কিশোর গ্যাং: রাজধানীর ক্রমবর্ধমান অপরাধ ও নৈতিক দায়
নাগরিক সংবাদ অনলাইন
২৩ নভেম্বর, ২০২৫, 10:29 PM
কিশোর গ্যাং: রাজধানীর ক্রমবর্ধমান অপরাধ ও নৈতিক দায়
ঢাকায় কিশোর গ্যাং-এর তৎপরতা একটি উদ্বেগজনক চিত্র উপস্থাপন করছে। প্রতি মাসে রাজধানীতে গড়ে ১৫ থেকে ২০টি হত্যাকাণ্ড ঘটছে-যেখানে প্রাথমিকভাবে সুনির্দিষ্ট কারণগুলো ছোট ছোট দ্বন্দ্ব: সালাম দেওয়া-না দেওয়া, সম্পর্কের আধিপত্য, সিগারেট খাওয়া বা পারস্পরিক বিরোধ।
মহানগর পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম জানিয়েছেন, এই সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের অধিকাংশ সদস্য নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের। করোনা সংকটকালে কিছুটা কমলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকাশিথ তথ্য থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি কদমতলী ও মুগদা এলাকায় চাঞ্চল্যকর দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ করে, তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং সংঘবদ্ধ অপরাধের অংশ হিসেবে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে যে, তারা একটি সুনির্দিষ্ট অপরাধ চক্রের অংশ।
এটি শুধু সামাজিক অনাচার নয়, আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত করার জন্য পরিকল্পিত কার্যক্রম। এই পরিস্থিতি দুই দিক থেকে সতর্কতার দাবি রাখে। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কিশোরদের অপরাধে জড়ানো রোধ করতে হবে। প্রোফাইলিং, নজরদারি এবং যৌথ অভিযানের মাধ্যমে ডিএমপি ইতোমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে। তবু এর পাশাপাশি, রাজনৈতিক ছত্রছায়া বা প্রভাব থাকলে তা তদন্তের আওতায় আনতে হবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়াও অভিভাবক ও সমাজকে সচেতন হতে হবে। কিশোরদের মনস্তাত্ত্বিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে পর্যাপ্ত নজরদারি নিশ্চিত করা জরুরি। গ্যাং সংস্কৃতির বিস্তার প্রমাণ করে যে, শুধু পুলিশি ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়; পারিবারিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই প্রবণতা রোধ করা কঠিন। রাজধানী ও বড় শহরগুলোতে কিশোর গ্যাং-এর সমস্যা একটি সামাজিক সংকট, যা অপরাধ, নৈতিকতার ক্ষয় এবং নিরাপত্তাহীনতার সঙ্গে যুক্ত।
রাষ্ট্রের দায়িত্ব কেবল অপরাধ রোধ নয়; তা হলো, শিশু ও কিশোরদের জন্য সঠিক পরিবেশ ও সুযোগ তৈরি করা, যাতে তারা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রে জড়াতে না পারে। অপরাধের সঙ্গে সংযুক্ত কিশোরদের বিরুদ্ধে কার্যকর, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিই একমাত্র সমাধান। যদি আমরা সক্রিয় পদক্ষেপ না নেই, তবে শহর ও সমাজের নিরাপত্তা, যুব সম্প্রদায়ের নৈতিক মূল্যবোধ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তা সকলেই ঝুঁকিতে থাকবে।
নাগরিক সংবাদ অনলাইন
২৩ নভেম্বর, ২০২৫, 10:29 PM
ঢাকায় কিশোর গ্যাং-এর তৎপরতা একটি উদ্বেগজনক চিত্র উপস্থাপন করছে। প্রতি মাসে রাজধানীতে গড়ে ১৫ থেকে ২০টি হত্যাকাণ্ড ঘটছে-যেখানে প্রাথমিকভাবে সুনির্দিষ্ট কারণগুলো ছোট ছোট দ্বন্দ্ব: সালাম দেওয়া-না দেওয়া, সম্পর্কের আধিপত্য, সিগারেট খাওয়া বা পারস্পরিক বিরোধ।
মহানগর পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম জানিয়েছেন, এই সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের অধিকাংশ সদস্য নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের। করোনা সংকটকালে কিছুটা কমলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকাশিথ তথ্য থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি কদমতলী ও মুগদা এলাকায় চাঞ্চল্যকর দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ করে, তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং সংঘবদ্ধ অপরাধের অংশ হিসেবে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে যে, তারা একটি সুনির্দিষ্ট অপরাধ চক্রের অংশ।
এটি শুধু সামাজিক অনাচার নয়, আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত করার জন্য পরিকল্পিত কার্যক্রম। এই পরিস্থিতি দুই দিক থেকে সতর্কতার দাবি রাখে। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কিশোরদের অপরাধে জড়ানো রোধ করতে হবে। প্রোফাইলিং, নজরদারি এবং যৌথ অভিযানের মাধ্যমে ডিএমপি ইতোমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে। তবু এর পাশাপাশি, রাজনৈতিক ছত্রছায়া বা প্রভাব থাকলে তা তদন্তের আওতায় আনতে হবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়াও অভিভাবক ও সমাজকে সচেতন হতে হবে। কিশোরদের মনস্তাত্ত্বিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে পর্যাপ্ত নজরদারি নিশ্চিত করা জরুরি। গ্যাং সংস্কৃতির বিস্তার প্রমাণ করে যে, শুধু পুলিশি ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়; পারিবারিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই প্রবণতা রোধ করা কঠিন। রাজধানী ও বড় শহরগুলোতে কিশোর গ্যাং-এর সমস্যা একটি সামাজিক সংকট, যা অপরাধ, নৈতিকতার ক্ষয় এবং নিরাপত্তাহীনতার সঙ্গে যুক্ত।
রাষ্ট্রের দায়িত্ব কেবল অপরাধ রোধ নয়; তা হলো, শিশু ও কিশোরদের জন্য সঠিক পরিবেশ ও সুযোগ তৈরি করা, যাতে তারা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রে জড়াতে না পারে। অপরাধের সঙ্গে সংযুক্ত কিশোরদের বিরুদ্ধে কার্যকর, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিই একমাত্র সমাধান। যদি আমরা সক্রিয় পদক্ষেপ না নেই, তবে শহর ও সমাজের নিরাপত্তা, যুব সম্প্রদায়ের নৈতিক মূল্যবোধ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তা সকলেই ঝুঁকিতে থাকবে।