শিল্পখাতে গ্যাস সংকট: নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ জরুরি

#
news image

দেশে বেশ কিছুদিন ধরেই গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিবছরই শীত মৌসুমে দেশে গ্যাসের সংকট দেখা দেয়। মূলত চাহিদানুযায়ী গ্যাস সরবরাহ না থাকাই এর মূল কারণ। তবে এবারের সংকটের ফলে শিল্প উৎপাদনে ধস নেমেছে। গাজীপুরের কোনাবাড়ী, কালিয়াকৈর, কাশিমপুর, নারায়ণগঞ্জসহ অনেক স্থানের বেশিরভাগ কারখানা বন্ধ হওয়ার পথে।

শ্রমিকরা কারখানায় এলেও গ্যাস সংকটের কারণে কাজ করতে পারছেন না। কারখানা মালিকরা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনলেও সংকটের কোনো সুরাহা মিলছে না। এ বিষয়ে এফবিসিসিআই বলেছে, শিল্পণ্ডকারখানা বন্ধ হলে কিংবা বেতন দিতে না পারলে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে।

এতে অর্থনীতির ওপর চাপ পড়বে। আমাদের মনে রাখা দরকার, দেশে ডলার আসার যে কয়টি ক্ষেত্র রয়েছে তার মধ্যে রপ্তানি বাণিজ্য অন্যতম। রপ্তানিমুখী শিল্পণ্ডকারখানা যদি গ্যাস সংকটে ভোগে, তাহলে উৎপাদন যেমন ব্যাহত হবে, তেমনি ডলার আয়ের প্রবাহ কমে গেলে এর প্রভাবও দেশের অর্থনীতিতে পড়বে।

আবার গ্যাসের অভাবে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহারে ব্যয় বেড়ে গেলে উৎপাদিত পণ্যের দামও বেড়ে যাবে, যার প্রভাব অভ্যন্তরীণ তো বটেই, আন্তর্জাতিক বাজারেও পড়বে। চাহিদামাফিক উৎপাদিত পণ্য সময়মতো সরবরাহ করতে না পারলে কিংবা পণ্যের গুণগত মান ঠিক না থাকলে বিদেশি ক্রেতারা অর্ডার কমিয়ে দিতে, এমনকি বাতিলও করতে পারেন, যা অর্থনীতির জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক হবে না।

এ অবস্থায় গ্যাস সংকট কাটাতে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে। পাশাপাশি এলএনজি আমদানির পরিমাণও প্রয়োজনমাফিক বাড়াতে হবে। সর্বোপরি জ্বালানি খাতে স্মার্ট ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে নিকট ভবিষ্যতে এ সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব হবে না। গ্যাস সংকট নিরসনে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

এছাড়া সম্প্রতি কক্সবাজারের মহেশখালীতে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। আমরা মনে করি, ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে যে কোনো সময় যান্ত্রিক সমস্যা হতেই পারে। তবে সে সমস্যা সমাধানের জন্য আগাম প্রস্তুতি রাখা প্রয়োজন।

একটি টার্মিনালে সমস্যা হলে বিকল্প হিসাবে যেন অন্য একটি থেকে গ্যাস সরবরাহ করা যায়, সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে। আমরা সরকারকে এ বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানাই।

নাগরিক ডেস্ক

২৫ জানুয়ারি, ২০২৪,  2:48 AM

news image

দেশে বেশ কিছুদিন ধরেই গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিবছরই শীত মৌসুমে দেশে গ্যাসের সংকট দেখা দেয়। মূলত চাহিদানুযায়ী গ্যাস সরবরাহ না থাকাই এর মূল কারণ। তবে এবারের সংকটের ফলে শিল্প উৎপাদনে ধস নেমেছে। গাজীপুরের কোনাবাড়ী, কালিয়াকৈর, কাশিমপুর, নারায়ণগঞ্জসহ অনেক স্থানের বেশিরভাগ কারখানা বন্ধ হওয়ার পথে।

শ্রমিকরা কারখানায় এলেও গ্যাস সংকটের কারণে কাজ করতে পারছেন না। কারখানা মালিকরা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনলেও সংকটের কোনো সুরাহা মিলছে না। এ বিষয়ে এফবিসিসিআই বলেছে, শিল্পণ্ডকারখানা বন্ধ হলে কিংবা বেতন দিতে না পারলে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে।

এতে অর্থনীতির ওপর চাপ পড়বে। আমাদের মনে রাখা দরকার, দেশে ডলার আসার যে কয়টি ক্ষেত্র রয়েছে তার মধ্যে রপ্তানি বাণিজ্য অন্যতম। রপ্তানিমুখী শিল্পণ্ডকারখানা যদি গ্যাস সংকটে ভোগে, তাহলে উৎপাদন যেমন ব্যাহত হবে, তেমনি ডলার আয়ের প্রবাহ কমে গেলে এর প্রভাবও দেশের অর্থনীতিতে পড়বে।

আবার গ্যাসের অভাবে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহারে ব্যয় বেড়ে গেলে উৎপাদিত পণ্যের দামও বেড়ে যাবে, যার প্রভাব অভ্যন্তরীণ তো বটেই, আন্তর্জাতিক বাজারেও পড়বে। চাহিদামাফিক উৎপাদিত পণ্য সময়মতো সরবরাহ করতে না পারলে কিংবা পণ্যের গুণগত মান ঠিক না থাকলে বিদেশি ক্রেতারা অর্ডার কমিয়ে দিতে, এমনকি বাতিলও করতে পারেন, যা অর্থনীতির জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক হবে না।

এ অবস্থায় গ্যাস সংকট কাটাতে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে। পাশাপাশি এলএনজি আমদানির পরিমাণও প্রয়োজনমাফিক বাড়াতে হবে। সর্বোপরি জ্বালানি খাতে স্মার্ট ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে নিকট ভবিষ্যতে এ সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব হবে না। গ্যাস সংকট নিরসনে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

এছাড়া সম্প্রতি কক্সবাজারের মহেশখালীতে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। আমরা মনে করি, ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে যে কোনো সময় যান্ত্রিক সমস্যা হতেই পারে। তবে সে সমস্যা সমাধানের জন্য আগাম প্রস্তুতি রাখা প্রয়োজন।

একটি টার্মিনালে সমস্যা হলে বিকল্প হিসাবে যেন অন্য একটি থেকে গ্যাস সরবরাহ করা যায়, সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে। আমরা সরকারকে এ বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানাই।