শিরোনামঃ
সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করবেন শ্রাবন্তী খ্যাতিমান আইনজীবী এড. তোফাজ্জল হোসেনের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত চিঠির খামে জমে থাকা অশ্রু যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা জবাব চীনের, ১০৪ শতাংশের জবাবে মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ শেখ হাসিনাসহ পরিবারের ১৬ কোটি টাকা জব্দের নির্দেশ এবার মায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে দীপিকাকে বাংলাদেশকে দেয়া ট্রানজিট সুবিধা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে যা বললেন রণধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা থার্ড টেম্পল কী? ইহুদিরা কেন আল আকসার জায়গায় থার্ড টেম্পল নির্মাণ করতে চায়? যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত মিশরের সশস্ত্র বাহিনী!

ব্লাস্ট রোগে জমিতেই নষ্ট কৃষকের সোনালী স্বপ্ন

#
news image

গোপালগঞ্জের ৫টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আধা পাকা বোরো ধানে ব্লাস্ট ও ছত্রাক রোগ দেখা দিয়েছে । এতে জমির ধান শুকিয়ে চিটা হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা । জমিতেই নষ্ট হচ্ছে তাদের সোনালী স্বপ্ন। উফসি-২৮ জাতের ধান চিটা হওয়াতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কিনা  তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনে সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, বোরো মৌসুমে এ বছর গোপালগঞ্জ জেলায় উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের প্রচুর আবাদ হয়েছে। চাল সরু ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় হাইব্রিড জাতের পাশাপাশি উফসি-২৮ ও ২৯ জাতের ধানের আবাদ করেন কৃষকেরা। যেসব জমিতে উফসি-২৮ ও ২৯ জাতের ধান রোপণ করা হয়েছে, সেখানে ধানের শিষ আসার সাথেই তা পুড়ে চিটা হয়েছে। সেই সাথে ইঁদুর গাছের গোড়া কেঁটে দেওয়ায় নষ্ট হয় ধান গাছ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়, এ বছর জেলায় প্রায় ৮১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ৫৮ হাজার ৩৪০ হেক্টর, উফশী জাতের ২২ হাজার ২০০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। প্রায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৩০৭ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এ বছর । ধান নষ্ট হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয় রয়েছে কৃষি বিভাগের। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার দীঘারকুল গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সুবল মন্ডল বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি।  হাইব্রিডের পাশাপাশি উফসি-২৮ জাতের ধান রোপণ করি। কিন্তু এসব ধান গাছে ব্লাস্ট রোগ হলে ধান চিটা হয়ে যায়।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গুয়াধানা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হারান ওঝা বলেন, ‘এ বছর ২৮ জাতের আড়াই বিঘা জমির সব ধান ব্লাস্ট রোগে পুড়ে চিটা হয়ে গেছে। একটা ধানও ঘরে তুলতে পারবো না। কিভাবে বাঁচবো সেই চিন্তায় আছি।’ মুকসুদপুর দিগনগর গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম, কাশিয়ানীর ওড়াকান্দি গ্রামের বিশ্বজিৎ বালা ও কোটালীপাড়া হিরণ গ্রামের মো: ইলিয়াস মোল্যা বলেন, ধান গাছ রোগে আক্রান্ত হলেও কৃষি অফিসাররা তেমন কোন পরামর্শ দেয়নি। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করে সরকারি সাহায্য সহযোগিতার দাবি করেন তারা।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুল কাদের সরদার বলেন, ‘এ বছর জেলায় ৮১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। বেশিরভাগ হাইব্রিড ধানের আবাদ হলেও উফশী জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে। বোরো- ২৮ ও ২৯ জাতের ধান গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এ জাতের গাছ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যেসব জমিতে ব্লাস্ট রোগ হচ্ছে, সেসব জমির ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। ব্লাস্ট রোগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কৃষকদের ছত্রাকনাশক ঔষধ স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছি এবং উঠান বৈঠক করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ নিরূপণ করার নির্দেশনা দেয়া আছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যাতে সরকারি প্রণোদনা পায় সে ব্যবস্থা করা হবে।’

দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ

১৯ এপ্রিল, ২০২৩,  10:11 PM

news image

গোপালগঞ্জের ৫টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আধা পাকা বোরো ধানে ব্লাস্ট ও ছত্রাক রোগ দেখা দিয়েছে । এতে জমির ধান শুকিয়ে চিটা হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা । জমিতেই নষ্ট হচ্ছে তাদের সোনালী স্বপ্ন। উফসি-২৮ জাতের ধান চিটা হওয়াতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কিনা  তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনে সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, বোরো মৌসুমে এ বছর গোপালগঞ্জ জেলায় উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের প্রচুর আবাদ হয়েছে। চাল সরু ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় হাইব্রিড জাতের পাশাপাশি উফসি-২৮ ও ২৯ জাতের ধানের আবাদ করেন কৃষকেরা। যেসব জমিতে উফসি-২৮ ও ২৯ জাতের ধান রোপণ করা হয়েছে, সেখানে ধানের শিষ আসার সাথেই তা পুড়ে চিটা হয়েছে। সেই সাথে ইঁদুর গাছের গোড়া কেঁটে দেওয়ায় নষ্ট হয় ধান গাছ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়, এ বছর জেলায় প্রায় ৮১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ৫৮ হাজার ৩৪০ হেক্টর, উফশী জাতের ২২ হাজার ২০০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। প্রায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৩০৭ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এ বছর । ধান নষ্ট হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয় রয়েছে কৃষি বিভাগের। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার দীঘারকুল গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সুবল মন্ডল বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি।  হাইব্রিডের পাশাপাশি উফসি-২৮ জাতের ধান রোপণ করি। কিন্তু এসব ধান গাছে ব্লাস্ট রোগ হলে ধান চিটা হয়ে যায়।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গুয়াধানা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হারান ওঝা বলেন, ‘এ বছর ২৮ জাতের আড়াই বিঘা জমির সব ধান ব্লাস্ট রোগে পুড়ে চিটা হয়ে গেছে। একটা ধানও ঘরে তুলতে পারবো না। কিভাবে বাঁচবো সেই চিন্তায় আছি।’ মুকসুদপুর দিগনগর গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম, কাশিয়ানীর ওড়াকান্দি গ্রামের বিশ্বজিৎ বালা ও কোটালীপাড়া হিরণ গ্রামের মো: ইলিয়াস মোল্যা বলেন, ধান গাছ রোগে আক্রান্ত হলেও কৃষি অফিসাররা তেমন কোন পরামর্শ দেয়নি। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করে সরকারি সাহায্য সহযোগিতার দাবি করেন তারা।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুল কাদের সরদার বলেন, ‘এ বছর জেলায় ৮১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। বেশিরভাগ হাইব্রিড ধানের আবাদ হলেও উফশী জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে। বোরো- ২৮ ও ২৯ জাতের ধান গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এ জাতের গাছ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যেসব জমিতে ব্লাস্ট রোগ হচ্ছে, সেসব জমির ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। ব্লাস্ট রোগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কৃষকদের ছত্রাকনাশক ঔষধ স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছি এবং উঠান বৈঠক করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ নিরূপণ করার নির্দেশনা দেয়া আছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যাতে সরকারি প্রণোদনা পায় সে ব্যবস্থা করা হবে।’