তরুণরাই হবে জাতির মেরুদন্ড
নাগরিক ডেস্ক
০৫ মে, ২০২৩, 9:14 AM
তরুণরাই হবে জাতির মেরুদন্ড
প্রতি মুহূর্তে আমরা উন্নত দেশ, উন্নত জাঁতি হওয়ার স্বপ্ন দেখি। উন্নত দেশগুলোকে অনুকরণ করি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরুলেও আমরা কি সত্যিকার অর্থে কাক্সিক্ষত সমৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছি? আসলে প্রকৃত শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করতে হলে সরকার ও জনগণ সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
পরস্পরের প্রতি পরস্পরের দায়িত্ব যথারীতি পালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা শুধুমাত্র আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, অবকাঠামোগত অগ্রগতি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন- এগুলোকেই সূচক হিসেবে মনে করি। কিন্তু উন্নত জাঁতি হতে হলে কি শুধু অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, অবকাঠামোগত অগ্রগতি বা বস্তুগত উন্নতিই যথেষ্ট নয়, সর্বাগ্রে প্রয়োজন উন্নত মানুষ হওয়া। আর এরকম উন্নত মানুষ নিয়েই গড়ে ওঠে একটি উন্নত জাঁতি বা উন্নত যুব সমাজ।
তাই মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত মানুষ তৈরিতে পরিবার, সমাজ, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র তথা সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর এই উন্নয়ন আজ শুধু ব্যক্তির জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়নের মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখা যথেষ্ট নয়। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে, নৈতিক দিক দিয়ে অধঃপতিত মানুষ দিয়ে উন্নত জাঁতি তৈরি করা যাবে না, হোক সে জাঁতি বৈষয়িক বিভিন্ন সূচকে যতই অগ্রসরমান। এজন্য প্রয়োজন একটি স্বপ্নের-যে স্বপ্ন তরুণ সমাজকে একটি সুন্দর সফল জীবনের পথ দেখাবে।
বর্তমান তরুণদের স্বপ্নে, চিন্তা-চেতনায়, ভাবনা-কল্পনায় এবং কাজ-কর্মের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে দেশ ও আপামর জনগণের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ। তরুণরাই হবে জাতির মেরুদন্ড। এ মেরুদন্ডকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার কাজে অভিভাবক সমাজ এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। সঠিক পরিচর্যা পেলে একদিন তরুণরাই তাদের মহৎ স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবে। অতীতে দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ তরুণ ও যুব সমাজ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে।
ভবিষ্যতেও এই তরুণ সমাজ তাদের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার সম্ভাবনা। তারা তাদের জ্ঞানকে শানিত করে মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তির স্ফুরণ ঘটিয়ে নতুন নতুন আবিষ্কারের দ্বারা দেশ ও মানবতার কল্যাণসাধন করবে। এর জন্য চাই জ্ঞানভিত্তিক গুণগত শিক্ষা, যার আলো তাদের অন্তরকে আলোকিত করবে, সম্ভাবনা ও সুপ্তশক্তিকে উন্মোচিত করবে, আত্মবিশ্বাসী ও কর্মোদ্যোগী করে তুলবে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা কর্মী, ব্যবস্থাপক ও উদ্যোক্তা হিসেবে ছড়িয়ে পড়বে। উন্নয়নের বহুমুখী খাতগুলো তারুণ্যের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠবে।
পুঁজিবাদী অর্থনীতির দৌরাত্ম্যে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য পাহাড়সম রূপ ধারণ করছে। এক শ্রেণির মানুষের হাতে সম্পদের পাহাড় জমছে, অন্যদিকে অগণিত দরিদ্র ও বুভুক্ষ মানুষের হাহাকারে মানবতা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তরুণ সমাজকে। দেশে আজ সুশাসন ও নীতি-নৈতিকতার বড়ই সংকট। দেশে পরিবর্তন আনার এখনই সময়। জাতির আশা-আকাঙ্খার প্রতীক আমাদের তরুণ সমাজ।
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারাই পারে সব ক্ষেত্রে সংস্কার আনতে। সোনার বাংলার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের তরুণ সমাজকে নোংরা রাজনীতি, সন্ত্রাস ও কালো টাকার ছোবল থেকে রক্ষা করতে হবে। দেশবাসীর আশা পূরণে তারা এমন একটি সুস্থ সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা করবে-যেখানে থাকবে না কোনো হানাহানি, মারামারি, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, নির্যাতন ও শোষণ। দেশ ও জাতিকে তারা উপহার দেবে একটি শান্তি ও সৌহার্দ্যময় পরিবেশ; একটি সুন্দর বাংলাদেশ। আমাদের তরুণদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ একদিন উন্নত বিশ্বের কাতারে স্থান করে নেবে আমাদের প্রত্যাশা।
