রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে শিক্ষাঙ্গনে বাড়ছে অস্থিরতা

#
news image

দেশে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বেশ ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে, স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয় নভেম্বরে। ভর্তি কার্যক্রমও চলতি মাসেই হবে। কিন্তু এরিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। অবরোধে বিভিন্ন স্থানে চলছে আগুন-ভাঙচুর। এমন বাস্তবতায় বাবা-মায়েরা সন্তানদের পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায়।

সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর ব্যাপারে সবসময় ভয়ের মধ্যে আছেন তারা। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক জোটের টানা কর্মসূচিতে শিক্ষাঙ্গনে বাড়ছে অস্থিরতা। ইতোমধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। লাগাতার হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচিতে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শেষ প্রান্তিকের মূল্যায়নও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৫ নভেম্বরের পরিবর্তে এ দুটি শ্রেণির নতুন শিক্ষাক্রমের বার্ষিক মূল্যায়ন আগামী ৯ নভেম্বর ধার্য করা হয়। কিন্তু গ্রামের তুলনায় শহরের স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্কুল প্রধানরাও। অবশ্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানানো হয়েছে যেসব শিক্ষার্থী হরতাল কিংবা অবরোধে স্কুলে আসতে পারছে না তাদেরকে স্কুলে অনুপস্থিত দেখানো যাবে না।

কিন্তু কর্মদিবসগুলোয় টানা রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকায় ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। উদ্বেগ তৈরি হয়েছে পরীক্ষা আয়োজন নিয়েও। একই অবস্থা উচ্চশিক্ষায়ও। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হরতাল-অবরোধের মধ্যে করোনাকালের মতো অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছে। তবে পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে তাদেরও। অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কারণ যাতায়াত যদি নিরাপদ না থাকে, তাহলে অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক সবাই চিন্তিত থাকবেন। এ বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের প্রয়োজন।

রাজনৈতিক মতবিরোধ, সমাবেশের অধিকার, এজেন্ডা বাস্তবায়নের কর্মসূচিতে শিক্ষার মতো বিষয়গুলো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়- তা দেখার দায়িত্বও রাজনৈতিক দলগুলোর।  শিক্ষার্থীদের বিষয়েও নেতাদের ভাবা উচিত। আমরা এ থেকে পরিত্রাণ চাই। এমনিতেই আমাদের ক্রমাবনতিশীল শিক্ষাব্যবস্থা করোনায় হোঁচট খেয়েছে। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার গতি কমে এসেছে।

শিক্ষার্থী ঝরে পড়া ও বাল্যবিবাহ বেড়ে গেছে। তাই এ রাজনৈতিক বিদদের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ হলো আলাপণ্ডআলোচনা। রাজনৈতিক বিরোধে শিক্ষার্থীরা কেন বলির পাঁঠা হবে? শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে যাতে নতুন কোনো অনিশ্চয়তা তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে সরকারি দল, বিরোধী দল-সব পক্ষকেই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

নাগরিক ডেস্ক

১৮ নভেম্বর, ২০২৩,  1:30 AM

news image

দেশে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বেশ ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে, স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয় নভেম্বরে। ভর্তি কার্যক্রমও চলতি মাসেই হবে। কিন্তু এরিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। অবরোধে বিভিন্ন স্থানে চলছে আগুন-ভাঙচুর। এমন বাস্তবতায় বাবা-মায়েরা সন্তানদের পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায়।

সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর ব্যাপারে সবসময় ভয়ের মধ্যে আছেন তারা। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক জোটের টানা কর্মসূচিতে শিক্ষাঙ্গনে বাড়ছে অস্থিরতা। ইতোমধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। লাগাতার হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচিতে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শেষ প্রান্তিকের মূল্যায়নও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৫ নভেম্বরের পরিবর্তে এ দুটি শ্রেণির নতুন শিক্ষাক্রমের বার্ষিক মূল্যায়ন আগামী ৯ নভেম্বর ধার্য করা হয়। কিন্তু গ্রামের তুলনায় শহরের স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্কুল প্রধানরাও। অবশ্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানানো হয়েছে যেসব শিক্ষার্থী হরতাল কিংবা অবরোধে স্কুলে আসতে পারছে না তাদেরকে স্কুলে অনুপস্থিত দেখানো যাবে না।

কিন্তু কর্মদিবসগুলোয় টানা রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকায় ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। উদ্বেগ তৈরি হয়েছে পরীক্ষা আয়োজন নিয়েও। একই অবস্থা উচ্চশিক্ষায়ও। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হরতাল-অবরোধের মধ্যে করোনাকালের মতো অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছে। তবে পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে তাদেরও। অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কারণ যাতায়াত যদি নিরাপদ না থাকে, তাহলে অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক সবাই চিন্তিত থাকবেন। এ বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের প্রয়োজন।

রাজনৈতিক মতবিরোধ, সমাবেশের অধিকার, এজেন্ডা বাস্তবায়নের কর্মসূচিতে শিক্ষার মতো বিষয়গুলো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়- তা দেখার দায়িত্বও রাজনৈতিক দলগুলোর।  শিক্ষার্থীদের বিষয়েও নেতাদের ভাবা উচিত। আমরা এ থেকে পরিত্রাণ চাই। এমনিতেই আমাদের ক্রমাবনতিশীল শিক্ষাব্যবস্থা করোনায় হোঁচট খেয়েছে। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার গতি কমে এসেছে।

শিক্ষার্থী ঝরে পড়া ও বাল্যবিবাহ বেড়ে গেছে। তাই এ রাজনৈতিক বিদদের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ হলো আলাপণ্ডআলোচনা। রাজনৈতিক বিরোধে শিক্ষার্থীরা কেন বলির পাঁঠা হবে? শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে যাতে নতুন কোনো অনিশ্চয়তা তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে সরকারি দল, বিরোধী দল-সব পক্ষকেই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।