তাহাজ্জুদ নামাজে স্বামী-স্ত্রীর খুনসুটি

#
news image

ইসলাম স্বামী-স্ত্রীর সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ভালোবাসাময় সম্পর্ক চায়। কোরআন সৎভাবে পারিবারিক জীবন পরিচালনার তাগিদ দেয়। এর জন্য পরস্পর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জরুরি। আর খুনসুটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আনন্দময় করে তোলে। সেই খুনসুটি যদি ধর্মীয় বিষয়ে হয়, সেটি আল্লাহর বেশি পছন্দ। কোনো দম্পতি যদি তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে এবং পরস্পরকে সেই ইবাদতে উৎসাহিত করে এবং এর জন্য খুনসুটির মাধ্যমে একে অন্যকে জাগিয়ে তোলে, তাহলে সেই স্বামী-স্ত্রী রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রহমতের দোয়া লাভের সৌভাগ্য অর্জন করতে পারে।

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ ওই ব্যক্তির ওপর রহম করেন, যে রাত জেগে সালাত আদায় করে; অতঃপর সে তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে জাগ্রত করে। আর যদি সে ঘুম থেকে উঠতে না চায়, তাহলে সে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয় (নিদ্রাভঙ্গের জন্য)। আর আল্লাহ ওই নারীর ওপরও রহম করেন, যে রাতে উঠে সালাত আদায় করে এবং নিজের স্বামীকে জাগ্রত করে। যদি সে ঘুম থেকে উঠতে অস্বীকার করে, তখন সে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩০৮; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৩৬; সহিহ আত-তারগিব, হাদিস : ৬২৫)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন কোনো ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে নিজ স্ত্রীকেও ঘুম থেকে জাগ্রত করে এবং উভয়ে দুই রাকাত (নফল) সালাত আদায় করে, তাদের উভয়কে আল্লাহর পর্যাপ্ত জিকিরকারী পুরুষ ও পর্যাপ্ত জিকিরকারিণী নারীর তালিকাভুক্ত করা হয়।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩০৯)

স্বামী-স্ত্রীর এমন ইবাদতময় মধুর সম্পর্ক ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এবং দাম্পত্য জীবন সুখময় ও মধুময় করে তোলে।

নাগরিক ডেস্ক

০৫ মার্চ, ২০২৩,  10:19 AM

news image

ইসলাম স্বামী-স্ত্রীর সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ভালোবাসাময় সম্পর্ক চায়। কোরআন সৎভাবে পারিবারিক জীবন পরিচালনার তাগিদ দেয়। এর জন্য পরস্পর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জরুরি। আর খুনসুটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আনন্দময় করে তোলে। সেই খুনসুটি যদি ধর্মীয় বিষয়ে হয়, সেটি আল্লাহর বেশি পছন্দ। কোনো দম্পতি যদি তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে এবং পরস্পরকে সেই ইবাদতে উৎসাহিত করে এবং এর জন্য খুনসুটির মাধ্যমে একে অন্যকে জাগিয়ে তোলে, তাহলে সেই স্বামী-স্ত্রী রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রহমতের দোয়া লাভের সৌভাগ্য অর্জন করতে পারে।

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ ওই ব্যক্তির ওপর রহম করেন, যে রাত জেগে সালাত আদায় করে; অতঃপর সে তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে জাগ্রত করে। আর যদি সে ঘুম থেকে উঠতে না চায়, তাহলে সে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয় (নিদ্রাভঙ্গের জন্য)। আর আল্লাহ ওই নারীর ওপরও রহম করেন, যে রাতে উঠে সালাত আদায় করে এবং নিজের স্বামীকে জাগ্রত করে। যদি সে ঘুম থেকে উঠতে অস্বীকার করে, তখন সে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩০৮; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৩৬; সহিহ আত-তারগিব, হাদিস : ৬২৫)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন কোনো ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে নিজ স্ত্রীকেও ঘুম থেকে জাগ্রত করে এবং উভয়ে দুই রাকাত (নফল) সালাত আদায় করে, তাদের উভয়কে আল্লাহর পর্যাপ্ত জিকিরকারী পুরুষ ও পর্যাপ্ত জিকিরকারিণী নারীর তালিকাভুক্ত করা হয়।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩০৯)

স্বামী-স্ত্রীর এমন ইবাদতময় মধুর সম্পর্ক ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এবং দাম্পত্য জীবন সুখময় ও মধুময় করে তোলে।