চৌহালীতে  যমুনা নদীর বামতীর রক্ষা বাঁধের কাজ এগিয়ে চলছে

#
news image

যমুনার বামতীর  ভাঙন থেকে রক্ষা করতে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চল বাঘুটিয়া ও খাষপুখুরিয়া   ইউনিয়নের শাকপাল থেকে  চরসলিমাবাদ ভুতের মোর  পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার    এলাকা  স্থায়ী তীর সংরক্ষন বাঁধের মিটুয়ানি পাকা সড়ক থেকে চরসলিমাবাদ ভুতের মোর এলাকা পর্যন্ত ২ হাজার  ৪'শ মিটার ইমার্জেন্সি জিও ব্যাগ  ডাম্পিং  কাজ চলছে পুরোদমে।  

বিশেষ করে  দক্ষিণ অঞ্চলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকিতে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব নিক্ষেপ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,  চৌহালী উপজেলার খাষপুখুরিয়া থেকে বাঘুটিয়া  পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটর যমুনার তীর সংরক্ষনে প্রায় ৪৭ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। এরপর ঠিকাদার নিয়োগ সহ নিয়ম মেনে অন্যান্য পক্রিয়া শেষ। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকিতে সেখানে ভাঙন ঠেকাতে দিনরাত ইমারজেন্সি জিও ব্যাগ ডাম্পিং  কাজ করছে সংশ্লিষ্ট ৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তৈরী হচ্ছে কংক্রিটের ব্যাগ । ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব। এতে ভাঙ্গন রোধ সহয়তা ও দৃশ্যমান হবে তীর সংরক্ষন বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। এদিকে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকল্প এলাকায় কাজের গতি বৃদ্ধি করা হয়েছে। অধিকাংশ সাইডে দিনরাত কাজ করছে শ্রমিক।  

নদীর মারমুখী এলাকায় বালি ভর্তি নৌকা, পাড়ে  আবার কেউ জিও ব্যাগে বালি ভরছে লোড আনলোড দৃশ্য নজরকাড়ার মত সেটা ইঞ্জিন চালিত শ্যালো নৌকা, বলহেট ও জাহাজ  নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়মানুসারে নদীর তীরে নিক্ষেপ করা হচ্ছে জিও ব্যাগ । এতে কর্মচঞ্চল সৃষ্টি হয়েছে যমুনা পাড়ে। তবে কয়েকদিন আগে নদীতে পানি বৃদ্ধির কারনে কিছু ঘরের ভিটা নদীতে বিলীন হয়ে  যায়। সলিমাবাদ পশ্চিম পারা একটি সপ্রাবি হুমকির মুখে পরেছিলো ।  সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় এখন মোটামুটি আতঙ্ক মুক্ত। তবে স্থানীয়দের অনেকেই বাড়িঘর হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে চরসলিমাবাদ ভুতের মোড়ের একই জায়গায় প্রায় দের ডজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নদী পাড়ে যারা রয়েছে তারা স্বপ্ন দেখছে নির্দিষ্ট সময়ে দ্রুত এই প্রকল্পের বাঁধের কাজ শেষ হবে নিজেদের বাড়ি-ঘর, জমি-জমা রক্ষা পাবে এমন প্রত্যাশা সকলের। একই সাথে নদীর পাড়ে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলাতে সব রকম সহায়তার করছে স্থানীয়রা।

একখন্ড কালো মেঘ কাজের গতি থামিয়ে দেয়, এতে এলাকা বাসির ক্ষতি অপুরনীয়। আল্লাহর অশেষ মেহেরবান আবার কাজ শুরু হওয়ায় বাঘুটিয়ার জনগনের মধ্যে প্রাণচঞ্চল ফিরে এসেছে। কাজ শুরু হয়েছে এতে দিনরাত কাজ করছে পাউবো সহ সংশ্লিষ্টরা এ প্রতিবেদকে জানান । 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাজউদ্দীন বলেন, কোন অপশক্তি কাজ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে তবে ক্ষনিকের জন্য কষ্ট, আশা করি এ কাজে আল্লাহ সহায়ক হবেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক সরকার বলেন, মানুষ মানুষের ক্ষতি করে সৃষ্টিকর্তা নয়, স্মার্ট  বাংলাদেশ বাস্তবায়ন এর যুগে একাজ চলবে অবিরাম অগ্রযাত্রায়।

 সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর মাহবুবুর রহমান জানান, এখন পুরোদমে ইমারজেন্সি কাজ চলছে। এছাড়া এ প্রকল্পের ইতোমধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ জিও ব্যাগ ডাম্পিং  কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি নিদির্ষ্ট সময়ের মধ্যেই  তীর রক্ষা  বাঁধের কাজ শেষ হবে ৷  প্রকল্পের ইমারজেন্সি  কাজের প্রতি ৪০০ মিটার কাজের জন্য ১ লক্ষ ২ হাজার ৪'শ বস্তা জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে ৷ এ তীর রক্ষা বাঁধের কাজে  ৬ টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইমার্জেন্সি কাজ করছে।  ৬টি প্যাকেজ হুমায়ন কবির ও সায়েদুরসহ  একজোটে  ইমার্জেন্সি কাজ করছে ৷

