রাঙিয়ে দিতে এলো বসন্ত : ফুলের আভায় সেজেছে প্রকৃতি

নাগরিক প্রতিবেদন
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, 12:15 PM
রাঙিয়ে দিতে এলো বসন্ত : ফুলের আভায় সেজেছে প্রকৃতি
আজ পহেলা ফাল্গুন, (১৪ ফেব্রুয়ারি) বসন্ত এসেছে। পলাশ-শিমুল-কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে আগুনঝরা উচ্ছলতা। বনের নিভৃত কোণে, মেঠোপথের ধারে কারও দেখার অপেক্ষা না করেই ফুটেছে আরও কত নাম না-জানা ফুল। তরুণ মনের আবেগের বিহ্বলতা ছড়িয়ে প্রতিবছর বসন্ত আসে ভালোবাসার ডাক দেওয়া কোকিলের কুহুতানে। এবারের বসন্তে শিমুল-পলাশ-কৃষ্ণচূড়া ফুটবে ঠিকই, কোকিলের কুহুতানেও মুখরিত হবে নিসর্গ প্রকৃতির সবুজ অঙ্গন। এরই মধ্যে প্রকৃতিতে বসন্তের রঙ লেগেছে।'বসন্ত' মানেই ফুলের স্ফুরণ। চোখ-ধাঁধানো ফুলের সমাহার। ফুলের সৌন্দর্য দেখে রবীন্দ্রনাথ গেয়েছিলেন- 'আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে...'। শুধু কি তাই, নজরুলও অশোক-কিংশুকে বিমোহিত হয়ে লিখেছিলেন- 'এল খুলমাখা তূণ নিয়ে/খুনেরা ফাগুন...'। ফাগুনের উদাস হাওয়ায় বাঁধন ছিঁড়েছে প্রাণ। বাঁধনছেঁড়া প্রাণ আজ বুঝি উড়ুউড়ু। ফাগুনের অগ্নিধারায় আপনকেও হারালো মন। হারানো মন ঘুরছে ফাগুনরাঙা বনে।
বছর ঘুরে আবার এলো ফাগুন। ষড়ঋতুর বাংলায় বসন্তের রাজত্ব একেবারে প্রকৃতসিদ্ধ। ঋতুরাজ বসন্তের বর্ণনা কোনো রংতুলির আঁচড়ে শেষ হয় না। কোনো কবি-সাহিত্যিক বসন্তের রূপের বর্ণনায় নিজেকে তৃপ্ত করতে পারেন না। তবু বসন্তবন্দনায় প্রকৃতিপ্রেমীদের চেষ্টার যেন অন্ত থাকে না। শীতের রুক্ষতাকে বিদায় করে প্রকৃতি সেজেছে নবসাজে। ঝরাপাতার দিনশেষে গাছে গাছে নতুন শাখা-কুঁড়ির গান। মুকুল-শিমুল-পলাশে মিতালী করে বসন্ত এরই মধ্যে মেলে ধরেছে আপন রূপ। ফাগুনের আগুনে মন রাঙিয়ে বাঙালিও মেতেছে বাসন্তী উৎসবে। বাঙলির ইতিহাস আবেগের। এ আবেগ যেমন মানুষে মানুষে ভালোবাসার, তেমনি মানুষের সঙ্গে প্রকৃতিরও। দিন-ক্ষণ গুনে গুনে বসন্তবরণের অপেক্ষায় থাকে বাঙালি। কালের পরিক্রমায় বসন্তবরণ আজ বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব। আবাল-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোর সবাই মাতে বসন্ত উন্মাদনায়। শীত চলে যায় রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যায় শীতের জরাজীর্ণতা।
বসন্ত উৎসব বা বরণ, যেটাই বলা হোক, এর সঙ্গে মিশে আছে একেবারে আবহমান গ্রামবাংলা, সোঁদা মাটির ঘ্রাণ। বসন্তে গাছগাছালিতে পত্রপল্লবের নতুন কুঁড়ি যেন গ্রামীণ মানুষের অন্তরকে আরও শুভ্র করে, করে পবিত্রও। যদিও বসন্ত উৎসব এখন গ্রামীণ আয়োজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। শহুরে মানুষের কাছেও বসন্তের আবেদন ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে শহরের তরুণ-তরুণীরা বসন্তবরণে দিরভর ব্যস্ত থাকে। ফুলে ফুলে ভরে যায় কিশোরী-তরুণীদের চুলের খোপা। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বসে খাবারের মেলা। এ দিন দর্শনীয় স্থানগুলোতে মানুষের পদচারণায় যেন তিল ধরার ঠাঁই থাকে না। বসন্তের আগমনে নব উদ্যমে জেগে উঠুক বাঙালি, জেগে উঠুক বাঙালির প্রাণ।
