ঈদকে সামনে রেখে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা, নিতে হবে পদক্ষেপ
নাগরিক ডেস্ক
২৯ মার্চ, ২০২৪, 7:33 PM
ঈদকে সামনে রেখে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা, নিতে হবে পদক্ষেপ
আর কিছুদিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদেও সবচেয়ে বড়ো উৎসব ঈদুল ফিতর, স্বাভাবিক ভাবেই বছরের এই সময়টিতে বিপুল পরিমাণ মানুষ রাজধানী ছেড়ে গ্রামে যায় আপনজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে। কিন্তু অনাকাঙ্খিত ভাবে এই সময়টিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে যায় অন্য সময়ের থেকে।
সড়ক-মহাসড়কে নজরদারি কমে যাওয়া ও ঈদ সামনে রেখে অতিরিক্ত উপার্জনের মানসিকতার কারণে বেড়ে যায় সড়ক দুর্ঘটনা। পাশাপাশি অনুমোদনহীন যানবাহন মহাসড়কে চলাচলের কারণেও ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনা দেশের জন্য একটি অপ্রত্যাশিত মরণফাঁদ। আর সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। এক গবেষণায় দেখা যায় দেশে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৯ জন মানুষ সড়কে মারা যাচ্ছেন।
এর প্রায় ৪০ শতাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কারণে। মোটরসাইকের পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলো আনফিট গনপরিবহন। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা যায় আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যাত্রী পরিবহনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পরিবহন মালিকরা। নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে পুরোনো পরিবহনগুলোকে। জোড়াতালি দিয়ে দ্রুতই মেরামত করা হচ্ছে দুর্ঘটনা আক্রান্ত গাড়ি। কোনো কোনো গাড়ির রং, সিট, চাকা ও বডি মেরামত করা হচ্ছে।
আনফিট গাড়ি, দুর্ঘটনা আক্রান্ত গাড়ি অথবা অনেক দিন বসে থাকা গাড়ি যখন রাস্তায় নামে-তখন এর স্থায়িত্ব আছে কি না কিংবা চলাচলের উপযোগী কি না এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়না। ফলে এসব গাড়ি মেরামত হলেও দুর্ঘটনা রোধে যাত্রীদের সুরক্ষার নিশ্চয়তা নেই। দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকেই যায়। গতবছর ঈদুল আজহার আগে-পরে ১৫ দিনে দেশে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত হয়েছিলো। আহত হয়েছিলো কমপক্ষে ৫৬৫ জন। সে বছর ঈদুল ফিতরে উদযাপনকালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ২১.৬ জন নিহত হয়েছিলো।
তাই এবছর যেন একই পরিস্থিতির স্বীকার না হতে হয় সে জন্য কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে, চালকের বেতন ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট করতে হবে। পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা সার্ভিস রোড তৈরি করতে হবে। আনফিট কোন গনপরিবহন রাস্তায় নামানো বন্ধ করতে হবে।
সর্বোপরি সরকারের একার পক্ষে সড়ক দুর্ঘটনা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই সড়ক দুর্ঘটনার মতো মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
নাগরিক ডেস্ক
২৯ মার্চ, ২০২৪, 7:33 PM
আর কিছুদিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদেও সবচেয়ে বড়ো উৎসব ঈদুল ফিতর, স্বাভাবিক ভাবেই বছরের এই সময়টিতে বিপুল পরিমাণ মানুষ রাজধানী ছেড়ে গ্রামে যায় আপনজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে। কিন্তু অনাকাঙ্খিত ভাবে এই সময়টিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে যায় অন্য সময়ের থেকে।
সড়ক-মহাসড়কে নজরদারি কমে যাওয়া ও ঈদ সামনে রেখে অতিরিক্ত উপার্জনের মানসিকতার কারণে বেড়ে যায় সড়ক দুর্ঘটনা। পাশাপাশি অনুমোদনহীন যানবাহন মহাসড়কে চলাচলের কারণেও ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনা দেশের জন্য একটি অপ্রত্যাশিত মরণফাঁদ। আর সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। এক গবেষণায় দেখা যায় দেশে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৯ জন মানুষ সড়কে মারা যাচ্ছেন।
এর প্রায় ৪০ শতাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কারণে। মোটরসাইকের পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলো আনফিট গনপরিবহন। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা যায় আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যাত্রী পরিবহনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পরিবহন মালিকরা। নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে পুরোনো পরিবহনগুলোকে। জোড়াতালি দিয়ে দ্রুতই মেরামত করা হচ্ছে দুর্ঘটনা আক্রান্ত গাড়ি। কোনো কোনো গাড়ির রং, সিট, চাকা ও বডি মেরামত করা হচ্ছে।
আনফিট গাড়ি, দুর্ঘটনা আক্রান্ত গাড়ি অথবা অনেক দিন বসে থাকা গাড়ি যখন রাস্তায় নামে-তখন এর স্থায়িত্ব আছে কি না কিংবা চলাচলের উপযোগী কি না এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়না। ফলে এসব গাড়ি মেরামত হলেও দুর্ঘটনা রোধে যাত্রীদের সুরক্ষার নিশ্চয়তা নেই। দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকেই যায়। গতবছর ঈদুল আজহার আগে-পরে ১৫ দিনে দেশে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত হয়েছিলো। আহত হয়েছিলো কমপক্ষে ৫৬৫ জন। সে বছর ঈদুল ফিতরে উদযাপনকালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ২১.৬ জন নিহত হয়েছিলো।
তাই এবছর যেন একই পরিস্থিতির স্বীকার না হতে হয় সে জন্য কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে, চালকের বেতন ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট করতে হবে। পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা সার্ভিস রোড তৈরি করতে হবে। আনফিট কোন গনপরিবহন রাস্তায় নামানো বন্ধ করতে হবে।
সর্বোপরি সরকারের একার পক্ষে সড়ক দুর্ঘটনা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই সড়ক দুর্ঘটনার মতো মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।