উপকূলে লবণ উৎপাদনের ধুম
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ নভেম্বর, ২০২২, 11:01 PM
উপকূলে লবণ উৎপাদনের ধুম
অধিক লবণ উৎপাদনের লক্ষ্য হাতে নিয়ে কুতুবদিয়া উপকূলের লবণ চাষিরা গত ৩ সপ্তাহ আগে মাঠে নেমে পড়েছেন। প্রতি একর জমিতে ৫০ মণ সাদা লবণ উৎপাদনের লক্ষ্য তাদের। শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই চাষিরা আগাম লবণ উৎপাদনে ইতোমধ্যে আশানুরূপ সফলতা পেতে শুরু করেছেন।কুতুবদিয়ার লেমশীখালীতে অবস্থিত লবণ প্রদর্শনী কেন্দ্রের প্রধান হাফেজ মো. জাকের হোছাইন বলেন, চলতি বছর কুতুবদিয়া উপকূলে ২৫ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণ করেছেন চাষিরা।এখন আরো বেশি লবণ উৎপাদনের লক্ষ্য প্রান্তিক চাষিদের। বর্তমানে কুতুবদিয়া উপকূলে লবণ চাষিদের মাঠের গর্তে বিপুল পরিমাণ অবিক্রিত লবণ রয়েছে বলে জানান লবণ ব্যবসায়ী আবু ওমর।
গত বছরের চেয়ে চলতি বছর লবণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষিরা আগাম লবণ উৎপাদনে নামেন। গত বছরের চেয়ে এ বছর অধিক লবণ উৎপাদন করতে পারবেন বলে আশা করছেন কুতুবদিয়া উপকূলের চাষিরা। লেমশীখালী বিসিক শিল্পের জরিপ মোতাবেক, কুতুবদিয়া উপকূলের চলতি বছর ৬ হাজার ৫০০ একর জায়গায় লবণ উৎপাদন হচ্ছে। লবণ চাষি মো. কায়ছার বলেন, 'গত বছর প্রতিমণ লবণের দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ছিল। এ বছর উৎপাদিত একই লবণের মূল্য প্রতিমণে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত উঠছে। তাই লবণ চাষিরা শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই লবন উৎপাদনের জন্য মাঠে নেমে পড়ছেন।'
লবণ ব্যবসায়ী শফিউল মোর্শেদ বলেন, ‘দেশে লবণের চাহিদা পূরণের জন্য চাষিরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। গত বছর লবণ চাষিরা টার্গেট পূরণ করে যে সফলতা অর্জন করেছেন তা চলতি বছরও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চাষিরা উৎপাদিত লবণ বিক্রির ক্ষেত্রে দ্বিগুণ সুফল ভোগ করে যাচ্ছেন। তারপরও সরকার লবণ আমদানি করলে দেশের প্রান্তিক লবণ চাষিদের চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
কুতুবদিয়ার লবণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও কৈয়ারবিল ইউপির চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবর বলেন, ‘দেশে চাহিদা মোতাবেক লবণ মজুত ও উৎপাদনে সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি সিন্ডকেটের মাধ্যমে বিদেশ থেকে লবণ আমদানি করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশে উৎপাদিত লবণ চাষিদের চরম ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।
লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয় বিসিক কক্সবাজারের উপ-মহা ব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, সরকারি নির্দেশনায় আমরা লবণ চাষিদের আগাম মাঠে নামার জন্য প্রচারণা শুরু করেছি। সেই সঙ্গে তাদের নানাভাবে উৎসাহ প্রদান করছি। আমরা আশা করছি এ বছর যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তবে আমরা প্রচুর পরিমাণ লবণ উৎপাদন করতে পারবো এবং দেশের লবণের চাহিদা মেটাতে পারবো।
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ নভেম্বর, ২০২২, 11:01 PM
অধিক লবণ উৎপাদনের লক্ষ্য হাতে নিয়ে কুতুবদিয়া উপকূলের লবণ চাষিরা গত ৩ সপ্তাহ আগে মাঠে নেমে পড়েছেন। প্রতি একর জমিতে ৫০ মণ সাদা লবণ উৎপাদনের লক্ষ্য তাদের। শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই চাষিরা আগাম লবণ উৎপাদনে ইতোমধ্যে আশানুরূপ সফলতা পেতে শুরু করেছেন।কুতুবদিয়ার লেমশীখালীতে অবস্থিত লবণ প্রদর্শনী কেন্দ্রের প্রধান হাফেজ মো. জাকের হোছাইন বলেন, চলতি বছর কুতুবদিয়া উপকূলে ২৫ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণ করেছেন চাষিরা।এখন আরো বেশি লবণ উৎপাদনের লক্ষ্য প্রান্তিক চাষিদের। বর্তমানে কুতুবদিয়া উপকূলে লবণ চাষিদের মাঠের গর্তে বিপুল পরিমাণ অবিক্রিত লবণ রয়েছে বলে জানান লবণ ব্যবসায়ী আবু ওমর।
গত বছরের চেয়ে চলতি বছর লবণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষিরা আগাম লবণ উৎপাদনে নামেন। গত বছরের চেয়ে এ বছর অধিক লবণ উৎপাদন করতে পারবেন বলে আশা করছেন কুতুবদিয়া উপকূলের চাষিরা। লেমশীখালী বিসিক শিল্পের জরিপ মোতাবেক, কুতুবদিয়া উপকূলের চলতি বছর ৬ হাজার ৫০০ একর জায়গায় লবণ উৎপাদন হচ্ছে। লবণ চাষি মো. কায়ছার বলেন, 'গত বছর প্রতিমণ লবণের দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ছিল। এ বছর উৎপাদিত একই লবণের মূল্য প্রতিমণে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত উঠছে। তাই লবণ চাষিরা শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই লবন উৎপাদনের জন্য মাঠে নেমে পড়ছেন।'
লবণ ব্যবসায়ী শফিউল মোর্শেদ বলেন, ‘দেশে লবণের চাহিদা পূরণের জন্য চাষিরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। গত বছর লবণ চাষিরা টার্গেট পূরণ করে যে সফলতা অর্জন করেছেন তা চলতি বছরও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চাষিরা উৎপাদিত লবণ বিক্রির ক্ষেত্রে দ্বিগুণ সুফল ভোগ করে যাচ্ছেন। তারপরও সরকার লবণ আমদানি করলে দেশের প্রান্তিক লবণ চাষিদের চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
কুতুবদিয়ার লবণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও কৈয়ারবিল ইউপির চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবর বলেন, ‘দেশে চাহিদা মোতাবেক লবণ মজুত ও উৎপাদনে সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি সিন্ডকেটের মাধ্যমে বিদেশ থেকে লবণ আমদানি করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশে উৎপাদিত লবণ চাষিদের চরম ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।
লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয় বিসিক কক্সবাজারের উপ-মহা ব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, সরকারি নির্দেশনায় আমরা লবণ চাষিদের আগাম মাঠে নামার জন্য প্রচারণা শুরু করেছি। সেই সঙ্গে তাদের নানাভাবে উৎসাহ প্রদান করছি। আমরা আশা করছি এ বছর যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তবে আমরা প্রচুর পরিমাণ লবণ উৎপাদন করতে পারবো এবং দেশের লবণের চাহিদা মেটাতে পারবো।