মেরিন ড্রাইভে ছাদখোলা বাস : পাহাড় সাগর ঝর্নায় মুগ্ধ দর্শনার্থীরা
জাফর আলম, কক্সবাজার
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, 4:15 PM
মেরিন ড্রাইভে ছাদখোলা বাস : পাহাড় সাগর ঝর্নায় মুগ্ধ দর্শনার্থীরা
একপাশে সমুদ্রের গর্জন আর অন্যপাশে সবুজে মোড়ানো উঁচু পাহাড় থেকে দিচ্ছে সবুজের হাতছানি। এমন নৈসর্গিক সৌন্দর্যের বুক চিরে চলে গেছে মেরিন ড্রাইভ সড়ক। এমনই অবারিত সুন্দরের মাঝখান দিয়ে পর্যটকদের নিয়ে ছুটে চলে ছাদখোলা বাস। সে এক অন্যরকম অনুভূতি। বুধবার (১০ জানুয়ারি) কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করে ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস। যা কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের জন্য যেন এক নতুন দিগন্ত। লাবণী পয়েন্টে থেকে বাসটির যাত্রা শুরু হয় যা গিয়ে থামে রেজুখাল পয়েন্টে। এরপর বিরতি দিয়ে আবার শুরু হয় যাত্রা। মেরিন ড্রাইভের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট ভ্রমণের পর বাস গিয়ে থামে টেকনাফের সাবরাংয়ে। এরপর পুরো দিন মেরিন ড্রাইভে কাটিয়ে সন্ধ্যায় ফের ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসে চড়ে ফেরে ভ্রমণপিপাসুরা। পাহাড়, সাগর ও প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে উপভোগের সুবর্ণ সুযোগ বলে মনে করছেন তারা।
দেশের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলে পাহাড় ও সমুদ্রের মাঝখানে গেছে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ। এ পথে যেতে দেখা মিলে, বন্যপ্রাণী-পাখপাখালির হাঁকডাক, সমুদ্রের জলরাশিতে সারি সারি মাছ ধরার ট্রলার, ঝাউবন ও সামুদ্রিক প্রাণীর অবাধ বিচরণ। ৮০ কিলোমিটার সড়কে এ দৃশ্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের বিমোহিত করে। এ পথেই দেখা যাবে–দরিয়ানগর, হিমছড়ির জাতীয় উদ্যান, ছড়া ও ঝরনা। পাহাড়-সমুদ্রের এ মিতালি দেখতে এবার ছাদখোলা বাস পর্যটকদের জন্য অনন্য মাত্রা যোগ করেছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, যাত্রী চাহিদা বাড়লে ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। প্রথমদিকে দুটি বাস দিয়ে যাত্রা শুরু হলো। আশা করি, আরও দুটি ট্যুরিস্ট বাস খুব শিগগিরই যুক্ত হবে। তিনি আরও বলেন, এই ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসের যাত্রার মাধ্যমে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প আরও একধাপ এগিয়ে গেল। বিআরটিসির পরিচালক ড. অনুপম সাহা বলেন, 'এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে এই বহরে আরও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাস যোগ করতে পারবো। ডিপো চালু করতে পারলে আন্ত:জেলা যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।'
‘দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়কজুড়েই সুন্দরের হাতছানি। সারি সারি ঝাউ বীথি, পাহাড় সমুদ্রের মেলবন্ধন মুগ্ধ করে ভ্রমণপিপাসুদের- বলেন ভ্রমণকারীরা। তারা বলেন, ভ্রমনটি সত্যিই আনন্দদায়ক। মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে দেখতে ছুটে চলা, অন্যরকম শিহরণ জাগায় মনে। পর্যটক কামাল হায়দার বলেন, ‘দুই সন্তান আর আমরা স্বামী-স্ত্রী ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে এসে ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসে করে কক্সবাজারের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছি। প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই, মেরিন ড্রাইভে একটি নতুন যাত্রা করে দেয়ার জন্য।’বাসটিতে একদিনের প্যাকেজে জনপ্রতি খরচ হবে আপার ডেকে সাতশ টাকা আর লোয়ার ডেকে ছয়শ টাকা। এর টিকিট মিলবে লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে।
