কুষ্টিয়ায় ইউপি সদস্য হত্যা মামলার প্রধান আসামি সহ গ্রেফতার ২
জিয়াউর রহমান, কুষ্টিয়া
০৪ এপ্রিল, ২০২৩, 2:28 PM
কুষ্টিয়ায় ইউপি সদস্য হত্যা মামলার প্রধান আসামি সহ গ্রেফতার ২
গত ১৫ মার্চ ২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা ০৬:৩০ মিনিটের সময় দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালি গ্রামে ইউপি সদস্য মোঃ কাজল হোসেন (৪৫) নামের ইউপি সদস্য প্রতিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা গুরুতর আঘাত করে। ঘটনা স্থানের স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ মার্চ ২০২৩ তারিখ ভোর ০৫ টায় তাঁর মৃত্যু হয়।
আসামির দেওয়া তথ্য মতে, এক মাস আগে বিয়ে বাড়িতে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কাজলের ভাতিজার সঙ্গে প্রতিবেশী মাবুদ হোসেনের ছেলে ও তার চাচাতো ভাই এর সাথে কথা কাটাকাটির হয়। এ ঘটনার কারনে গত ১৫ মার্চ ২০২৩ তারিখ আনুমানিক বিকাল ০৪ টার দিকে মাবুদ হোসেনের ছেলে ও তার চাচাতো ভাই কলেজ থেকে ফেরার পথে নিহত কাজলসহ আরোও লোকজন নিয়ে তাদেরকে মারার উদ্দেশ্যে রড দিয়ে আঘাত করে ও হাতাহাতি, মারামারি সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনার কারণে ঐদিন সন্ধ্যা ০৬:২০ মিনিটের দিকে বিষয়টি নিয়ে নিহত কাজল ও তার ভাতিজাকে সাথে নিয়ে আসামি মারুদ এর বাড়ির সামনে বিভিন্ন ধরনে গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দিতে আসে বলে আসামী জানায়। যার ফলে কাজল ও মারুদের সাথে কথা কাটাকাটির শুরু হয় এবং একপর্যায়ে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পিঠে ও ঘাড়ে গুরুতর জখম করা হয়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় কাজল ব্যাপারটি মিমাংশা করতে গিয়েছিল।
উক্ত হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে নিহতের (কাজল হোসেন) এর ভাতিজা মোঃ শামীম হোসেন বাদী হয়ে ১৫ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নাম্বার- ৩২, তারিখ-১৫/০৩/২০২৩, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/ ৩০৭/৫০৬(২)/১১৪/৩০২ পেনাল কোড। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রকাশ্যে সন্ধ্যা বেলায় সংঘটিত হত্যাকান্ডটি বিভিন্ন জাতীয় সংবাদ। মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রকাশিত হয়। মামলার ফলশ্রুতিতে, র্যাব আসামীদের গ্রেফতারের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২'র আভিযানিক দল ঢাকা শহরে পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মামলার প্রধান আসামিদ্বয় ঢাকা শহরে আত্মগোপন করে আছে বলে জানা যায়।
অবশেষে গত ০৩ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ রাতে ০৭:৩০ ঘটিকায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনার ঢাকা শহরের সায়েদাবাদ ও কল্যাণপুর এলাকা হতে উক্ত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামী মোঃ আব্দুল মাবুদ (৩৫) এবং ২নং এজাহার নামীয় আসামী মোঃ মতলেব (৪২), উভয় পিতা-মৃত লোকমান হোসেন সরদার, নুকা সরদার,
উভয় সাং-দৌলতখালি সরদারপাড়া, থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া'কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোঃ কাজল হোসেন হত্যাকান্ডে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহনের কথা অকপটে
স্বীকার করেছে। স্থানীয় জনগণ অনেকেই গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সরাসরি হত্যাকান্ডে অংশগ্রহন করতে দেখেছে বলে তারা জানান । গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে প্রেরণ করতঃ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
জিয়াউর রহমান, কুষ্টিয়া
০৪ এপ্রিল, ২০২৩, 2:28 PM
গত ১৫ মার্চ ২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা ০৬:৩০ মিনিটের সময় দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালি গ্রামে ইউপি সদস্য মোঃ কাজল হোসেন (৪৫) নামের ইউপি সদস্য প্রতিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা গুরুতর আঘাত করে। ঘটনা স্থানের স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ মার্চ ২০২৩ তারিখ ভোর ০৫ টায় তাঁর মৃত্যু হয়।
আসামির দেওয়া তথ্য মতে, এক মাস আগে বিয়ে বাড়িতে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কাজলের ভাতিজার সঙ্গে প্রতিবেশী মাবুদ হোসেনের ছেলে ও তার চাচাতো ভাই এর সাথে কথা কাটাকাটির হয়। এ ঘটনার কারনে গত ১৫ মার্চ ২০২৩ তারিখ আনুমানিক বিকাল ০৪ টার দিকে মাবুদ হোসেনের ছেলে ও তার চাচাতো ভাই কলেজ থেকে ফেরার পথে নিহত কাজলসহ আরোও লোকজন নিয়ে তাদেরকে মারার উদ্দেশ্যে রড দিয়ে আঘাত করে ও হাতাহাতি, মারামারি সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনার কারণে ঐদিন সন্ধ্যা ০৬:২০ মিনিটের দিকে বিষয়টি নিয়ে নিহত কাজল ও তার ভাতিজাকে সাথে নিয়ে আসামি মারুদ এর বাড়ির সামনে বিভিন্ন ধরনে গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দিতে আসে বলে আসামী জানায়। যার ফলে কাজল ও মারুদের সাথে কথা কাটাকাটির শুরু হয় এবং একপর্যায়ে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পিঠে ও ঘাড়ে গুরুতর জখম করা হয়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় কাজল ব্যাপারটি মিমাংশা করতে গিয়েছিল।
উক্ত হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে নিহতের (কাজল হোসেন) এর ভাতিজা মোঃ শামীম হোসেন বাদী হয়ে ১৫ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নাম্বার- ৩২, তারিখ-১৫/০৩/২০২৩, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/ ৩০৭/৫০৬(২)/১১৪/৩০২ পেনাল কোড। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রকাশ্যে সন্ধ্যা বেলায় সংঘটিত হত্যাকান্ডটি বিভিন্ন জাতীয় সংবাদ। মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রকাশিত হয়। মামলার ফলশ্রুতিতে, র্যাব আসামীদের গ্রেফতারের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২'র আভিযানিক দল ঢাকা শহরে পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মামলার প্রধান আসামিদ্বয় ঢাকা শহরে আত্মগোপন করে আছে বলে জানা যায়।
অবশেষে গত ০৩ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ রাতে ০৭:৩০ ঘটিকায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনার ঢাকা শহরের সায়েদাবাদ ও কল্যাণপুর এলাকা হতে উক্ত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামী মোঃ আব্দুল মাবুদ (৩৫) এবং ২নং এজাহার নামীয় আসামী মোঃ মতলেব (৪২), উভয় পিতা-মৃত লোকমান হোসেন সরদার, নুকা সরদার,
উভয় সাং-দৌলতখালি সরদারপাড়া, থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া'কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোঃ কাজল হোসেন হত্যাকান্ডে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহনের কথা অকপটে
স্বীকার করেছে। স্থানীয় জনগণ অনেকেই গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সরাসরি হত্যাকান্ডে অংশগ্রহন করতে দেখেছে বলে তারা জানান । গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে প্রেরণ করতঃ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।