নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার
নাগরিক ডেস্ক
০৩ নভেম্বর, ২০২৩, 1:08 AM
নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার
আমাদের দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারই হচ্ছে প্রধান সমস্যা। আমরা অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার করে থাকি। অসুখ হলেই কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। না বুঝে এই ওষুধ খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে। অ্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে সচেতন হওয়ার কোনো রকম বিকল্প নেই। অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে আগে অনেক ওষুধ শরীরে কার্যকর ছিল, বর্তমানে সেগুলো আর কাজ করছে না। একই কারণে চিকিৎসা ব্যয়ও বহুগুণ বেড়ে যায়।
ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এমনকি কার্যকর নতুন অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন সময়সাপেক্ষ বিধায় এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়ছে। গরিব মানুষ অর্থের অভাবে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে নিকটবর্তী ওষুধের দোকানে কর্মরত লোকদের পরামর্শে ঘনঘন অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করেন। কাজেই গরিব মানুষ যাতে স্বল্প অর্থের বিনিময়ে বা বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা দরকার। দেশে গত তিন বছরেই আগের তুলনায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বেড়েছে ৩১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ফলে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স।
জানা যায়, ২০১৪ সালে প্রতি হাজার রোগীর মধ্যে প্রতিদিন অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ছিল ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ; ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৪ দশমিক ১১ শতাংশে; ২০২০ সালে তা ২৫ দশমিক ৩৪ শতাংশে এসে পৌঁছায়। ২০২১ সালে প্রতি হাজারে দৈনিক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের হার বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ শতাংশে। আমাদের দেশে একটি বড় সমস্যা ছিল ফরমালিন।
মাত্র কয়েক বছর আগে বিপুল পরিমাণ ফরমালিন আমদানি করা হতো। সেই পরিমাণ এখন অনেকাংশে কমে এসেছে। কারণ সরকার যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছিল। আমাদের সরকার, প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব আর সাধারণ মানুষের সমন্বিতভাবে সচেতন ভূমিকার ফলে ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। বাংলাদেশিদের পক্ষে সব কিছুই করা সম্ভব। একইভাবে আমরা চাইলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব।
আমাদের আইন রয়েছে, রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না। তার পরও অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এখন পর্যন্ত আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। দেশের শতভাগ মানুষ রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের কাছে যেতে পারে না। অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সেগুলোও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে বর্তমানে সারা বিশ্বে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরি করছেন। এখন জনগণের সচেতনতা প্রয়োজন।
নাগরিক ডেস্ক
০৩ নভেম্বর, ২০২৩, 1:08 AM
আমাদের দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারই হচ্ছে প্রধান সমস্যা। আমরা অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার করে থাকি। অসুখ হলেই কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। না বুঝে এই ওষুধ খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে। অ্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে সচেতন হওয়ার কোনো রকম বিকল্প নেই। অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে আগে অনেক ওষুধ শরীরে কার্যকর ছিল, বর্তমানে সেগুলো আর কাজ করছে না। একই কারণে চিকিৎসা ব্যয়ও বহুগুণ বেড়ে যায়।
ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এমনকি কার্যকর নতুন অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন সময়সাপেক্ষ বিধায় এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়ছে। গরিব মানুষ অর্থের অভাবে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে নিকটবর্তী ওষুধের দোকানে কর্মরত লোকদের পরামর্শে ঘনঘন অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করেন। কাজেই গরিব মানুষ যাতে স্বল্প অর্থের বিনিময়ে বা বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা দরকার। দেশে গত তিন বছরেই আগের তুলনায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বেড়েছে ৩১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ফলে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স।
জানা যায়, ২০১৪ সালে প্রতি হাজার রোগীর মধ্যে প্রতিদিন অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ছিল ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ; ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৪ দশমিক ১১ শতাংশে; ২০২০ সালে তা ২৫ দশমিক ৩৪ শতাংশে এসে পৌঁছায়। ২০২১ সালে প্রতি হাজারে দৈনিক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের হার বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ শতাংশে। আমাদের দেশে একটি বড় সমস্যা ছিল ফরমালিন।
মাত্র কয়েক বছর আগে বিপুল পরিমাণ ফরমালিন আমদানি করা হতো। সেই পরিমাণ এখন অনেকাংশে কমে এসেছে। কারণ সরকার যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছিল। আমাদের সরকার, প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব আর সাধারণ মানুষের সমন্বিতভাবে সচেতন ভূমিকার ফলে ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। বাংলাদেশিদের পক্ষে সব কিছুই করা সম্ভব। একইভাবে আমরা চাইলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব।
আমাদের আইন রয়েছে, রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না। তার পরও অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এখন পর্যন্ত আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। দেশের শতভাগ মানুষ রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের কাছে যেতে পারে না। অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সেগুলোও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে বর্তমানে সারা বিশ্বে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরি করছেন। এখন জনগণের সচেতনতা প্রয়োজন।