বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

#
news image

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে একের পর এক নদী বিনষ্ট হচ্ছে, দখল ও দূষণ হতে হতে মৃতপ্রায়। পরিস্থিতি দিন শেষে হতাশাজনক আর খারাপের দিকেই যাচ্ছে। তা না হলে যে নদী একসময় মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত ছিল এ দেশে, সেই নদীতে কীভাবে মরা মাছ ভেসে ওঠে? এমনকি নদের পানির রং ও বদলে যাচ্ছে। আমাদের নদী, পানি, মাটি, বাতাস-সবকিছুই বিষিয়ে উঠছে।

একটি দেশের প্রাণ-প্রকৃতি ও জনজীবনের জন্য এর চেয়ে অশনিসংকেত আর কী হতে পারে। কিন্তু এসব রক্ষায় রাষ্ট্র, সরকার ও জনগণ রয়েছে অনেক পিছিয়ে। কোনো ভাবেই শিল্পকারখানাগুলো পরিবেশবান্ধব করা যাচ্ছে না, সেই ব্যর্থতার ভার বহন করতে হচ্ছে আমাদের নদণ্ডনদীগুলোকে।  বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। তাই শিল্পণ্ডকারখানা স্থাপনের সময় বা এখন শিল্পের বর্জ্যব্যবস্থাপনা নিয়ে কঠোর হতে হবে। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকলে কোনো শিল্প স্থাপনা করার অনুমোদন না দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অধিক কঠোর হতে হবে। প্লাস্টিকসামগ্রী, পলিব্যাগ, চিপসসামগ্রীর মোড়কের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে হবে।

কেননা, এগুলো নদীদূষণের অন্যতম কারণ। সারা দেশে প্রায় ২০০০টি শিল্প কল-কারখানা আছে। অর্ধেকের বেশি ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) স্থাপন করেনি বা সব সময় চালু রাখে না বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়। শিল্পবর্জ্যরে বড় শিকার হচ্ছে রাজধানী বা শিল্প এলাকার নদীগুলো। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, বালু, হালদা, কর্ণফুলী, সুরমা, রূপসা কিংবা ব্রহ্মপুত্র কোনো নদণ্ডনদীয় রেহাই পাঁচ্ছে না এ দূষণের হাত থেকে।

শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দেশে দূষণের ভয়াবহতাও বাড়ছে। শিল্পণ্ডকারখানা থেকে নির্গত তরল বর্জ্য, বিষাক্ত রাসায়নিক এবং অন্যান্য মানুষের বর্জ্য ইত্যাদির মাধ্যমে নদী-খাল ইত্যাদি দূষণ হচ্ছে। কিন্তু সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে কারো বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট শিল্প মালিকের তেমন মাথাব্যথা নেই। পোশাক কারখানা বা এর সংশ্লিষ্ট কারখানাতেই দূষণ বেশি।

সম্ভাবনাময় খাত হচ্ছে চামড়াশিল্প খাত। এখানেও দূষণের মাত্রা বেশি। কারণ এখানেও পরিকল্পনার অভাব। কিন্তু সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও কিছু ট্যানারি মালিকপক্ষের কারণে এ শিল্পের সদ্ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তবে পরিবেশ ওক্ষার স্বার্থে শিল্পকারখানাগুলোতে বর্জ্য পরিশোধনের জন্য ইটিপি প্রযুক্তি ব্যবহারে বাধ্যতামূলক করতে হবে।

আমরা আশা করব, এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও মৎস্য কর্মকর্তারা সম্মিলিত ও জোরদার ভূমিকা পালন করবেন।

নাগরিক ডেস্ক

২৯ মে, ২০২৩,  8:50 AM

news image

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে একের পর এক নদী বিনষ্ট হচ্ছে, দখল ও দূষণ হতে হতে মৃতপ্রায়। পরিস্থিতি দিন শেষে হতাশাজনক আর খারাপের দিকেই যাচ্ছে। তা না হলে যে নদী একসময় মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত ছিল এ দেশে, সেই নদীতে কীভাবে মরা মাছ ভেসে ওঠে? এমনকি নদের পানির রং ও বদলে যাচ্ছে। আমাদের নদী, পানি, মাটি, বাতাস-সবকিছুই বিষিয়ে উঠছে।

একটি দেশের প্রাণ-প্রকৃতি ও জনজীবনের জন্য এর চেয়ে অশনিসংকেত আর কী হতে পারে। কিন্তু এসব রক্ষায় রাষ্ট্র, সরকার ও জনগণ রয়েছে অনেক পিছিয়ে। কোনো ভাবেই শিল্পকারখানাগুলো পরিবেশবান্ধব করা যাচ্ছে না, সেই ব্যর্থতার ভার বহন করতে হচ্ছে আমাদের নদণ্ডনদীগুলোকে।  বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। তাই শিল্পণ্ডকারখানা স্থাপনের সময় বা এখন শিল্পের বর্জ্যব্যবস্থাপনা নিয়ে কঠোর হতে হবে। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকলে কোনো শিল্প স্থাপনা করার অনুমোদন না দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অধিক কঠোর হতে হবে। প্লাস্টিকসামগ্রী, পলিব্যাগ, চিপসসামগ্রীর মোড়কের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে হবে।

কেননা, এগুলো নদীদূষণের অন্যতম কারণ। সারা দেশে প্রায় ২০০০টি শিল্প কল-কারখানা আছে। অর্ধেকের বেশি ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) স্থাপন করেনি বা সব সময় চালু রাখে না বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়। শিল্পবর্জ্যরে বড় শিকার হচ্ছে রাজধানী বা শিল্প এলাকার নদীগুলো। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, বালু, হালদা, কর্ণফুলী, সুরমা, রূপসা কিংবা ব্রহ্মপুত্র কোনো নদণ্ডনদীয় রেহাই পাঁচ্ছে না এ দূষণের হাত থেকে।

শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দেশে দূষণের ভয়াবহতাও বাড়ছে। শিল্পণ্ডকারখানা থেকে নির্গত তরল বর্জ্য, বিষাক্ত রাসায়নিক এবং অন্যান্য মানুষের বর্জ্য ইত্যাদির মাধ্যমে নদী-খাল ইত্যাদি দূষণ হচ্ছে। কিন্তু সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে কারো বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট শিল্প মালিকের তেমন মাথাব্যথা নেই। পোশাক কারখানা বা এর সংশ্লিষ্ট কারখানাতেই দূষণ বেশি।

সম্ভাবনাময় খাত হচ্ছে চামড়াশিল্প খাত। এখানেও দূষণের মাত্রা বেশি। কারণ এখানেও পরিকল্পনার অভাব। কিন্তু সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও কিছু ট্যানারি মালিকপক্ষের কারণে এ শিল্পের সদ্ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তবে পরিবেশ ওক্ষার স্বার্থে শিল্পকারখানাগুলোতে বর্জ্য পরিশোধনের জন্য ইটিপি প্রযুক্তি ব্যবহারে বাধ্যতামূলক করতে হবে।

আমরা আশা করব, এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও মৎস্য কর্মকর্তারা সম্মিলিত ও জোরদার ভূমিকা পালন করবেন।