নাগরিক প্রতিবেদন
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, 12:15 PM
আজ পহেলা ফাল্গুন, (১৪ ফেব্রুয়ারি) বসন্ত এসেছে। পলাশ-শিমুল-কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে আগুনঝরা উচ্ছলতা। বনের নিভৃত কোণে, মেঠোপথের ধারে কারও দেখার অপেক্ষা না করেই ফুটেছে আরও কত নাম না-জানা ফুল। তরুণ মনের আবেগের বিহ্বলতা ছড়িয়ে প্রতিবছর বসন্ত আসে ভালোবাসার ডাক দেওয়া কোকিলের কুহুতানে। এবারের বসন্তে শিমুল-পলাশ-কৃষ্ণচূড়া ফুটবে ঠিকই, কোকিলের কুহুতানেও মুখরিত হবে নিসর্গ প্রকৃতির সবুজ অঙ্গন। এরই মধ্যে প্রকৃতিতে বসন্তের রঙ লেগেছে।'বসন্ত' মানেই ফুলের স্ফুরণ। চোখ-ধাঁধানো ফুলের সমাহার। ফুলের সৌন্দর্য দেখে রবীন্দ্রনাথ গেয়েছিলেন- 'আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে...'। শুধু কি তাই, নজরুলও অশোক-কিংশুকে বিমোহিত হয়ে লিখেছিলেন- 'এল খুলমাখা তূণ নিয়ে/খুনেরা ফাগুন...'। ফাগুনের উদাস হাওয়ায় বাঁধন ছিঁড়েছে প্রাণ। বাঁধনছেঁড়া প্রাণ আজ বুঝি উড়ুউড়ু। ফাগুনের অগ্নিধারায় আপনকেও হারালো মন। হারানো মন ঘুরছে ফাগুনরাঙা বনে।
বছর ঘুরে আবার এলো ফাগুন। ষড়ঋতুর বাংলায় বসন্তের রাজত্ব একেবারে প্রকৃতসিদ্ধ। ঋতুরাজ বসন্তের বর্ণনা কোনো রংতুলির আঁচড়ে শেষ হয় না। কোনো কবি-সাহিত্যিক বসন্তের রূপের বর্ণনায় নিজেকে তৃপ্ত করতে পারেন না। তবু বসন্তবন্দনায় প্রকৃতিপ্রেমীদের চেষ্টার যেন অন্ত থাকে না। শীতের রুক্ষতাকে বিদায় করে প্রকৃতি সেজেছে নবসাজে। ঝরাপাতার দিনশেষে গাছে গাছে নতুন শাখা-কুঁড়ির গান। মুকুল-শিমুল-পলাশে মিতালী করে বসন্ত এরই মধ্যে মেলে ধরেছে আপন রূপ। ফাগুনের আগুনে মন রাঙিয়ে বাঙালিও মেতেছে বাসন্তী উৎসবে। বাঙলির ইতিহাস আবেগের। এ আবেগ যেমন মানুষে মানুষে ভালোবাসার, তেমনি মানুষের সঙ্গে প্রকৃতিরও। দিন-ক্ষণ গুনে গুনে বসন্তবরণের অপেক্ষায় থাকে বাঙালি। কালের পরিক্রমায় বসন্তবরণ আজ বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব। আবাল-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোর সবাই মাতে বসন্ত উন্মাদনায়। শীত চলে যায় রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যায় শীতের জরাজীর্ণতা।
বসন্ত উৎসব বা বরণ, যেটাই বলা হোক, এর সঙ্গে মিশে আছে একেবারে আবহমান গ্রামবাংলা, সোঁদা মাটির ঘ্রাণ। বসন্তে গাছগাছালিতে পত্রপল্লবের নতুন কুঁড়ি যেন গ্রামীণ মানুষের অন্তরকে আরও শুভ্র করে, করে পবিত্রও। যদিও বসন্ত উৎসব এখন গ্রামীণ আয়োজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। শহুরে মানুষের কাছেও বসন্তের আবেদন ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে শহরের তরুণ-তরুণীরা বসন্তবরণে দিরভর ব্যস্ত থাকে। ফুলে ফুলে ভরে যায় কিশোরী-তরুণীদের চুলের খোপা। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বসে খাবারের মেলা। এ দিন দর্শনীয় স্থানগুলোতে মানুষের পদচারণায় যেন তিল ধরার ঠাঁই থাকে না। বসন্তের আগমনে নব উদ্যমে জেগে উঠুক বাঙালি, জেগে উঠুক বাঙালির প্রাণ।