মাহমুদুল হাসান, চৌহালী (সিরাজগঞ্জ)

২৬ জুন, ২০২৩,  10:39 AM

news image

যমুনার বামতীর  ভাঙন থেকে রক্ষা করতে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চল বাঘুটিয়া ও খাষপুখুরিয়া   ইউনিয়নের শাকপাল থেকে  চরসলিমাবাদ ভুতের মোর  পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার    এলাকা  স্থায়ী তীর সংরক্ষন বাঁধের মিটুয়ানি পাকা সড়ক থেকে চরসলিমাবাদ ভুতের মোর এলাকা পর্যন্ত ২ হাজার  ৪'শ মিটার ইমার্জেন্সি জিও ব্যাগ  ডাম্পিং  কাজ চলছে পুরোদমে।  

বিশেষ করে  দক্ষিণ অঞ্চলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকিতে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব নিক্ষেপ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,  চৌহালী উপজেলার খাষপুখুরিয়া থেকে বাঘুটিয়া  পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটর যমুনার তীর সংরক্ষনে প্রায় ৪৭ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। এরপর ঠিকাদার নিয়োগ সহ নিয়ম মেনে অন্যান্য পক্রিয়া শেষ। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকিতে সেখানে ভাঙন ঠেকাতে দিনরাত ইমারজেন্সি জিও ব্যাগ ডাম্পিং  কাজ করছে সংশ্লিষ্ট ৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তৈরী হচ্ছে কংক্রিটের ব্যাগ । ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব। এতে ভাঙ্গন রোধ সহয়তা ও দৃশ্যমান হবে তীর সংরক্ষন বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। এদিকে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকল্প এলাকায় কাজের গতি বৃদ্ধি করা হয়েছে। অধিকাংশ সাইডে দিনরাত কাজ করছে শ্রমিক।  

নদীর মারমুখী এলাকায় বালি ভর্তি নৌকা, পাড়ে  আবার কেউ জিও ব্যাগে বালি ভরছে লোড আনলোড দৃশ্য নজরকাড়ার মত সেটা ইঞ্জিন চালিত শ্যালো নৌকা, বলহেট ও জাহাজ  নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়মানুসারে নদীর তীরে নিক্ষেপ করা হচ্ছে জিও ব্যাগ । এতে কর্মচঞ্চল সৃষ্টি হয়েছে যমুনা পাড়ে। তবে কয়েকদিন আগে নদীতে পানি বৃদ্ধির কারনে কিছু ঘরের ভিটা নদীতে বিলীন হয়ে  যায়। সলিমাবাদ পশ্চিম পারা একটি সপ্রাবি হুমকির মুখে পরেছিলো ।  সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় এখন মোটামুটি আতঙ্ক মুক্ত। তবে স্থানীয়দের অনেকেই বাড়িঘর হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে চরসলিমাবাদ ভুতের মোড়ের একই জায়গায় প্রায় দের ডজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নদী পাড়ে যারা রয়েছে তারা স্বপ্ন দেখছে নির্দিষ্ট সময়ে দ্রুত এই প্রকল্পের বাঁধের কাজ শেষ হবে নিজেদের বাড়ি-ঘর, জমি-জমা রক্ষা পাবে এমন প্রত্যাশা সকলের। একই সাথে নদীর পাড়ে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলাতে সব রকম সহায়তার করছে স্থানীয়রা।

একখন্ড কালো মেঘ কাজের গতি থামিয়ে দেয়, এতে এলাকা বাসির ক্ষতি অপুরনীয়। আল্লাহর অশেষ মেহেরবান আবার কাজ শুরু হওয়ায় বাঘুটিয়ার জনগনের মধ্যে প্রাণচঞ্চল ফিরে এসেছে। কাজ শুরু হয়েছে এতে দিনরাত কাজ করছে পাউবো সহ সংশ্লিষ্টরা এ প্রতিবেদকে জানান । 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাজউদ্দীন বলেন, কোন অপশক্তি কাজ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে তবে ক্ষনিকের জন্য কষ্ট, আশা করি এ কাজে আল্লাহ সহায়ক হবেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক সরকার বলেন, মানুষ মানুষের ক্ষতি করে সৃষ্টিকর্তা নয়, স্মার্ট  বাংলাদেশ বাস্তবায়ন এর যুগে একাজ চলবে অবিরাম অগ্রযাত্রায়।

 সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর মাহবুবুর রহমান জানান, এখন পুরোদমে ইমারজেন্সি কাজ চলছে। এছাড়া এ প্রকল্পের ইতোমধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ জিও ব্যাগ ডাম্পিং  কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি নিদির্ষ্ট সময়ের মধ্যেই  তীর রক্ষা  বাঁধের কাজ শেষ হবে ৷  প্রকল্পের ইমারজেন্সি  কাজের প্রতি ৪০০ মিটার কাজের জন্য ১ লক্ষ ২ হাজার ৪'শ বস্তা জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে ৷ এ তীর রক্ষা বাঁধের কাজে  ৬ টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইমার্জেন্সি কাজ করছে।  ৬টি প্যাকেজ হুমায়ন কবির ও সায়েদুরসহ  একজোটে  ইমার্জেন্সি কাজ করছে ৷