লালপুরে পলো দিয়ে মাছ ধরার উংসব
ইউসুফ হুসাইন, লালপুর (নাটোর)
১৬ মে, ২০২৩, 5:16 PM
লালপুরে পলো দিয়ে মাছ ধরার উংসব
বিলুপ্তির পথে এক সময়ের চিরচেনা গ্রামবাংলার জনপ্রিয় ‘পলো’ দিয়ে মাছ ধরার উৎসব। তলাবিহীন কলসির আদলে বাঁশ ও বেতের সংমিশ্রণে ছোট ছোট ছিদ্র রেখে শৈল্পিকভাবে মাছ ধরার এই যন্ত্রটি তৈরি করা হয়।
আহবমানন বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলের মতো নেত্রকোনার হাওর অঞ্চলেও অন্যতম উৎসব পলো দিয়ে মাছ ধরা। শীতের শুরুতেই শুরু হত এই উৎসব।অন্যান্য অঞ্চলের মত লালপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিলে গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসবের আয়োজন করত। পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসব হচ্ছে গ্রামবাংলার একটি ঐতিহ্য।
সেই ঐতিহ্য উৎসব পালনে প্রতিবছর একত্রিত হোন লালপুরের পদ্মা পাড়ের মানুষ। গতকাল রোববার (১৪ মে) লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া এলাকায় পদ্মার বুকে জেগে থাকা (দামুস) নদীর হাঁটু পানিতে অনুষ্ঠিত হলো পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসব। এই উৎসবে অংশ নেন লালপুরের হাজিরহাট, চাঁদপুর, মোহরকয়া, মোমিনপুর গ্রামের প্রায় শতাধিক মানুষ। তারা দল বেঁধে নামেন বিলমাড়ীয়া বাজার সংলগ্ন পদ্মার (দামুসে) হাঁটু পানিতে। তাদের পলোর নিচে ধরা পড়ে নানা জাতের দেশীয় মাছ। স্থানীয়রা জানান, আগে থেকেই এলাকায় পলো দিয়ে মাছ ধরার ঘোষণা দেওয়া।
এজন্য প্রস্তুত করা হয় বাঁশ ও জাল দিয়ে ছোট বড় অসংখ্য পলো।এলাকার সৌখিন ও পেশাদার শিকারিরা মাছ ধরতে নদীতে নেমে পড়েন। এ এক গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক মানুষ আসেন মাছ ধরার এ উৎসবে। এসময় উৎসুক গ্রামবাসীও নদীর পাড়ে বসে উপভোগ করেন এ উৎসব।
বংশপরম্পরায় পালিত হয়ে আসছে এই এলাকায় এভাবে মাছ ধরা উৎসব। মাছ ধরার উৎসবে অংশ নেওয়া স্থানীয় মোহরকয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। প্রতি বছরে নদীর পানি কমে যায়। তখন আশপাশের গ্রামের মানুষরা একসঙ্গে মিলে পলো দিয়ে মাছ ধরি।
মোমিনপুর গ্রামের দুলাল উদ্দিন বলেন, মাছ ধরার জায়গা নদী শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ছোট হয়ে গেছে। মাছ নাই বললেই হয়।
ইউসুফ হুসাইন, লালপুর (নাটোর)
১৬ মে, ২০২৩, 5:16 PM
বিলুপ্তির পথে এক সময়ের চিরচেনা গ্রামবাংলার জনপ্রিয় ‘পলো’ দিয়ে মাছ ধরার উৎসব। তলাবিহীন কলসির আদলে বাঁশ ও বেতের সংমিশ্রণে ছোট ছোট ছিদ্র রেখে শৈল্পিকভাবে মাছ ধরার এই যন্ত্রটি তৈরি করা হয়।
আহবমানন বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলের মতো নেত্রকোনার হাওর অঞ্চলেও অন্যতম উৎসব পলো দিয়ে মাছ ধরা। শীতের শুরুতেই শুরু হত এই উৎসব।অন্যান্য অঞ্চলের মত লালপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিলে গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসবের আয়োজন করত। পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসব হচ্ছে গ্রামবাংলার একটি ঐতিহ্য।
সেই ঐতিহ্য উৎসব পালনে প্রতিবছর একত্রিত হোন লালপুরের পদ্মা পাড়ের মানুষ। গতকাল রোববার (১৪ মে) লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া এলাকায় পদ্মার বুকে জেগে থাকা (দামুস) নদীর হাঁটু পানিতে অনুষ্ঠিত হলো পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসব। এই উৎসবে অংশ নেন লালপুরের হাজিরহাট, চাঁদপুর, মোহরকয়া, মোমিনপুর গ্রামের প্রায় শতাধিক মানুষ। তারা দল বেঁধে নামেন বিলমাড়ীয়া বাজার সংলগ্ন পদ্মার (দামুসে) হাঁটু পানিতে। তাদের পলোর নিচে ধরা পড়ে নানা জাতের দেশীয় মাছ। স্থানীয়রা জানান, আগে থেকেই এলাকায় পলো দিয়ে মাছ ধরার ঘোষণা দেওয়া।
এজন্য প্রস্তুত করা হয় বাঁশ ও জাল দিয়ে ছোট বড় অসংখ্য পলো।এলাকার সৌখিন ও পেশাদার শিকারিরা মাছ ধরতে নদীতে নেমে পড়েন। এ এক গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক মানুষ আসেন মাছ ধরার এ উৎসবে। এসময় উৎসুক গ্রামবাসীও নদীর পাড়ে বসে উপভোগ করেন এ উৎসব।
বংশপরম্পরায় পালিত হয়ে আসছে এই এলাকায় এভাবে মাছ ধরা উৎসব। মাছ ধরার উৎসবে অংশ নেওয়া স্থানীয় মোহরকয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। প্রতি বছরে নদীর পানি কমে যায়। তখন আশপাশের গ্রামের মানুষরা একসঙ্গে মিলে পলো দিয়ে মাছ ধরি।
মোমিনপুর গ্রামের দুলাল উদ্দিন বলেন, মাছ ধরার জায়গা নদী শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ছোট হয়ে গেছে। মাছ নাই বললেই হয়।