হারিয়ে যাচ্ছে অতিথি পাখি, নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নিন

#
news image

প্রতি বছর শীতকালে বাংলাদেশে হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমন ঘটে। পুরো শীত মৌসুমে চোখে পড়ে এসব পাখি। একটি দেশে যখন পাখিদের খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয় এবং তাদের বসবাস এর অযোগ্য হয়ে ওঠে তখন তারা বাঁচার জন্য অন্য দেশে পাড়ি জমায়।

বাংলাদেশের জলবায়ু পাখি বসবাস এর জন্য অত্যন্ত উপযোগী তাই এসব পাখিরা হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এ দেশে আসেন। এসে তারা আশ্রয় নেয় বিভিন্ন নদী নালা খাল বিল সাগর পাহাড় বন জঙ্গলে এ ছাড়াও কিছুকিছু স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পাঙ্গনে আশ্রয় নেয় এসব পাখি।

অতিথি পাখি গুলোর মধ্যে যে সব পাখি এ দেশে আসে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, চখাচখি, রাজহাঁস, মানিকজোড়, গাংকবুতর, নারুদ্দি, চিনাহাঁস, নাইরাল ল্যাঙ্গি, ভোলাপাখি, হারিয়াল, বনহুর, বুরলিহাস, সিরিয়া পাতিরা, পিয়াংচিনা, কবালি, যেনজি, প্রোভায়, নাইবাল, ডেলা ঘেনজি, গ্রাসওয়ার, গেন্ডাভার ও বারহেড অন্যতম। এদের কেউ কেউ পুরো শীতকাল আমাদের দেশে কাটায়। বাকিরা আমাদের সীমানা সাময়িক আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করে।

এসব পাখি যে শুধু নিজেদের জীবন বাঁচাতে আসে তা না এদের দ্বরা আমরা ও উপকৃত হই, প্রকৃতির শোভাবর্ধন ছাড়া ও এরা ফসলের জমির ক্ষতি কর পোকামাকড় খেয়ে ফেলে যার ফলে ফসলের উৎপাদন বেড়ে যায় অনেক গুন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, দিন দিন কমে যাচ্ছে এসব পাখিদের আগমন এর কারণ হলো মনষ্যতহীন কিছু মানুষ এদের আগমনের সাথে সাথে এদের কে শিকার করছে খাঁচায় বন্ধী করে রাখছে ,বন জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করছে এতে পাখিদের আবাস্থল ও নষ্ট হয়েছে। দিন দিন এ গুলোর পরিমাণ বেড়েই চলছে।

অতিথি পাখি যেন নিরাপদে বাংলাদেশে অবস্থান করতে পারে সেজন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এর বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েছে অনেক। এসব পাখি শিকার বা হত্যাকে দন্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য করা হলেও শিকারিরা মানছেন না এইসব নীতি মালা। এজন্য প্রাণ হারাচ্ছে হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে আসা দুর্লভ প্রজাতির পাখিগুলো। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে আশঙ্কাজনক হারে শীতে আসা পাখির সংখ্যা হ্রাস পাঁচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে একসময় অতিথি পাখি হারিয়ে যাবে এ দেশ থেকে।

অতিথি পাখি আমাদের বন্ধু, তাই তাদের অবাধ বিচরণে জনগণকে সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি   সরকার কে পাখি শিকার, পাখি কেনাবেচা, খাঁচায় পাখি পালন সহ সকল বিষয়ে কঠোর আইনি  ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তা প্রয়োগ করতে হবে।

নাগরিক ডেস্ক

১১ জানুয়ারি, ২০২৪,  11:44 PM

news image

প্রতি বছর শীতকালে বাংলাদেশে হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমন ঘটে। পুরো শীত মৌসুমে চোখে পড়ে এসব পাখি। একটি দেশে যখন পাখিদের খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয় এবং তাদের বসবাস এর অযোগ্য হয়ে ওঠে তখন তারা বাঁচার জন্য অন্য দেশে পাড়ি জমায়।

বাংলাদেশের জলবায়ু পাখি বসবাস এর জন্য অত্যন্ত উপযোগী তাই এসব পাখিরা হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এ দেশে আসেন। এসে তারা আশ্রয় নেয় বিভিন্ন নদী নালা খাল বিল সাগর পাহাড় বন জঙ্গলে এ ছাড়াও কিছুকিছু স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পাঙ্গনে আশ্রয় নেয় এসব পাখি।

অতিথি পাখি গুলোর মধ্যে যে সব পাখি এ দেশে আসে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, চখাচখি, রাজহাঁস, মানিকজোড়, গাংকবুতর, নারুদ্দি, চিনাহাঁস, নাইরাল ল্যাঙ্গি, ভোলাপাখি, হারিয়াল, বনহুর, বুরলিহাস, সিরিয়া পাতিরা, পিয়াংচিনা, কবালি, যেনজি, প্রোভায়, নাইবাল, ডেলা ঘেনজি, গ্রাসওয়ার, গেন্ডাভার ও বারহেড অন্যতম। এদের কেউ কেউ পুরো শীতকাল আমাদের দেশে কাটায়। বাকিরা আমাদের সীমানা সাময়িক আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করে।

এসব পাখি যে শুধু নিজেদের জীবন বাঁচাতে আসে তা না এদের দ্বরা আমরা ও উপকৃত হই, প্রকৃতির শোভাবর্ধন ছাড়া ও এরা ফসলের জমির ক্ষতি কর পোকামাকড় খেয়ে ফেলে যার ফলে ফসলের উৎপাদন বেড়ে যায় অনেক গুন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, দিন দিন কমে যাচ্ছে এসব পাখিদের আগমন এর কারণ হলো মনষ্যতহীন কিছু মানুষ এদের আগমনের সাথে সাথে এদের কে শিকার করছে খাঁচায় বন্ধী করে রাখছে ,বন জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করছে এতে পাখিদের আবাস্থল ও নষ্ট হয়েছে। দিন দিন এ গুলোর পরিমাণ বেড়েই চলছে।

অতিথি পাখি যেন নিরাপদে বাংলাদেশে অবস্থান করতে পারে সেজন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এর বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েছে অনেক। এসব পাখি শিকার বা হত্যাকে দন্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য করা হলেও শিকারিরা মানছেন না এইসব নীতি মালা। এজন্য প্রাণ হারাচ্ছে হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে আসা দুর্লভ প্রজাতির পাখিগুলো। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে আশঙ্কাজনক হারে শীতে আসা পাখির সংখ্যা হ্রাস পাঁচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে একসময় অতিথি পাখি হারিয়ে যাবে এ দেশ থেকে।

অতিথি পাখি আমাদের বন্ধু, তাই তাদের অবাধ বিচরণে জনগণকে সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি   সরকার কে পাখি শিকার, পাখি কেনাবেচা, খাঁচায় পাখি পালন সহ সকল বিষয়ে কঠোর আইনি  ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তা প্রয়োগ করতে হবে।