বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে

#
news image

বিশেষ ট্রেনের মাধ্যমে কৃষি ও অন্যান্য পণ্য পরিবহনে উৎসাহিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সরকারের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের স্বল্পমূল্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষি ও অন্যান্য পণ্য পরিবহনের জন্য তিনটি বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়েছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রতিটি বিশেষ ট্রেন প্রতিদিন ১২০ টন পণ্য বহন করতে সক্ষম। ট্রেনের অত্যাধুনিক লাগেজ ভ্যানের মাধ্যমে ফল ও সবজি পরিবহণ করা যাবে। এছাড়া হিমায়িত পণ্য যেমন মাছ, মাংস এবং দুধও রেফ্রিজারেটেড লাগেজ ভ্যানে পরিবহণ করা যেতে পারে। পণ্য পরিবহনে কম খরচ, নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত পরিবেশে ঢাকায় সবজি পাঠানোর সহজ পদ্ধতি হলেও চাষিরা এই বিশেষ ট্রেন ব্যবহার করছেন না। তিন কারণে তারা সবজি পরিবহনে ট্রেন ব্যবহার করছেন না।

সেগুলো হলো- এ বছর জুলাইয়ের শেষ থেকে অক্টোবরের মাঝপর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টিপাতে সবজি উৎপাদন কম, যশোরের যে-সব ক্ষেতে সবজি রয়েছে কৃষকরা সেখান থেকেই বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং সবজি ক্ষেত থেকে স্টেশন পর্যন্ত আনতে মাধ্যম (ভ্যান, নসিমন, করিমন ইত্যাদির ভাড়া, লেবার কষ্ট ইত্যাদি) খরচের কারণে আগ্রহ হারিয়েছেন। নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখীর কারণে নাকাল মধ্যবিত্ত শ্রেণি। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দেশের ১৫টি উৎপাদক অঞ্চল থেকে কৃষিপণ্য সংগ্রহ করে দেশব্যাপী সরবরাহ নিশ্চিতের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ। তবে দেশের সবজির চাহিদার বড় অংশ পূরণকারী যশোর অঞ্চলের কৃষকরা এ খবর জানেন না। যশোরের সবজি চাষি ও পাইকাররা বলেন, বিশেষ এই ট্রেনের কোনো খবর তারা জানেন না।

সড়কপথে সবজি পরিবহনে অতিরিক্ত খরচসহ পথে পথে চাঁদা দিতে হয় তাদের। এতে দামে প্রভাব পড়ে। ট্রেনে পণ্য সরবরাহ করতে পারলে খরচ কম হবে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। রেলওয়ে কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ ট্রেন চালানোর উদ্যোগটিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কারণ কৃষিপণ্য ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্য কম খরচে ঢাকার বাজারে পাঠানোর সুযোগ তৈরি হলো, ঠিক একই সঙ্গে রেলওয়েরও আয়ের ক্ষেত্র তৈরি হলো। তবে এটিকে সফল উদ্যোগে পরিণত করতে হলে রেলওয়েকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।

খুলনা-ঢাকা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ–ঢাকা রুটে কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য যে বিশেষ ট্রেন চালু হয়েছে, সেটা শুরুতে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রচারণা হয়নি বলে জানা গেছে। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা যাতে ট্রেনে করে পণ্য পরিবহনে আগ্রহী হন, সে জন্য ব্যাপক প্রচারণার বিকল্প নেই। যে-সব সমস্যা দেখা দিয়েছে তা সমাধানে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।

নাগরিক নিউজ ডেস্ক

১৩ নভেম্বর, ২০২৪,  10:26 PM

news image

বিশেষ ট্রেনের মাধ্যমে কৃষি ও অন্যান্য পণ্য পরিবহনে উৎসাহিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সরকারের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের স্বল্পমূল্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষি ও অন্যান্য পণ্য পরিবহনের জন্য তিনটি বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়েছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রতিটি বিশেষ ট্রেন প্রতিদিন ১২০ টন পণ্য বহন করতে সক্ষম। ট্রেনের অত্যাধুনিক লাগেজ ভ্যানের মাধ্যমে ফল ও সবজি পরিবহণ করা যাবে। এছাড়া হিমায়িত পণ্য যেমন মাছ, মাংস এবং দুধও রেফ্রিজারেটেড লাগেজ ভ্যানে পরিবহণ করা যেতে পারে। পণ্য পরিবহনে কম খরচ, নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত পরিবেশে ঢাকায় সবজি পাঠানোর সহজ পদ্ধতি হলেও চাষিরা এই বিশেষ ট্রেন ব্যবহার করছেন না। তিন কারণে তারা সবজি পরিবহনে ট্রেন ব্যবহার করছেন না।

সেগুলো হলো- এ বছর জুলাইয়ের শেষ থেকে অক্টোবরের মাঝপর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টিপাতে সবজি উৎপাদন কম, যশোরের যে-সব ক্ষেতে সবজি রয়েছে কৃষকরা সেখান থেকেই বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং সবজি ক্ষেত থেকে স্টেশন পর্যন্ত আনতে মাধ্যম (ভ্যান, নসিমন, করিমন ইত্যাদির ভাড়া, লেবার কষ্ট ইত্যাদি) খরচের কারণে আগ্রহ হারিয়েছেন। নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখীর কারণে নাকাল মধ্যবিত্ত শ্রেণি। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দেশের ১৫টি উৎপাদক অঞ্চল থেকে কৃষিপণ্য সংগ্রহ করে দেশব্যাপী সরবরাহ নিশ্চিতের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ। তবে দেশের সবজির চাহিদার বড় অংশ পূরণকারী যশোর অঞ্চলের কৃষকরা এ খবর জানেন না। যশোরের সবজি চাষি ও পাইকাররা বলেন, বিশেষ এই ট্রেনের কোনো খবর তারা জানেন না।

সড়কপথে সবজি পরিবহনে অতিরিক্ত খরচসহ পথে পথে চাঁদা দিতে হয় তাদের। এতে দামে প্রভাব পড়ে। ট্রেনে পণ্য সরবরাহ করতে পারলে খরচ কম হবে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। রেলওয়ে কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ ট্রেন চালানোর উদ্যোগটিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কারণ কৃষিপণ্য ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্য কম খরচে ঢাকার বাজারে পাঠানোর সুযোগ তৈরি হলো, ঠিক একই সঙ্গে রেলওয়েরও আয়ের ক্ষেত্র তৈরি হলো। তবে এটিকে সফল উদ্যোগে পরিণত করতে হলে রেলওয়েকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।

খুলনা-ঢাকা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ–ঢাকা রুটে কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য যে বিশেষ ট্রেন চালু হয়েছে, সেটা শুরুতে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রচারণা হয়নি বলে জানা গেছে। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা যাতে ট্রেনে করে পণ্য পরিবহনে আগ্রহী হন, সে জন্য ব্যাপক প্রচারণার বিকল্প নেই। যে-সব সমস্যা দেখা দিয়েছে তা সমাধানে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।