এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ, আটক পিয়ন

#
news image

চট্টগ্রাম কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে অফিস সহকারী মোশাররফ হোসেন মানিকের (৩০) বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মানিক ফেনী জেলার ফুলগাজী থানার দরবারপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর জাফর মাস্টারের পুরাতন বাড়ির তোফায়েল আহমদের ছেলে। জানা গেছে, গত ২৭ জুন ভিকটিম তার মাকে নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে কলেজে আসেন। প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে দেরি হচ্ছে দেখে তিনি মাকে বাসায় পাঠিয়ে দেন। মা বাসায় চলে গেলে তিনি পদার্থ বিজ্ঞান ভবনের ওয়াশরুমে যান। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তার আরেক সহপাঠীর সঙ্গে দেখা হয় সহপাঠির সঙ্গে ওয়াশরুমের সামনে কথা বলতে দেখে অভিযুক্ত ওই পিয়ন মানিক।

একসাথে ওয়াশরুমে দেখার বিষয়টি ছাত্রীর পরিবার এবং কলেজ প্রিন্সিপালসহ সবাইকে বলে দেয়ার ভয় দেখায় অভিযুক্ত মানিক। পরে প্রবেশপত্র সংগ্রহ শেষে মানিক ওই ছাত্রীকে বাসায় পৌঁছে দেয়ার প্রস্তাব দেয়। মানিকের প্রস্তাবে ওই ছাত্রী রাজি হয়ে বাসায় যাওয়ার জন্য সিএনজি অটোরিকশায় ওঠে। পথে মানিক সিএনজি থেকে নামিয়ে কোতোয়ালী থানাধীন স্টেশন রোডের একটি হোটেল রুমে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ১ দিন পর ২৯ জুন থানায় মামলা করে পরিবার। জানতে চাইলে চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর  বলেন, মামলার তদন্তে আমরা আলামত সংগ্রহ করেছি। আসামিকে একদিনের রিমান্ডে এনে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে আবার আদালতে সোপর্দ করেছি।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কলেজ অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। পিয়ন মোশাররফ হোসেন মানিক অস্থায়ীভাবে কাজ করতো। আমরা ঘটনার তাতক্ষণিকভাবে আমলে নিয়ে তার কার্যক্রম স্থগিত করেছি। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান এখানে কোন অপরাধকে আমরা প্রশ্রয় দিবো না। 

মোঃ হাসানুর জামান বাবু, চট্টগ্রাম

১০ জুলাই, ২০২৪,  5:08 PM

news image

চট্টগ্রাম কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে অফিস সহকারী মোশাররফ হোসেন মানিকের (৩০) বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মানিক ফেনী জেলার ফুলগাজী থানার দরবারপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর জাফর মাস্টারের পুরাতন বাড়ির তোফায়েল আহমদের ছেলে। জানা গেছে, গত ২৭ জুন ভিকটিম তার মাকে নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে কলেজে আসেন। প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে দেরি হচ্ছে দেখে তিনি মাকে বাসায় পাঠিয়ে দেন। মা বাসায় চলে গেলে তিনি পদার্থ বিজ্ঞান ভবনের ওয়াশরুমে যান। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তার আরেক সহপাঠীর সঙ্গে দেখা হয় সহপাঠির সঙ্গে ওয়াশরুমের সামনে কথা বলতে দেখে অভিযুক্ত ওই পিয়ন মানিক।

একসাথে ওয়াশরুমে দেখার বিষয়টি ছাত্রীর পরিবার এবং কলেজ প্রিন্সিপালসহ সবাইকে বলে দেয়ার ভয় দেখায় অভিযুক্ত মানিক। পরে প্রবেশপত্র সংগ্রহ শেষে মানিক ওই ছাত্রীকে বাসায় পৌঁছে দেয়ার প্রস্তাব দেয়। মানিকের প্রস্তাবে ওই ছাত্রী রাজি হয়ে বাসায় যাওয়ার জন্য সিএনজি অটোরিকশায় ওঠে। পথে মানিক সিএনজি থেকে নামিয়ে কোতোয়ালী থানাধীন স্টেশন রোডের একটি হোটেল রুমে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ১ দিন পর ২৯ জুন থানায় মামলা করে পরিবার। জানতে চাইলে চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর  বলেন, মামলার তদন্তে আমরা আলামত সংগ্রহ করেছি। আসামিকে একদিনের রিমান্ডে এনে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে আবার আদালতে সোপর্দ করেছি।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কলেজ অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। পিয়ন মোশাররফ হোসেন মানিক অস্থায়ীভাবে কাজ করতো। আমরা ঘটনার তাতক্ষণিকভাবে আমলে নিয়ে তার কার্যক্রম স্থগিত করেছি। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান এখানে কোন অপরাধকে আমরা প্রশ্রয় দিবো না।