জাফর আলম, কক্সবাজার
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, 4:15 PM
একপাশে সমুদ্রের গর্জন আর অন্যপাশে সবুজে মোড়ানো উঁচু পাহাড় থেকে দিচ্ছে সবুজের হাতছানি। এমন নৈসর্গিক সৌন্দর্যের বুক চিরে চলে গেছে মেরিন ড্রাইভ সড়ক। এমনই অবারিত সুন্দরের মাঝখান দিয়ে পর্যটকদের নিয়ে ছুটে চলে ছাদখোলা বাস। সে এক অন্যরকম অনুভূতি। বুধবার (১০ জানুয়ারি) কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করে ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস। যা কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের জন্য যেন এক নতুন দিগন্ত। লাবণী পয়েন্টে থেকে বাসটির যাত্রা শুরু হয় যা গিয়ে থামে রেজুখাল পয়েন্টে। এরপর বিরতি দিয়ে আবার শুরু হয় যাত্রা। মেরিন ড্রাইভের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট ভ্রমণের পর বাস গিয়ে থামে টেকনাফের সাবরাংয়ে। এরপর পুরো দিন মেরিন ড্রাইভে কাটিয়ে সন্ধ্যায় ফের ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসে চড়ে ফেরে ভ্রমণপিপাসুরা। পাহাড়, সাগর ও প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে উপভোগের সুবর্ণ সুযোগ বলে মনে করছেন তারা।
দেশের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলে পাহাড় ও সমুদ্রের মাঝখানে গেছে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ। এ পথে যেতে দেখা মিলে, বন্যপ্রাণী-পাখপাখালির হাঁকডাক, সমুদ্রের জলরাশিতে সারি সারি মাছ ধরার ট্রলার, ঝাউবন ও সামুদ্রিক প্রাণীর অবাধ বিচরণ। ৮০ কিলোমিটার সড়কে এ দৃশ্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের বিমোহিত করে। এ পথেই দেখা যাবে–দরিয়ানগর, হিমছড়ির জাতীয় উদ্যান, ছড়া ও ঝরনা। পাহাড়-সমুদ্রের এ মিতালি দেখতে এবার ছাদখোলা বাস পর্যটকদের জন্য অনন্য মাত্রা যোগ করেছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, যাত্রী চাহিদা বাড়লে ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। প্রথমদিকে দুটি বাস দিয়ে যাত্রা শুরু হলো। আশা করি, আরও দুটি ট্যুরিস্ট বাস খুব শিগগিরই যুক্ত হবে। তিনি আরও বলেন, এই ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসের যাত্রার মাধ্যমে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প আরও একধাপ এগিয়ে গেল। বিআরটিসির পরিচালক ড. অনুপম সাহা বলেন, 'এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে এই বহরে আরও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাস যোগ করতে পারবো। ডিপো চালু করতে পারলে আন্ত:জেলা যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।'
‘দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়কজুড়েই সুন্দরের হাতছানি। সারি সারি ঝাউ বীথি, পাহাড় সমুদ্রের মেলবন্ধন মুগ্ধ করে ভ্রমণপিপাসুদের- বলেন ভ্রমণকারীরা। তারা বলেন, ভ্রমনটি সত্যিই আনন্দদায়ক। মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে দেখতে ছুটে চলা, অন্যরকম শিহরণ জাগায় মনে। পর্যটক কামাল হায়দার বলেন, ‘দুই সন্তান আর আমরা স্বামী-স্ত্রী ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে এসে ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসে করে কক্সবাজারের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছি। প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই, মেরিন ড্রাইভে একটি নতুন যাত্রা করে দেয়ার জন্য।’বাসটিতে একদিনের প্যাকেজে জনপ্রতি খরচ হবে আপার ডেকে সাতশ টাকা আর লোয়ার ডেকে ছয়শ টাকা। এর টিকিট মিলবে লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে।