শিরোনামঃ
সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপন লাল বেনারসিতে দ্যুতি ছড়ালেন সাদিয়া আয়মান ফেলানীর নামে গুলশানে সড়ক, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে ‘ফেলানী এভিনিউ’ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সরকার সব ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা জুড়ীতে অবৈধ বালু উত্তোলন: দুটি নৌকা জব্দ  আসিফ ও মাহফুজ কোন দলে যোগ দিচ্ছেন? প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করলেন কেট উইন্সলেট ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের পরই পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের আপিল শুনানি ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি, তফসিল ঘোষণা করলেন সিইসি শীতে কোনটা ব্যবহার করবেন, গ্লিসারিন নাকি জেলি?

জুড়ীতে অবৈধ বালু উত্তোলন: দুটি নৌকা জব্দ

#
news image

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার কন্টিনালা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে বালুভর্তি দুটি নৌকা জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জুড়ী উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা আক্তার।

গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে স্থানীয় জনতা বেআইনিভাবে উত্তোলিত বালু ভর্তি অবস্থায় দুটি নৌকা আটক করে। পরে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা আক্তারকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নৌকা দুটি বালুসহ জব্দ করেন এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখেন।‌

অনুসন্ধানে জানা যায়, কন্টিনালা ও রাবার ড্যাম এলাকা থেকে একটি চক্র দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এই চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন রাবার ড্যাম ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জমির আলী। তাঁর নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন এই এলাকা থেকে ৪০-৫০ হাজার টাকার বালি অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।‌ এ ক্ষোভের পরিপ্রক্ষিতে স্থানীয় জনতা রাতে পরবর্তী দুটি নৌকা আটক করে। 

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে একটি সিন্ডিকেট বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। আর জুলাই অভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বেলাগাও গ্রামের মৃত আনু মিয়ার ছেলে জমির আলীর নেতৃত্বে বালু উত্তোলন চক্র সক্রিয় হয়ে পড়ে। তাদেরকে স্থানীয় এলাকাবাসী বাধা দিলে কখনো মসজিদের নাম, কখনো রাবার ড্যামের নাম ব্যবহার করলেও মূলত বালু বিক্রি করাই ছিল তাদের প্রদান কাজ। এই বালু খেকো চক্র থেকে মুক্তি চান এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত জমিরের মুঠো ফোনে বারবার ফোন দিলেও মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সরকারি কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা আক্তার  বলেন, নদী দখল ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইন অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষা ও নদী রক্ষায় নিয়মিত অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলে তিনি জানান।‌

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫,  9:24 PM

news image

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার কন্টিনালা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে বালুভর্তি দুটি নৌকা জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জুড়ী উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা আক্তার।

গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে স্থানীয় জনতা বেআইনিভাবে উত্তোলিত বালু ভর্তি অবস্থায় দুটি নৌকা আটক করে। পরে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা আক্তারকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নৌকা দুটি বালুসহ জব্দ করেন এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখেন।‌

অনুসন্ধানে জানা যায়, কন্টিনালা ও রাবার ড্যাম এলাকা থেকে একটি চক্র দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এই চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন রাবার ড্যাম ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জমির আলী। তাঁর নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন এই এলাকা থেকে ৪০-৫০ হাজার টাকার বালি অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।‌ এ ক্ষোভের পরিপ্রক্ষিতে স্থানীয় জনতা রাতে পরবর্তী দুটি নৌকা আটক করে। 

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে একটি সিন্ডিকেট বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। আর জুলাই অভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বেলাগাও গ্রামের মৃত আনু মিয়ার ছেলে জমির আলীর নেতৃত্বে বালু উত্তোলন চক্র সক্রিয় হয়ে পড়ে। তাদেরকে স্থানীয় এলাকাবাসী বাধা দিলে কখনো মসজিদের নাম, কখনো রাবার ড্যামের নাম ব্যবহার করলেও মূলত বালু বিক্রি করাই ছিল তাদের প্রদান কাজ। এই বালু খেকো চক্র থেকে মুক্তি চান এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত জমিরের মুঠো ফোনে বারবার ফোন দিলেও মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সরকারি কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা আক্তার  বলেন, নদী দখল ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইন অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষা ও নদী রক্ষায় নিয়মিত অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলে তিনি জানান।‌