মেয়াদোত্তীর্ণ পাইপ লাইন, গ্যাস সরবরাহে আধুনিকায়ন জরুরি

#
news image

রাজধানীতে গ্যাস লাইনে ত্রুটির কারণে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন সময়ে রাজধানীতে গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় সবার মনেই। এক দশক আগে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া এসব লাইন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে আবাসিক এলাকাগুলো ভয়ানক ঝুঁকিতে আছে।

জানা যায়, যেসব পাইপলাইনে রাজধানীর বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ করা হয় তার বেশিরভাগেরই মেয়াদ ছিল ৩০ বছর। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার ১০ বছর পরও এসব পাইপলাইনে সরবরাহ হচ্ছে গ্যাস। আর মেয়াদোত্তীর্ণ এসব পাইপলাইন থেকেই ঘটছে লিকেজের ঘটনা। জানা যায়, তিতাসের আওতায় মোট সংযোগ ২৮ লাখ ৭৭ হাজার। এর মধ্যে আবাসিক সংযোগই রয়েছে প্রায় সাড়ে ২৮ লাখ। এসব বাসাবাড়ির লাইনগুলো যে কখনও তিতাস তোয়াক্কাই করেনি তা গন্ধ ছড়িয়ে লিকেজগুলো জানান দেয়। মানুষের জীবনকে হেলাফেলা মনে না করে লিকেজ সারানোর উদ্যোগ নেয়া হোক।

না হলে যে কোনো সময় যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মেয়াদোত্তীর্ণ পাইপ লাইন, গ্যাস লাইনের ছিদ্র শনাক্ত করার জন্য স্বয়ংক্রিয় মেশিনের অভাব, অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে যত্রতত্র হওয়া ছিদ্র, তিতাসের সঞ্চালন লাইনে ত্রুটি ও যথাযথ মনিটরিংয়ের অভাবে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য দায়ী বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়।

কাজেই চিহ্নিত এই ত্রুটিগুলো সারাতে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নিতে হবে। ১৯৬৭ সালে ঢাকায় পাইপলাইন নির্মাণের কাজ শুরু করে তিতাস। ঢাকা শহরে তিতাসের পাইপলাইন বিস্তৃত হয় ১৯৮০ সালের পর। পুরো বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি বিভাগকেই ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করার কথা গণমাধ্যমে প্রায় সময়ই বলে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তার যথাযথ উদ্যোগ সহজে চোখে পড়ে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুপারভাইজরি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডেটা অ্যাকুইজিশন সিস্টেম (স্ক্যাডা) সিস্টেমের আওতায় সব নিয়ে আসলে গ্যাসলাইনের কোথাও ছিদ্র আছে কিনা তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানা যাবে। এতে করে বড় ধরনের যে কোনো দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। জরুরিভাবে কাজটি করার দাবি জনগণের সঙ্গে আমাদেরও।

আমরা চাই, রাজধানীতে গ্যাস লাইনে যে ত্রুটিগুলো আছে তা দ্রুত সারিয়ে ফেলা হোক।  তিতাসের সঞ্চালন লাইনগুলো মেরামত শুধু নয়, নতুন লাইন বসাতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ লাইনগুলো বাতিল করে নতুন লাইন স্থাপন করা হোক। আমরা মনে করি, ঝুঁকিমুক্ত গ্যাস সঞ্চালন ব্যবস্থা গড়তে এর আধুনিকায়নের কোনো বিকল্প নেই।

নাগরিক ডেস্ক

১৮ মে, ২০২৩,  3:27 PM

news image

রাজধানীতে গ্যাস লাইনে ত্রুটির কারণে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন সময়ে রাজধানীতে গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় সবার মনেই। এক দশক আগে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া এসব লাইন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে আবাসিক এলাকাগুলো ভয়ানক ঝুঁকিতে আছে।

জানা যায়, যেসব পাইপলাইনে রাজধানীর বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ করা হয় তার বেশিরভাগেরই মেয়াদ ছিল ৩০ বছর। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার ১০ বছর পরও এসব পাইপলাইনে সরবরাহ হচ্ছে গ্যাস। আর মেয়াদোত্তীর্ণ এসব পাইপলাইন থেকেই ঘটছে লিকেজের ঘটনা। জানা যায়, তিতাসের আওতায় মোট সংযোগ ২৮ লাখ ৭৭ হাজার। এর মধ্যে আবাসিক সংযোগই রয়েছে প্রায় সাড়ে ২৮ লাখ। এসব বাসাবাড়ির লাইনগুলো যে কখনও তিতাস তোয়াক্কাই করেনি তা গন্ধ ছড়িয়ে লিকেজগুলো জানান দেয়। মানুষের জীবনকে হেলাফেলা মনে না করে লিকেজ সারানোর উদ্যোগ নেয়া হোক।

না হলে যে কোনো সময় যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মেয়াদোত্তীর্ণ পাইপ লাইন, গ্যাস লাইনের ছিদ্র শনাক্ত করার জন্য স্বয়ংক্রিয় মেশিনের অভাব, অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে যত্রতত্র হওয়া ছিদ্র, তিতাসের সঞ্চালন লাইনে ত্রুটি ও যথাযথ মনিটরিংয়ের অভাবে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য দায়ী বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়।

কাজেই চিহ্নিত এই ত্রুটিগুলো সারাতে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নিতে হবে। ১৯৬৭ সালে ঢাকায় পাইপলাইন নির্মাণের কাজ শুরু করে তিতাস। ঢাকা শহরে তিতাসের পাইপলাইন বিস্তৃত হয় ১৯৮০ সালের পর। পুরো বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি বিভাগকেই ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করার কথা গণমাধ্যমে প্রায় সময়ই বলে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তার যথাযথ উদ্যোগ সহজে চোখে পড়ে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুপারভাইজরি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডেটা অ্যাকুইজিশন সিস্টেম (স্ক্যাডা) সিস্টেমের আওতায় সব নিয়ে আসলে গ্যাসলাইনের কোথাও ছিদ্র আছে কিনা তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানা যাবে। এতে করে বড় ধরনের যে কোনো দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। জরুরিভাবে কাজটি করার দাবি জনগণের সঙ্গে আমাদেরও।

আমরা চাই, রাজধানীতে গ্যাস লাইনে যে ত্রুটিগুলো আছে তা দ্রুত সারিয়ে ফেলা হোক।  তিতাসের সঞ্চালন লাইনগুলো মেরামত শুধু নয়, নতুন লাইন বসাতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ লাইনগুলো বাতিল করে নতুন লাইন স্থাপন করা হোক। আমরা মনে করি, ঝুঁকিমুক্ত গ্যাস সঞ্চালন ব্যবস্থা গড়তে এর আধুনিকায়নের কোনো বিকল্প নেই।