ দেখার জন্য প্রতিনিয়ত ভিড় জমায় নারী ও পুরুষরা। প্রতিদিন বিকালের দিকে দুরদুরান্তের মানুষ বেশি ভীড় করে খাকে। অনেকে সেখানে পিকনিক করে ছবি তুলে থাকে। দেখলে মনে হয় এটা একটা বিনোদনের স্থান।