রমরমা কারাগারগুলোর ক্যান্টিন বাণিজ্য

#
news image

কারাগারে অপরাধীদের রাখা হয় কৃত অপরাধের সাজা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের সংশোধনের উদ্দেশ্যে। সেই কারাগারেই যদি চলে নানা ধরনের অনিয়ম, তাহলে তা উদ্বেগের বিষয়। দেশের কারাগারগুলোয় চলছে অনুমোদনহীন রমরমা ক্যান্টিন বাণিজ্য। কারাগারের ক্যান্টিনে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি ও নিন্মমানের পণ্যে সয়লাব।

কারাগারের ক্যান্টিনে গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেট। কারাগারগুলোতে প্রতিদিন হাজারো মানুষের আনাগোনা ক্যান্টিনে। হাজতিদের আত্মীয়স্বজন ও দর্শনার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত বা অধিক দামে পণ্য বিক্রির অভিযোগ আছে। দুর্ব্যবহার সহ নানা ভোগান্তির কবলে ক্রেতারা। জেলে বন্দি আসামিদের জন্য প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার আয়েশি খাবার বেচাকেনায় খোদ কারা কর্মকর্তারাই জড়িত। ১৫ বছর ধরে চলছে এ ধরনের ব্যবসা।

কিন্তু দুদোকের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ক্যান্টিনকে কেন্দ্র করে দুর্নীতি হচ্ছে। কারাগারে বেকারিজাতীয় খাবারের জন্য ক্যান্টিন পরিচালনার অনুমতি দেয় মন্ত্রণালয়। সেই অনুমতির সূত্রে এখন যেভাবে কারা ক্যান্টিন পরিচালনা করা হচ্ছে, তা অনুমোদনহীন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। দুদকের একটি টিম সম্প্রতি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড নিয়ে অনুসন্ধান চালায়।

সেখানের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে দেশের অন্যান্য কারাগারের অবস্থা প্রায় একই উল্লেখ করে কমিশনে এ বিষয়ে সুপারিশ দাখিল করে। দেশে বর্তমানে ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৫৫টি জেলা কারাগারে বন্দি ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৬২৬ জনের। কিন্তু এসব কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি বন্দি রাখা হয়েছে। আসামিদের একটা বড় অংশ বাইরে থেকে বা পরিবারের টাকায় কারাক্যান্টিন থেকে দামি খাবার খাওয়ার সুযোগ পান। অপরদিকে সাধারণ ও গরিব বন্দিরা সরকারি খাবারও ঠিকমতো পাঁচ্ছেন না।

প্রতিটি কারাগারের কারা ক্যান্টিন থেকেই লাভের টাকা কারারক্ষী ও কয়েদিদের মধ্যে বিতরণের নির্দেশনা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে উপেক্ষিত। বেশির ভাগ কারাগারের কারা ক্যান্টিন থেকেই বাজার মূল্যে দ্বিগুণের বেশি দামে পণ্য বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। এই ক্যান্টিনকে ঘিরে কারা অভ্যন্তরে দুর্নীতির আখড়া গড়ে উঠেছে। ক্যান্টিনে উচ্চ দামে সব ধরনের ভারী খাবার বন্দিদের মাঝে বিক্রয় করা হয়, যা কতটুকু বিধিসম্মত তা দেখা দরকার।

এ ছাড়া ক্যান্টিনের কারণে সরকারিভাবে প্রদত্ত খাবার যথাযথভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে না। দেশের কারাগারগুলো যাতে প্রকৃত অর্থেই সংশোধনাগার হয়ে উঠতে পারে, সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। কারাগারগুলোয় বিদ্যমান সমস্যাগুলো জরুরি ভিত্তিতে চিহ্নিত করে সেসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

নাগরিক ডেস্ক

০৫ মে, ২০২৩,  9:23 AM

news image

কারাগারে অপরাধীদের রাখা হয় কৃত অপরাধের সাজা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের সংশোধনের উদ্দেশ্যে। সেই কারাগারেই যদি চলে নানা ধরনের অনিয়ম, তাহলে তা উদ্বেগের বিষয়। দেশের কারাগারগুলোয় চলছে অনুমোদনহীন রমরমা ক্যান্টিন বাণিজ্য। কারাগারের ক্যান্টিনে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি ও নিন্মমানের পণ্যে সয়লাব।

কারাগারের ক্যান্টিনে গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেট। কারাগারগুলোতে প্রতিদিন হাজারো মানুষের আনাগোনা ক্যান্টিনে। হাজতিদের আত্মীয়স্বজন ও দর্শনার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত বা অধিক দামে পণ্য বিক্রির অভিযোগ আছে। দুর্ব্যবহার সহ নানা ভোগান্তির কবলে ক্রেতারা। জেলে বন্দি আসামিদের জন্য প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার আয়েশি খাবার বেচাকেনায় খোদ কারা কর্মকর্তারাই জড়িত। ১৫ বছর ধরে চলছে এ ধরনের ব্যবসা।

কিন্তু দুদোকের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ক্যান্টিনকে কেন্দ্র করে দুর্নীতি হচ্ছে। কারাগারে বেকারিজাতীয় খাবারের জন্য ক্যান্টিন পরিচালনার অনুমতি দেয় মন্ত্রণালয়। সেই অনুমতির সূত্রে এখন যেভাবে কারা ক্যান্টিন পরিচালনা করা হচ্ছে, তা অনুমোদনহীন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। দুদকের একটি টিম সম্প্রতি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড নিয়ে অনুসন্ধান চালায়।

সেখানের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে দেশের অন্যান্য কারাগারের অবস্থা প্রায় একই উল্লেখ করে কমিশনে এ বিষয়ে সুপারিশ দাখিল করে। দেশে বর্তমানে ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৫৫টি জেলা কারাগারে বন্দি ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৬২৬ জনের। কিন্তু এসব কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি বন্দি রাখা হয়েছে। আসামিদের একটা বড় অংশ বাইরে থেকে বা পরিবারের টাকায় কারাক্যান্টিন থেকে দামি খাবার খাওয়ার সুযোগ পান। অপরদিকে সাধারণ ও গরিব বন্দিরা সরকারি খাবারও ঠিকমতো পাঁচ্ছেন না।

প্রতিটি কারাগারের কারা ক্যান্টিন থেকেই লাভের টাকা কারারক্ষী ও কয়েদিদের মধ্যে বিতরণের নির্দেশনা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে উপেক্ষিত। বেশির ভাগ কারাগারের কারা ক্যান্টিন থেকেই বাজার মূল্যে দ্বিগুণের বেশি দামে পণ্য বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। এই ক্যান্টিনকে ঘিরে কারা অভ্যন্তরে দুর্নীতির আখড়া গড়ে উঠেছে। ক্যান্টিনে উচ্চ দামে সব ধরনের ভারী খাবার বন্দিদের মাঝে বিক্রয় করা হয়, যা কতটুকু বিধিসম্মত তা দেখা দরকার।

এ ছাড়া ক্যান্টিনের কারণে সরকারিভাবে প্রদত্ত খাবার যথাযথভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে না। দেশের কারাগারগুলো যাতে প্রকৃত অর্থেই সংশোধনাগার হয়ে উঠতে পারে, সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। কারাগারগুলোয় বিদ্যমান সমস্যাগুলো জরুরি ভিত্তিতে চিহ্নিত করে সেসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।