ভেজাল ওষুধের রমরমা বাণিজ্য বন্ধ হবে কবে ?
নাগরিক নিউজ ডেস্ক
১৬ নভেম্বর, ২০২৪, 11:22 PM
ভেজাল ওষুধের রমরমা বাণিজ্য বন্ধ হবে কবে ?
দেশের ওষুধ ব্যবসা এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, যেখানে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে প্রয়োজন স্বাস্থ্য সচেতনতা, ডাক্তার ও ঔষধ। আর ঔষধই অসুস্থতার একমাত্র নিয়ামক। বর্তমানে বাংলাদেশে ওষুধ শিল্প অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক ভালো সময় পার করছে।
বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প দেশের প্রয়োজনীয় সকল ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করতে সমর্থ। তাছাড়াও, দেশের অর্থনীতিতে রাখছে বিরাট ভূমিকা। বাংলাদেশের উৎপাদিত ঔষধের চাহিদা ও ব্যবহার বিশ্ববাজারে বেড়েই চলেছে। এত সব সুখবরের মধ্যে, বিশ্ববাজারে যখন বাংলাদেশে উৎপাদিত ঔষধের চাহিদা বেড়ে চলেছে ঠিক তখনই এর বিপরীত চিত্র দেশের ঔষধের বাজারে। দেশীয় বাজারে উৎপাদিত হচ্ছে ভেজাল ও নকল ঔষধ, যার ফলে ক্রমশই অস্থির হয়ে উঠছে ওষুধ শিল্প ও চিকিৎসা ব্যবস্থা।
নকল ভেজাল ওষুধ তৈরিতে জড়িত নামসর্বস্ব কিছু ওষুধ কোম্পানি এবং তথাকথিত ইউনানী ও হারবাল ওষুধ কোম্পানিগুলো। দেশে ইউনানী ওষুধের লাইসেন্স রয়েছে প্রায় তিনশটি- যা কোনোভাবেই এক ডজনের বেশি হওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। এসব তথাকথিত প্রতিষ্ঠানের আড়ালে হুবহু ‘আসল’ মোড়কে গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের নকল ওষুধ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। যা দেখে ভোক্তাদের আসল-নকল পরখ করা অনেকটাই দুঃসাধ্য। স্বনামধন্য এবং পরিচিত ওষুধ কোম্পানির ওষুধগুলোই নকল করা হয় বেশি।
নকল ওষুধ সাধারণত রুগ্ন কারখানা বা ইউনানী-হারবালের মতো কারখানাগুলোতে উৎপন্ন হয়। রাতের শিফটে এসব নকল ওষুধ উৎপাদন করে ভেজাল সিন্ডিকেটের কুশীলবরা। কারখানা থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় চক্রের তালিকাভুক্ত কিছু ফার্মেসির কাছে পৌঁছানো হয় এসব ভেজাল ওষুধ। মিটফোর্ড কেন্দ্রিক কিছু অসাধু ফার্মেসি নকল ভেজাল চক্রের সঙ্গে জড়িত। সেখান থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রাণঘাতী এসব নকল ওষুধ।
ভেজাল ওষুধের রমরমা বাণিজ্যের কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে। ওষুধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩-এ নকল ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিপণনের অপরাধকে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু তার প্রয়োগ নেই। এ বিষয়ে সরকার সক্রিয় হলে নকল ভেজাল রোধে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
নকল এবং ভেজাল ওষুধের বাজার বন্ধ না করতে পারে ওষুধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা দিনে দিনে কমে আসবে। এতে বড় ঝুঁকিতে পড়তে পারে স্বাস্থ্য খাত। তাই এসব ক্ষেত্রে আইনকানুন পরিবর্তন করে আরও কঠোর শাস্তির বিধান চালু করতে হবে, যাতে করে আর কেউ কোনো সময় নকল, ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করার সাহস না পায়।
নাগরিক নিউজ ডেস্ক
১৬ নভেম্বর, ২০২৪, 11:22 PM
দেশের ওষুধ ব্যবসা এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, যেখানে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে প্রয়োজন স্বাস্থ্য সচেতনতা, ডাক্তার ও ঔষধ। আর ঔষধই অসুস্থতার একমাত্র নিয়ামক। বর্তমানে বাংলাদেশে ওষুধ শিল্প অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক ভালো সময় পার করছে।
বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প দেশের প্রয়োজনীয় সকল ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করতে সমর্থ। তাছাড়াও, দেশের অর্থনীতিতে রাখছে বিরাট ভূমিকা। বাংলাদেশের উৎপাদিত ঔষধের চাহিদা ও ব্যবহার বিশ্ববাজারে বেড়েই চলেছে। এত সব সুখবরের মধ্যে, বিশ্ববাজারে যখন বাংলাদেশে উৎপাদিত ঔষধের চাহিদা বেড়ে চলেছে ঠিক তখনই এর বিপরীত চিত্র দেশের ঔষধের বাজারে। দেশীয় বাজারে উৎপাদিত হচ্ছে ভেজাল ও নকল ঔষধ, যার ফলে ক্রমশই অস্থির হয়ে উঠছে ওষুধ শিল্প ও চিকিৎসা ব্যবস্থা।
নকল ভেজাল ওষুধ তৈরিতে জড়িত নামসর্বস্ব কিছু ওষুধ কোম্পানি এবং তথাকথিত ইউনানী ও হারবাল ওষুধ কোম্পানিগুলো। দেশে ইউনানী ওষুধের লাইসেন্স রয়েছে প্রায় তিনশটি- যা কোনোভাবেই এক ডজনের বেশি হওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। এসব তথাকথিত প্রতিষ্ঠানের আড়ালে হুবহু ‘আসল’ মোড়কে গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের নকল ওষুধ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। যা দেখে ভোক্তাদের আসল-নকল পরখ করা অনেকটাই দুঃসাধ্য। স্বনামধন্য এবং পরিচিত ওষুধ কোম্পানির ওষুধগুলোই নকল করা হয় বেশি।
নকল ওষুধ সাধারণত রুগ্ন কারখানা বা ইউনানী-হারবালের মতো কারখানাগুলোতে উৎপন্ন হয়। রাতের শিফটে এসব নকল ওষুধ উৎপাদন করে ভেজাল সিন্ডিকেটের কুশীলবরা। কারখানা থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় চক্রের তালিকাভুক্ত কিছু ফার্মেসির কাছে পৌঁছানো হয় এসব ভেজাল ওষুধ। মিটফোর্ড কেন্দ্রিক কিছু অসাধু ফার্মেসি নকল ভেজাল চক্রের সঙ্গে জড়িত। সেখান থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রাণঘাতী এসব নকল ওষুধ।
ভেজাল ওষুধের রমরমা বাণিজ্যের কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে। ওষুধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩-এ নকল ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিপণনের অপরাধকে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু তার প্রয়োগ নেই। এ বিষয়ে সরকার সক্রিয় হলে নকল ভেজাল রোধে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
নকল এবং ভেজাল ওষুধের বাজার বন্ধ না করতে পারে ওষুধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা দিনে দিনে কমে আসবে। এতে বড় ঝুঁকিতে পড়তে পারে স্বাস্থ্য খাত। তাই এসব ক্ষেত্রে আইনকানুন পরিবর্তন করে আরও কঠোর শাস্তির বিধান চালু করতে হবে, যাতে করে আর কেউ কোনো সময় নকল, ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করার সাহস না পায়।