তিনি বলেছেন, “এখন আমাদের একটাই দাবি, শেখ হাসিনা কবে যাবি। খালেদা জিয়ার মুক্তি আর দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি- এসব নিয়ে আমরা থাকব না। শেখ হাসিনার এখন নিম্নগতি। এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া আর কোনো পথ নাই।”
বুধবার দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের এক বিক্ষোভ সমাবেশে একথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারস খালেদা জিয়াকে ‘হত্যার হুমকি’র প্রতিবাদ এবং নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে এই সমাবেশ হয়।
সহযোগী সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, “সরকারের পতন না করতে পারলে বড় বড় পদ নিয়ে রাস্তায় হাঁটা যাবে, কিন্তু মানুষে জিজ্ঞাসও করবে না, সালামও দেবে না।
“এই কারণে বলছি, যার যেখানে বাড়ি সেখানে চলে যান, সেখানে সারা দেশে নেতৃত্ব ছড়িয়ে দেন, সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে দেন। এই প্রেসক্লাবের সামনে সীমাবদ্ধ থাকলে সরকারে যাওয়া যাবে না।”
গয়েশ্বর বলেন, “সবাইকে বলব, আপনারা দলের দিকে মনোনিবেশ করেন। আর স্লোগানে নয়, কাজের মধ্য দিয়ে আপনাদের প্রমাণ করতে হবে। এখন সংগঠনের নেতৃত্বকে গ্রামে-গঞ্জে যেতে হবে।
“কর্মসূচি চাইবেন না। আন্দোলন চলমান, আন্দোলন চলছে। যখন যেটা করা দরকার সেটাই করবেন, নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে আন্দোলন করবেন।”
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “আজকে ওদের (ক্ষমতাসীনদের) কথায় ও কাজে মিল নাই, ওদের ধর্ম নাই, ওদের চরিত্র নাই। ওদের চরিত্র মানুষকে খুন করা, ওদের চরিত্র মানুষকে প্রবঞ্চনা করা, ওদের চরিত্র মানুষের সম্পদ লুট করা, ওদের চরিত্র দেশ বিক্রি করা, ওদের চরিত্র বাংলাদেশের গণতন্ত্র নস্যাৎ করা।”
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের সভাপতিত্বে এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান, ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, যুবদলের মোনায়েম মুন্না, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল,স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরেজ জামান, গোলাম সারওয়ার, ইয়াসীন আলী, এসএম জিলানী, ফখরুল ইসলাম রবিন, নজরুল ইসলাম, গাজী রেজওয়ান উল হোসেন রিয়াজ।