বেড়েছে ভিক্ষুকের সংখ্যা, ভিক্ষাবৃত্তি চক্রকে প্রতিহত করা জরুরি
নাগরিক ডেস্ক
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪, 11:00 PM
বেড়েছে ভিক্ষুকের সংখ্যা, ভিক্ষাবৃত্তি চক্রকে প্রতিহত করা জরুরি
রাজধানীতে কয়েকগুণ বেড়েছে ভিক্ষুকের সংখ্যা। বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলির মোড়ে, কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান, চায়ের দোকান, বিপণি-বিতান, বেশি যানজটের সড়ক ও ট্রাফিক সিগন্যাল, মসজিদ, বাস, ট্রেন, লঞ্চ টার্মিনাল, এটিএম বুথ, শপিং মলের সামনে হাজার হাজার ভিক্ষুক ভিক্ষা করছেন। এতে করে বুঝতে আর বাকি থাকেনা যে, আমাদের জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশ চরম দরিদ্র। তাদের থাকা-খাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। বাধ্য হয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে নামতে হয় তাদের।
তবে অসহায় ভিক্ষুকদের পাশাপাশি পেশাদার ভিক্ষুকদের ভীড়ে অসহায় ভিক্ষুক এখন কম। পুরো রাজধানী জুড়েই অসংখ্য অসহায় নারী, বয়স্ক পুরুষ যারা কাউকে দেখলেই সাহায্য প্রার্থনা করছেন। সবার দ্বারে দ্বারে গিয়ে হাত পাতছেন। মানিব্যাগ বের করলে বা কেউ গাড়ির দরজা খুললেই সামনে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন। এসব নারীর সঙ্গে থাকছে শিশুসন্তানেরাও। মায়ের সঙ্গে তারাও করুণ চাউনি নিয়ে তাকিয়ে থাকছে কিছু পাওয়ার আশায়। বেশির ভাগ মধ্যবয়সী এসব নারী কখনোই ভিক্ষুক ছিলেন না। পথে পথে মানুষ বসে আছে ভিক্ষার আশায়। বিভিন্ন পেশার শ্রমিকেরা কর্মহীন হয়ে এখন ভিক্ষা করছেন।
তবে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ। এরপরও অনেক সময় অসহায়, দুর্বল, দরিদ্র ও পঙ্গুরা ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েন অ-পছন্দনীয় হওয়া সত্ত্বেও। অপমানকর হলেও পুনর্বাসন আর ভরণপোষণের ব্যবস্থা না থাকায় তারা ভিক্ষা করতে বাধ্য হন।কিন্তু এ ধরনের ভিক্ষুকের সংখ্যা এখন খুবই কম। কয়েক দশক ধরে রাজধানী ঢাকায় গড়ে উঠেছে চক্রের মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তি। রীতিমতো এটিকে অনেকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
দিন দিন ভিক্ষাবৃত্তি যেন পরিণত হচ্ছে লাভজনক বাণিজ্যে। পেশাদার ভিক্ষুকদের উৎপাতে অতিষ্ঠ নগরবাসী। রাজধানীর কিছু এলাকা ভিক্ষুক-মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। অবশ্য তাতে কাক্সিক্ষত ফল মিলছে না। কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এর মাধ্যমে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার মালিক হয়েছেন; এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ ধরনের জঘন্য পেশা রোধে এসব লোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখনই সময়। আর সেজন্য সরকারসহ সমাজের সকল স্তর থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
এ চক্রকে প্রতিহত করা প্রয়োজন। এবং পেশাদার ভিক্ষুকদের চিহ্নিত করে নিয়ম অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে অভাবীদের সাহায্যের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সুতরাং,ভিক্ষাবৃত্তির লজ্জা থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে হবে।
নাগরিক ডেস্ক
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪, 11:00 PM
রাজধানীতে কয়েকগুণ বেড়েছে ভিক্ষুকের সংখ্যা। বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলির মোড়ে, কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান, চায়ের দোকান, বিপণি-বিতান, বেশি যানজটের সড়ক ও ট্রাফিক সিগন্যাল, মসজিদ, বাস, ট্রেন, লঞ্চ টার্মিনাল, এটিএম বুথ, শপিং মলের সামনে হাজার হাজার ভিক্ষুক ভিক্ষা করছেন। এতে করে বুঝতে আর বাকি থাকেনা যে, আমাদের জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশ চরম দরিদ্র। তাদের থাকা-খাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। বাধ্য হয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে নামতে হয় তাদের।
তবে অসহায় ভিক্ষুকদের পাশাপাশি পেশাদার ভিক্ষুকদের ভীড়ে অসহায় ভিক্ষুক এখন কম। পুরো রাজধানী জুড়েই অসংখ্য অসহায় নারী, বয়স্ক পুরুষ যারা কাউকে দেখলেই সাহায্য প্রার্থনা করছেন। সবার দ্বারে দ্বারে গিয়ে হাত পাতছেন। মানিব্যাগ বের করলে বা কেউ গাড়ির দরজা খুললেই সামনে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন। এসব নারীর সঙ্গে থাকছে শিশুসন্তানেরাও। মায়ের সঙ্গে তারাও করুণ চাউনি নিয়ে তাকিয়ে থাকছে কিছু পাওয়ার আশায়। বেশির ভাগ মধ্যবয়সী এসব নারী কখনোই ভিক্ষুক ছিলেন না। পথে পথে মানুষ বসে আছে ভিক্ষার আশায়। বিভিন্ন পেশার শ্রমিকেরা কর্মহীন হয়ে এখন ভিক্ষা করছেন।
তবে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ। এরপরও অনেক সময় অসহায়, দুর্বল, দরিদ্র ও পঙ্গুরা ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েন অ-পছন্দনীয় হওয়া সত্ত্বেও। অপমানকর হলেও পুনর্বাসন আর ভরণপোষণের ব্যবস্থা না থাকায় তারা ভিক্ষা করতে বাধ্য হন।কিন্তু এ ধরনের ভিক্ষুকের সংখ্যা এখন খুবই কম। কয়েক দশক ধরে রাজধানী ঢাকায় গড়ে উঠেছে চক্রের মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তি। রীতিমতো এটিকে অনেকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
দিন দিন ভিক্ষাবৃত্তি যেন পরিণত হচ্ছে লাভজনক বাণিজ্যে। পেশাদার ভিক্ষুকদের উৎপাতে অতিষ্ঠ নগরবাসী। রাজধানীর কিছু এলাকা ভিক্ষুক-মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। অবশ্য তাতে কাক্সিক্ষত ফল মিলছে না। কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এর মাধ্যমে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার মালিক হয়েছেন; এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ ধরনের জঘন্য পেশা রোধে এসব লোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখনই সময়। আর সেজন্য সরকারসহ সমাজের সকল স্তর থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
এ চক্রকে প্রতিহত করা প্রয়োজন। এবং পেশাদার ভিক্ষুকদের চিহ্নিত করে নিয়ম অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে অভাবীদের সাহায্যের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সুতরাং,ভিক্ষাবৃত্তির লজ্জা থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে হবে।