রেলখাতে অনিয়ম, দুর্নীতির মূলোৎপাটন জরুরি

#
news image

গত এক যুগে রেলে বিপুল অঙ্কের অর্থের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে; চলমান রয়েছে বিপুল অঙ্কের অর্থের উন্নয়ন প্রকল্প। তারপরও যাত্রীসেবার মান বাড়ছে না। রেলের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন না হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান সমস্যাগুলো চিহ্নিত হলেও এগুলোর সমাধানে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।

রেলের উন্নয়নে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও প্রকল্পগুলোর সুফল যেমন কার্যকরভাবে মেলেনি, তেমনই ব্যয়ের বিবেচনায় বাড়েনি সেবার মান। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্প গ্রহণে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা না থাকা এবং সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন না করায় যাত্রীরা প্রকল্পগুলোর সুফল পাঁচ্ছে না। রেলের অবকাঠামোগত উন্নয়নে নানা রকম পদক্ষেপ নেওয়া হলেও জরাজীর্ণ রেলপথ বরাবরই উপেক্ষিত থেকেছে বছরের পর বছর। ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের মিল না থাকায় সংস্থাটির লোকসান বাড়ছে লাফিয়ে।

জানা যায়, আখাউড়া-সিলেট মিশ্র গেজ রেললাইন নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৬ হাজার ১০৪ কোটি টাকা। আর জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী মিশ্র গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৪ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। কিন্তু কাজ শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ব্যয়ের বিষয়টি তদন্ত করা হয়। এতে বাড়তি ব্যয়ের বিষয়টি চিহ্নিত হয়। আমরা মনে করি, এ ধরনের অনিয়ম সঠিক সময়ে চিহ্নিত করার পাশাপাশি যারা অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছিলেন তাদেরও যথাযথ আইনের আওতায় আনা দরকার। যে কোনো প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা থাকা অপরিহার্য।

প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে কারও পকেট ভারী হচ্ছে কি না, কর্তৃপক্ষকে সেদিকেও বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। রেল কেন গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে, এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। অনিয়মের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে সংস্থাটির লোকসানের বোঝা দিনদিন বাড়তেই থাকবে। দুঃখজনক হলো, রেলের বেহাত হওয়া জমি উদ্ধারে জোরালো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। রেল সাশ্রয়ী হওয়ায় এবং সড়কের চেয়ে রেলে দুর্ঘটনা কম হওয়ায় সাধারণ মানুষ রেল ভ্রমণেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে বেশি।

কাজেই রেলের উন্নয়নের বিকল্প নেই। রেলের উন্নয়ন হওয়া প্রয়োজন সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে শুধু রেলপথ সম্প্রসারণ করলেই হবে না, বিদ্যমান জরাজীর্ণ লাইন এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজগুলোরও সংস্কার করতে হবে। রেলকে যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে হলে এ খাতের প্রকৃত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।

দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কঠোর হাতে দমন করা না গেলে রেলের সার্বিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।

নাগরিক ডেস্ক

৩০ মে, ২০২৩,  9:20 AM

news image

গত এক যুগে রেলে বিপুল অঙ্কের অর্থের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে; চলমান রয়েছে বিপুল অঙ্কের অর্থের উন্নয়ন প্রকল্প। তারপরও যাত্রীসেবার মান বাড়ছে না। রেলের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন না হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান সমস্যাগুলো চিহ্নিত হলেও এগুলোর সমাধানে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।

রেলের উন্নয়নে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও প্রকল্পগুলোর সুফল যেমন কার্যকরভাবে মেলেনি, তেমনই ব্যয়ের বিবেচনায় বাড়েনি সেবার মান। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্প গ্রহণে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা না থাকা এবং সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন না করায় যাত্রীরা প্রকল্পগুলোর সুফল পাঁচ্ছে না। রেলের অবকাঠামোগত উন্নয়নে নানা রকম পদক্ষেপ নেওয়া হলেও জরাজীর্ণ রেলপথ বরাবরই উপেক্ষিত থেকেছে বছরের পর বছর। ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের মিল না থাকায় সংস্থাটির লোকসান বাড়ছে লাফিয়ে।

জানা যায়, আখাউড়া-সিলেট মিশ্র গেজ রেললাইন নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৬ হাজার ১০৪ কোটি টাকা। আর জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী মিশ্র গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৪ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। কিন্তু কাজ শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ব্যয়ের বিষয়টি তদন্ত করা হয়। এতে বাড়তি ব্যয়ের বিষয়টি চিহ্নিত হয়। আমরা মনে করি, এ ধরনের অনিয়ম সঠিক সময়ে চিহ্নিত করার পাশাপাশি যারা অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছিলেন তাদেরও যথাযথ আইনের আওতায় আনা দরকার। যে কোনো প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা থাকা অপরিহার্য।

প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে কারও পকেট ভারী হচ্ছে কি না, কর্তৃপক্ষকে সেদিকেও বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। রেল কেন গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে, এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। অনিয়মের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে সংস্থাটির লোকসানের বোঝা দিনদিন বাড়তেই থাকবে। দুঃখজনক হলো, রেলের বেহাত হওয়া জমি উদ্ধারে জোরালো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। রেল সাশ্রয়ী হওয়ায় এবং সড়কের চেয়ে রেলে দুর্ঘটনা কম হওয়ায় সাধারণ মানুষ রেল ভ্রমণেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে বেশি।

কাজেই রেলের উন্নয়নের বিকল্প নেই। রেলের উন্নয়ন হওয়া প্রয়োজন সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে শুধু রেলপথ সম্প্রসারণ করলেই হবে না, বিদ্যমান জরাজীর্ণ লাইন এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজগুলোরও সংস্কার করতে হবে। রেলকে যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে হলে এ খাতের প্রকৃত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।

দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কঠোর হাতে দমন করা না গেলে রেলের সার্বিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।