ফেব্রুয়ারি শাশ্বত সত্যের ও মনুষ্যত্বের চেতনা
নাগরিক ডেস্ক
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, 6:10 PM
ফেব্রুয়ারি শাশ্বত সত্যের ও মনুষ্যত্বের চেতনা
রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারি মাস-ভাষা আন্দোলনের মাস। এ ফেব্রুয়ারি! বাঙালি জাতির আবেগ, উচ্ছ্বাস, কান্না ও আনন্দ নিয়ে ফিরেছে। বাঙালি জাঁতির পক্ষথেকে পুরো মাসজুড়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানো হয়।
ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে দুর্বার আন্দোলনে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিকের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাঁতি পায় মাতৃভাষার মর্যাদা এবং আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেরণা। তারই পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং একাত্তরে নয় মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’। অমর একুশের ওপর নির্ভর করে লেখকশ্রেণি বইমেলার মতো পরিপাটি বন্দোবস্তকে স্বাগত জানিয়ে একদিকে যেমন বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে, অন্যদিকে নিজেদের সংস্কৃতির বিকাশকে আলিঙ্গন করে বুঝিয়ে দিতে চায়, আমরা মাতৃভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি, পুনরায় দিতে পারি। তবে ভাষা হলো একটি জাতির প্রধান সাংস্কৃতিক কোষ, যা নিজেদেরকে প্রমাণ করার মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক পরিম-লে নিজেদের চেনাতে হবে। ফেব্রুয়ারি মাস একদিকে শোকাহত হলেও অন্যদিকে আছে এর গৌরবোজ্জ্বল দিক এবং দেশের বিদগ্ধ শ্রেণির কাছে একুশে বইমেলার আয়োজনটি সংস্কৃতির বিকাশের অন্যতম ঢাল হিসেবে গণ্য হয়।
এছাড়াও এই মাসে নানামুখী সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের পুরনো অতীতকে আঁকড়ে রেখে সামনের পথচলাকে নির্ধারিত করে চলছি। সাংস্কৃতিক বিকাশ বোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সু-বোধের মাধ্যমেই আমরা আমাদের মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠিত করার সুফল পেয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করি।
ধারণ করেই আজ বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার পথে। কবি, চিত্রশিল্পী, লেখক, রাজনৈতিক- সবাই উপলক্ষ তাড়িত হয়ে একাট্টা হয়ে শুধু বাংলা ভাষার জন্য ফেব্রুয়ারিতে লড়ে না, জাগে না। তাঁরা তাঁদের শ্রেষ্ঠ কর্ম দ্বারা ওই ঘুরেফিরে নিজেদের সংস্কৃতির উপকরণ দ্বারা ফেব্রুয়ারিতে জানান দেয়, যে পথ মানবতা ও শাশ্বত সত্যের দিকে মনুষ্যত্বের চেতনা। বাঙালির প্রাণের এই ‘অমর একুশে বইমেলা’ বই কেনার পাশাপাশি আলোচনা সভা, সঙ্গীতানুষ্ঠান, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবে সংস্কৃতির অমিয় সুধা।
বাংলা একাডেমীর এই প্রাঙ্গণে সৃজনশীল ও মননশীল লেখকদের বিকাশ ও অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে অমর একুশে বইমেলা এক অবিকল্প আয়োজন। যা মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সমুজ্জ্বল রেখে ‘অমর একুশে বইমেলা' বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে উঠবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।’
নাগরিক ডেস্ক
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, 6:10 PM
রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারি মাস-ভাষা আন্দোলনের মাস। এ ফেব্রুয়ারি! বাঙালি জাতির আবেগ, উচ্ছ্বাস, কান্না ও আনন্দ নিয়ে ফিরেছে। বাঙালি জাঁতির পক্ষথেকে পুরো মাসজুড়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানো হয়।
ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে দুর্বার আন্দোলনে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিকের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাঁতি পায় মাতৃভাষার মর্যাদা এবং আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেরণা। তারই পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং একাত্তরে নয় মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’। অমর একুশের ওপর নির্ভর করে লেখকশ্রেণি বইমেলার মতো পরিপাটি বন্দোবস্তকে স্বাগত জানিয়ে একদিকে যেমন বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে, অন্যদিকে নিজেদের সংস্কৃতির বিকাশকে আলিঙ্গন করে বুঝিয়ে দিতে চায়, আমরা মাতৃভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি, পুনরায় দিতে পারি। তবে ভাষা হলো একটি জাতির প্রধান সাংস্কৃতিক কোষ, যা নিজেদেরকে প্রমাণ করার মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক পরিম-লে নিজেদের চেনাতে হবে। ফেব্রুয়ারি মাস একদিকে শোকাহত হলেও অন্যদিকে আছে এর গৌরবোজ্জ্বল দিক এবং দেশের বিদগ্ধ শ্রেণির কাছে একুশে বইমেলার আয়োজনটি সংস্কৃতির বিকাশের অন্যতম ঢাল হিসেবে গণ্য হয়।
এছাড়াও এই মাসে নানামুখী সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের পুরনো অতীতকে আঁকড়ে রেখে সামনের পথচলাকে নির্ধারিত করে চলছি। সাংস্কৃতিক বিকাশ বোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সু-বোধের মাধ্যমেই আমরা আমাদের মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠিত করার সুফল পেয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করি।
ধারণ করেই আজ বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার পথে। কবি, চিত্রশিল্পী, লেখক, রাজনৈতিক- সবাই উপলক্ষ তাড়িত হয়ে একাট্টা হয়ে শুধু বাংলা ভাষার জন্য ফেব্রুয়ারিতে লড়ে না, জাগে না। তাঁরা তাঁদের শ্রেষ্ঠ কর্ম দ্বারা ওই ঘুরেফিরে নিজেদের সংস্কৃতির উপকরণ দ্বারা ফেব্রুয়ারিতে জানান দেয়, যে পথ মানবতা ও শাশ্বত সত্যের দিকে মনুষ্যত্বের চেতনা। বাঙালির প্রাণের এই ‘অমর একুশে বইমেলা’ বই কেনার পাশাপাশি আলোচনা সভা, সঙ্গীতানুষ্ঠান, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবে সংস্কৃতির অমিয় সুধা।
বাংলা একাডেমীর এই প্রাঙ্গণে সৃজনশীল ও মননশীল লেখকদের বিকাশ ও অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে অমর একুশে বইমেলা এক অবিকল্প আয়োজন। যা মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সমুজ্জ্বল রেখে ‘অমর একুশে বইমেলা' বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে উঠবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।’