দুই বছরে লেবুজাতীয় ফসলের আবাদ বেড়েছে ১৮ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ জুন, ২০২২, 1:23 AM
দুই বছরে লেবুজাতীয় ফসলের আবাদ বেড়েছে ১৮ শতাংশ
২০২৪ সাল থেকে বছরে চারশ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে
দেশে দুই বছরের ব্যবধানে লেবুজাতীয় ফসলের আবাদ বেড়েছে ১৮ শতাংশেরও বেশি। আর এই সময়ে উৎপাদন বেড়েছে ৪ শতাংশ। মাল্টা, কমলালেবু, লেবু ও বাতাবিলেবুসহ লেবুজাতীয় ফলের আবাদ ও উৎপাদনের এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৪ সাল থেকে বছরে ৪০ হাজার টন ফলন পাওয়া যাবে। আর এতে অন্তত চারশ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। তাই সারা দেশে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুজাতীয় এসব ফসলের চাষ আরও বাড়াতে হবে।
আজ রোববার রাজধানীতে একটি জাতীয় কর্মশালায় কৃষিবিদরা এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
তারা বলছেন, লেবু, মাল্টা, কমলা-এ জাতীয় ফসল দেহের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা গত করোনা মহামারিকালে প্রমাণিত হয়েছে। ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য ওই সময়ে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু-মাল্টার চাহিদা অনেক বেড়েছিল। যা এখনও অব্যাহত আছে। কৃষিবিদরা বলছেন, দেশে এই লেবুজাতীয় ফসল চাষের উপযোগী ১১ ভাগ জমির মধ্যে চাষ হচ্ছে মাত্র ৪ ভাগ জমিতে। আর তাও কেবল সীমান্ত এবং পার্বত্য এলাকায়। উৎপাদিত লেবু ও সবুজ রংয়ের মাল্টা অত্যন্ত সুস্বাদু। এর চাষ বাড়াতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে এবং মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের আরও উদ্যোগী ও পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দেন তারা।
লেবুজাতীয় ফসলে উপযুক্ত সাথী ফসল এবং অন্য ফসলের সাথে লেবুজাতীয় ফসল চাষের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা। এছাড়া তিন বছর পরে গাছে ফলন আসার পর যাতে বিপর্যয় না ঘটে সেবিষয়ে বিশেষ নজরদারি করারও তাগিদ দেন তারা। প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে লেবু জাতীয় ফল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষিবিদরা।
রাজধানীর খামারবাড়ীতে আ কা মু গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) ‘লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প’। ডিএইর মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. বেনজীর আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব কৃষিবিদ মো. সায়েদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পদোন্নতি প্রাপ্ত সচিব) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল। এছাড়া বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান ও পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং) আবদুল মাজেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবং প্রকল্পের অর্জন ও সম্ভাবনা বিষয়ে উপস্থাপনা করেন লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের পরিচালক ড. ফারুক আহমদ।
কৃষি সচিব বলেন, দেশে বাণিজ্যিকভাবে লাভজন ও পুষ্টি নিরাপত্তায় লেবুজাতীয় ফসলের চাষ বাড়াতে গবেষণা, পরিকল্পনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
কর্মশালায় জানানো হয়, লবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ৩০ জেলার ১২৩ উপজেলায় কার্যক্রম চলছে। একশ সাড়ে ২৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৯ সালের মার্চ আধুনিক কলাকৌশল বিস্তার ঘটানোর মাধ্যমে লেবু জাতীয় ফলের সম্প্রসারণ, পুরাতন বাগানের ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এই প্রকল্পটি গ্রহণ করে সরকার। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। ২০১৯-২০১৮ সালে ১৩ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে লেবুজাতীয় ফসলের চাষ হলেও ২০২০-২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৪৪০ হেক্টরে। আর এই সময়ে উৎপাদন এক লাখ ৬১ হাজার ৮৯০ টন থেকে বেড়ে এক লাখ ৬৮ হাজার ১৬৫ টনে দাঁড়ায়। আমদানী করে মাল্টা, কমলা ও কেনুর চাহিদা মেটানো হলেও চলতি অর্থ বছরে এক হাজার ১৬২ টন জারা লেবু, বিচিবিহীন লেবু ও সাতকড়া রফতানি করা হয়েছে।
