“আগে সোনার ফসল ফলাইতাম, এখন জলবদ্ধতার জন্য পারিনা ”

#
news image

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ৬নং রাজগাতী ইউনিয়নের দরিল্লা মৌজায় রেললাইন সংলগ্ন সরকারি জায়গা দখল করে স্থানীয় দুই ব্যক্তি পুকুর তৈরী করেছে। এতে পানি নিষ্কাশনের পথ বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় প্রায় ১০০ একর জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গত দুই বসর যাবত কৃষকরা তাদের জমিতে আমন, বোরো বা কোন ধরনের ফসল আবাদ করতে পারছেনা।

যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা যে, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী থাকবে না। অথচ সরকারি জায়গা দখল করে পুকুরে তৈরীর মাধ্যমে জলবদ্ধতা সৃষ্টি করার বিষয়টি এলাকার জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে কৃষকরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের দারস্থ হলেও এর কোন সুরাহা পায়নি। বেশ কয়েকজন কৃষকের একমাত্র সম্বল জমিটুকুতে কোন আবাদ না করতে পেরে খুবই কষ্টে দিনাতিপাত সহ দিশেহারাগ্রস্থ জীবন যাপন করছে।

সরজমিন পরিদর্শনে দেখাগেছে, পাছদরিল্লা এতিমখানা মাদ্রাসার দক্ষিনে মাগুরা বিল। সেখানে মাগুরা বিলের পশ্চিম পাশে রেললাইন রয়েছে। সেই রেল লাইনের পাশে প্রায় ১০০ একর জমি অনাবাদি রয়েছে। বর্তমানে উক্ত জমিতে কচুয়া তথা জারমুনী গাছে ভরপুর সর্বত্র। তাতে প্রায় ৩ ফুটের উপরে জলাবদ্ধতা। উক্ত জমির পানি যেপথ দিয়ে নিষ্কাশন হতো, সেপথে দুইজন ব্যক্তি পুকুর তৈরী করায় আর পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না।

জানাগেছে, স্থানীয় মৃত আজিম উদ্দিনের পুত্র আব্দুল মতিন ওরফে মোতালিব, সাইফুল এবং মৃত সাইদ উদ্দিন ভুইয়ার পুত্ররা রেলওয়ের সরকারি জায়গা দখল করে বিশাল আকৃতির পুকুর তৈরী করে সেখানে মাছ চাষ করছে। ভোক্তভোগী কৃষকরা তাদেরকে একাধিকবার বলার পরেও তারা পানি নিষ্কাশনের কোন বন্দোবস্থ করেনি। এ বিষয়ে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আতাউর রহমান বলেন, অভিযোগ করেও এর কোন সুনির্দিষ্ট সুফল পাচ্ছেন না। এছাড়া উক্ত ফিশারীতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে মাছ করে যাচ্ছে।

কৃষক হারিছ উদ্দিন বলেন, “আমার ৫০ শতক জায়গায় আগে সোনার ফসল ফলাইতাম, ফলে ছয় মাস ঘরের ভাত খাইতাম। এখন জলাবদ্ধতার কারনে পারিনা। কষ্টে দিনযাপন করছি।” এছাড়া আরও কয়েকজন কৃষক জানান, “এখানের অনেক জমি আমরা বন্ধকী রাখছিলাম। কিন্তুু জলবদ্ধতার কারনে চাষাবাদ করতে পারছিনা। দ্রুত এর ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে আমরা কৃষকরা উপকৃত হতাম।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি সাইফুলের সাথে সেলফোনে কথা হলে তিনি রাগান্বিত্ব কন্ঠে বলেন, সেটা আমার বিষয়। আমি সরু পাইপ দিয়ে রেখেছি। অভিযোগকারীরা আমাকে কিছুই বলেনি। আমার নামে গিয়ে মামলা করে দেন বলে ফোনকল কেটে দেন।

”নান্দাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এটিএম আরিফ বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে সরজমিন তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মোঃ শাহজাহান ফকির, নান্দাইল