নাগরিক ডেস্ক
০৫ মে, ২০২৩, 9:14 AM
প্রতি মুহূর্তে আমরা উন্নত দেশ, উন্নত জাঁতি হওয়ার স্বপ্ন দেখি। উন্নত দেশগুলোকে অনুকরণ করি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরুলেও আমরা কি সত্যিকার অর্থে কাক্সিক্ষত সমৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছি? আসলে প্রকৃত শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করতে হলে সরকার ও জনগণ সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
পরস্পরের প্রতি পরস্পরের দায়িত্ব যথারীতি পালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা শুধুমাত্র আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, অবকাঠামোগত অগ্রগতি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন- এগুলোকেই সূচক হিসেবে মনে করি। কিন্তু উন্নত জাঁতি হতে হলে কি শুধু অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, অবকাঠামোগত অগ্রগতি বা বস্তুগত উন্নতিই যথেষ্ট নয়, সর্বাগ্রে প্রয়োজন উন্নত মানুষ হওয়া। আর এরকম উন্নত মানুষ নিয়েই গড়ে ওঠে একটি উন্নত জাঁতি বা উন্নত যুব সমাজ।
তাই মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত মানুষ তৈরিতে পরিবার, সমাজ, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র তথা সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর এই উন্নয়ন আজ শুধু ব্যক্তির জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়নের মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখা যথেষ্ট নয়। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে, নৈতিক দিক দিয়ে অধঃপতিত মানুষ দিয়ে উন্নত জাঁতি তৈরি করা যাবে না, হোক সে জাঁতি বৈষয়িক বিভিন্ন সূচকে যতই অগ্রসরমান। এজন্য প্রয়োজন একটি স্বপ্নের-যে স্বপ্ন তরুণ সমাজকে একটি সুন্দর সফল জীবনের পথ দেখাবে।
বর্তমান তরুণদের স্বপ্নে, চিন্তা-চেতনায়, ভাবনা-কল্পনায় এবং কাজ-কর্মের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে দেশ ও আপামর জনগণের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ। তরুণরাই হবে জাতির মেরুদন্ড। এ মেরুদন্ডকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার কাজে অভিভাবক সমাজ এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। সঠিক পরিচর্যা পেলে একদিন তরুণরাই তাদের মহৎ স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবে। অতীতে দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ তরুণ ও যুব সমাজ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে।
ভবিষ্যতেও এই তরুণ সমাজ তাদের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার সম্ভাবনা। তারা তাদের জ্ঞানকে শানিত করে মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তির স্ফুরণ ঘটিয়ে নতুন নতুন আবিষ্কারের দ্বারা দেশ ও মানবতার কল্যাণসাধন করবে। এর জন্য চাই জ্ঞানভিত্তিক গুণগত শিক্ষা, যার আলো তাদের অন্তরকে আলোকিত করবে, সম্ভাবনা ও সুপ্তশক্তিকে উন্মোচিত করবে, আত্মবিশ্বাসী ও কর্মোদ্যোগী করে তুলবে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা কর্মী, ব্যবস্থাপক ও উদ্যোক্তা হিসেবে ছড়িয়ে পড়বে। উন্নয়নের বহুমুখী খাতগুলো তারুণ্যের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠবে।
পুঁজিবাদী অর্থনীতির দৌরাত্ম্যে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য পাহাড়সম রূপ ধারণ করছে। এক শ্রেণির মানুষের হাতে সম্পদের পাহাড় জমছে, অন্যদিকে অগণিত দরিদ্র ও বুভুক্ষ মানুষের হাহাকারে মানবতা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তরুণ সমাজকে। দেশে আজ সুশাসন ও নীতি-নৈতিকতার বড়ই সংকট। দেশে পরিবর্তন আনার এখনই সময়। জাতির আশা-আকাঙ্খার প্রতীক আমাদের তরুণ সমাজ।
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারাই পারে সব ক্ষেত্রে সংস্কার আনতে। সোনার বাংলার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের তরুণ সমাজকে নোংরা রাজনীতি, সন্ত্রাস ও কালো টাকার ছোবল থেকে রক্ষা করতে হবে। দেশবাসীর আশা পূরণে তারা এমন একটি সুস্থ সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা করবে-যেখানে থাকবে না কোনো হানাহানি, মারামারি, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, নির্যাতন ও শোষণ। দেশ ও জাতিকে তারা উপহার দেবে একটি শান্তি ও সৌহার্দ্যময় পরিবেশ; একটি সুন্দর বাংলাদেশ। আমাদের তরুণদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ একদিন উন্নত বিশ্বের কাতারে স্থান করে নেবে আমাদের প্রত্যাশা।