কর্মশালায় আরও জানানো হয়, প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে-প্রকল্প এলাকায় লেবু জাতীয় ফল চাষ নিবিড়করণ এবং প্রায় ১০-১৫ শতাংশ ফলন বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। প্রকল্প এলাকায় অতিরিক্ত ৪০ হাজার টন মাল্টা ও কমলা উৎপাদনের মাধ্যমে প্রায় চারশ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়।
প্রকল্প এলাকায় মাল্টা ও অন্যান্য লেবু জাতীয় ফল উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রকল্পের এলাকায় বাইরের ২৫ শতাংশ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা। প্রকল্প এলাকার ২০টি সরকারী নার্সারীতে লেবু জাতীয় ফলের মাতৃবাগান স্থাপন ও চারা উৎপাদনের দক্ষতা প্রায় ২৫শতাংশ বৃদ্ধি করা এবং প্রকল্প এলাকায় প্রদর্শনীভুক্ত কৃষকদের বিশেষ করে মহিলা কৃষকদেরসহ অন্যান্য কৃষকদের আয় ১০ শতাংশ বাড়ানো, সর্বোপরি ৮-১০ শতাংশ বেকারত্ব দূর করা।
প্রকল্পটির বাস্তবায়নকালে ৫৪ হাজার একশটি বিভিন্ন আকারের (৫ শতাংশ-১ একর) লেবু জাতীয় ফলের প্রদর্শনী এবং পাঁচ হাজার পুরাতন বাগান পরিচর্যা প্রদর্শনী স্থাপন করা হবে। এছাড়া ২০ ব্যাচ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ, ১৯৭০ ব্যাচ কৃষক প্রশিক্ষণ, একশ ব্যাচ এসএএও প্রশিক্ষণ, ২৪৬টি উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ এবং ৬১৫টি মাঠ দিবস পালন করা হবে।
গত মে পর্যন্ত প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ৩৮ হাজার ১০টি লেবু জাতীয় ফলের প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ১২ ব্যাচ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ, ১২৬৭ ব্যাচ কৃষক প্রশিক্ষণ, ৯০ ব্যাচ এসএএও প্রশিক্ষণ, ১৫৫টি উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ, ৩৬৩টি মাঠ দিবস পালন করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ জুন, ২০২২, 1:23 AM
২০২৪ সাল থেকে বছরে চারশ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে
দেশে দুই বছরের ব্যবধানে লেবুজাতীয় ফসলের আবাদ বেড়েছে ১৮ শতাংশেরও বেশি। আর এই সময়ে উৎপাদন বেড়েছে ৪ শতাংশ। মাল্টা, কমলালেবু, লেবু ও বাতাবিলেবুসহ লেবুজাতীয় ফলের আবাদ ও উৎপাদনের এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৪ সাল থেকে বছরে ৪০ হাজার টন ফলন পাওয়া যাবে। আর এতে অন্তত চারশ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। তাই সারা দেশে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুজাতীয় এসব ফসলের চাষ আরও বাড়াতে হবে।
আজ রোববার রাজধানীতে একটি জাতীয় কর্মশালায় কৃষিবিদরা এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
তারা বলছেন, লেবু, মাল্টা, কমলা-এ জাতীয় ফসল দেহের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা গত করোনা মহামারিকালে প্রমাণিত হয়েছে। ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য ওই সময়ে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু-মাল্টার চাহিদা অনেক বেড়েছিল। যা এখনও অব্যাহত আছে। কৃষিবিদরা বলছেন, দেশে এই লেবুজাতীয় ফসল চাষের উপযোগী ১১ ভাগ জমির মধ্যে চাষ হচ্ছে মাত্র ৪ ভাগ জমিতে। আর তাও কেবল সীমান্ত এবং পার্বত্য এলাকায়। উৎপাদিত লেবু ও সবুজ রংয়ের মাল্টা অত্যন্ত সুস্বাদু। এর চাষ বাড়াতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে এবং মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের আরও উদ্যোগী ও পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দেন তারা।
লেবুজাতীয় ফসলে উপযুক্ত সাথী ফসল এবং অন্য ফসলের সাথে লেবুজাতীয় ফসল চাষের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা। এছাড়া তিন বছর পরে গাছে ফলন আসার পর যাতে বিপর্যয় না ঘটে সেবিষয়ে বিশেষ নজরদারি করারও তাগিদ দেন তারা। প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে লেবু জাতীয় ফল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষিবিদরা।