১২ জুন, ২০২৩,  7:41 PM

news image

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ৬নং রাজগাতী ইউনিয়নের দরিল্লা মৌজায় রেললাইন সংলগ্ন সরকারি জায়গা দখল করে স্থানীয় দুই ব্যক্তি পুকুর তৈরী করেছে। এতে পানি নিষ্কাশনের পথ বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় প্রায় ১০০ একর জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গত দুই বসর যাবত কৃষকরা তাদের জমিতে আমন, বোরো বা কোন ধরনের ফসল আবাদ করতে পারছেনা।

যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা যে, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী থাকবে না। অথচ সরকারি জায়গা দখল করে পুকুরে তৈরীর মাধ্যমে জলবদ্ধতা সৃষ্টি করার বিষয়টি এলাকার জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে কৃষকরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের দারস্থ হলেও এর কোন সুরাহা পায়নি। বেশ কয়েকজন কৃষকের একমাত্র সম্বল জমিটুকুতে কোন আবাদ না করতে পেরে খুবই কষ্টে দিনাতিপাত সহ দিশেহারাগ্রস্থ জীবন যাপন করছে।

সরজমিন পরিদর্শনে দেখাগেছে, পাছদরিল্লা এতিমখানা মাদ্রাসার দক্ষিনে মাগুরা বিল। সেখানে মাগুরা বিলের পশ্চিম পাশে রেললাইন রয়েছে। সেই রেল লাইনের পাশে প্রায় ১০০ একর জমি অনাবাদি রয়েছে। বর্তমানে উক্ত জমিতে কচুয়া তথা জারমুনী গাছে ভরপুর সর্বত্র। তাতে প্রায় ৩ ফুটের উপরে জলাবদ্ধতা। উক্ত জমির পানি যেপথ দিয়ে নিষ্কাশন হতো, সেপথে দুইজন ব্যক্তি পুকুর তৈরী করায় আর পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না।

জানাগেছে, স্থানীয় মৃত আজিম উদ্দিনের পুত্র আব্দুল মতিন ওরফে মোতালিব, সাইফুল এবং মৃত সাইদ উদ্দিন ভুইয়ার পুত্ররা রেলওয়ের সরকারি জায়গা দখল করে বিশাল আকৃতির পুকুর তৈরী করে সেখানে মাছ চাষ করছে। ভোক্তভোগী কৃষকরা তাদেরকে একাধিকবার বলার পরেও তারা পানি নিষ্কাশনের কোন বন্দোবস্থ করেনি। এ বিষয়ে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আতাউর রহমান বলেন, অভিযোগ করেও এর কোন সুনির্দিষ্ট সুফল পাচ্ছেন না। এছাড়া উক্ত ফিশারীতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে মাছ করে যাচ্ছে।

কৃষক হারিছ উদ্দিন বলেন, “আমার ৫০ শতক জায়গায় আগে সোনার ফসল ফলাইতাম, ফলে ছয় মাস ঘরের ভাত খাইতাম। এখন জলাবদ্ধতার কারনে পারিনা। কষ্টে দিনযাপন করছি।” এছাড়া আরও কয়েকজন কৃষক জানান, “এখানের অনেক জমি আমরা বন্ধকী রাখছিলাম। কিন্তুু জলবদ্ধতার কারনে চাষাবাদ করতে পারছিনা। দ্রুত এর ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে আমরা কৃষকরা উপকৃত হতাম।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি সাইফুলের সাথে সেলফোনে কথা হলে তিনি রাগান্বিত্ব কন্ঠে বলেন, সেটা আমার বিষয়। আমি সরু পাইপ দিয়ে রেখেছি। অভিযোগকারীরা আমাকে কিছুই বলেনি। আমার নামে গিয়ে মামলা করে দেন বলে ফোনকল কেটে দেন।

”নান্দাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এটিএম আরিফ বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে সরজমিন তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।