রাজধানীর খামারবাড়ীতে আ কা মু গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) ‘লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প’। ডিএইর মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. বেনজীর আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব কৃষিবিদ মো. সায়েদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পদোন্নতি প্রাপ্ত সচিব) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল। এছাড়া বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান ও পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং) আবদুল মাজেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবং প্রকল্পের অর্জন ও সম্ভাবনা বিষয়ে উপস্থাপনা করেন লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের পরিচালক ড. ফারুক আহমদ।
কৃষি সচিব বলেন, দেশে বাণিজ্যিকভাবে লাভজন ও পুষ্টি নিরাপত্তায় লেবুজাতীয় ফসলের চাষ বাড়াতে গবেষণা, পরিকল্পনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
কর্মশালায় জানানো হয়, লবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ৩০ জেলার ১২৩ উপজেলায় কার্যক্রম চলছে। একশ সাড়ে ২৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৯ সালের মার্চ আধুনিক কলাকৌশল বিস্তার ঘটানোর মাধ্যমে লেবু জাতীয় ফলের সম্প্রসারণ, পুরাতন বাগানের ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এই প্রকল্পটি গ্রহণ করে সরকার। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। ২০১৯-২০১৮ সালে ১৩ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে লেবুজাতীয় ফসলের চাষ হলেও ২০২০-২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৪৪০ হেক্টরে। আর এই সময়ে উৎপাদন এক লাখ ৬১ হাজার ৮৯০ টন থেকে বেড়ে এক লাখ ৬৮ হাজার ১৬৫ টনে দাঁড়ায়। আমদানী করে মাল্টা, কমলা ও কেনুর চাহিদা মেটানো হলেও চলতি অর্থ বছরে এক হাজার ১৬২ টন জারা লেবু, বিচিবিহীন লেবু ও সাতকড়া রফতানি করা হয়েছে।
কর্মশালায় আরও জানানো হয়, প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে-প্রকল্প এলাকায় লেবু জাতীয় ফল চাষ নিবিড়করণ এবং প্রায় ১০-১৫ শতাংশ ফলন বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। প্রকল্প এলাকায় অতিরিক্ত ৪০ হাজার টন মাল্টা ও কমলা উৎপাদনের মাধ্যমে প্রায় চারশ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়।
প্রকল্প এলাকায় মাল্টা ও অন্যান্য লেবু জাতীয় ফল উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রকল্পের এলাকায় বাইরের ২৫ শতাংশ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা। প্রকল্প এলাকার ২০টি সরকারী নার্সারীতে লেবু জাতীয় ফলের মাতৃবাগান স্থাপন ও চারা উৎপাদনের দক্ষতা প্রায় ২৫শতাংশ বৃদ্ধি করা এবং প্রকল্প এলাকায় প্রদর্শনীভুক্ত কৃষকদের বিশেষ করে মহিলা কৃষকদেরসহ অন্যান্য কৃষকদের আয় ১০ শতাংশ বাড়ানো, সর্বোপরি ৮-১০ শতাংশ বেকারত্ব দূর করা।
প্রকল্পটির বাস্তবায়নকালে ৫৪ হাজার একশটি বিভিন্ন আকারের (৫ শতাংশ-১ একর) লেবু জাতীয় ফলের প্রদর্শনী এবং পাঁচ হাজার পুরাতন বাগান পরিচর্যা প্রদর্শনী স্থাপন করা হবে। এছাড়া ২০ ব্যাচ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ, ১৯৭০ ব্যাচ কৃষক প্রশিক্ষণ, একশ ব্যাচ এসএএও প্রশিক্ষণ, ২৪৬টি উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ এবং ৬১৫টি মাঠ দিবস পালন করা হবে।
গত মে পর্যন্ত প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ৩৮ হাজার ১০টি লেবু জাতীয় ফলের প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ১২ ব্যাচ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ, ১২৬৭ ব্যাচ কৃষক প্রশিক্ষণ, ৯০ ব্যাচ এসএএও প্রশিক্ষণ, ১৫৫টি উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ, ৩৬৩টি মাঠ দিবস পালন করা হয়েছে।