কলার দ্বিতীয় রাজধানী লাল মাটির গড় মধুপুর
নাজিবুল বাশার, মধুপুর (টাঙ্গাইল)
০৯ এপ্রিল, ২০২৩, 11:45 AM
কলার দ্বিতীয় রাজধানী লাল মাটির গড় মধুপুর
টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় আনারসের রাজধানী হলেও কলার দ্বিতীয় রাজধানীও এ গড়। লাল মাটিতে আনারসের পাশাপাশি ব্যাপক পরিমানে কলার চাষ হয়ে থাকে। লাল মাটির উর্বর মৃত্তিকা কৃষি ফসল উৎপাদনের জন্য বিশেষ উপযোগী। তাই উ”ু বন্যামুক্ত মধুপুরে প্রচুর পরিমানে আনারস, পেঁপে, আদা, কচুসহ রের্কড পরিমানে কলা চাষ হয়ে থাকে। তাই স্থানীরা মধুপুর গড়কে কলার দ্বিতীয় রাজধানী বলে থাকে।
প্রতি বছরের মত এ বছরও কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। আনারসের মতো গড় অঞ্চলের কলারও সুনাম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলেও ভালে দাম পাচ্ছে চাষীরা। চাষী পাইকারদের সুবিধার জন্য জলছত্র ট্রাক ড্রাইভার্স ইউয়িন তাদের নিজস্ব অফিসে থাকা খাওয়ার সুবিধার জন্য আবাসিকহোটেল ও রেস্তোরার ব্যবস্থা করে কলার বাজারকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। আর কৃষি বিভাগ বলছে, এবার কলার ভালো দাম পাচ্ছে চাষীরা। মাত্রাতিরিক্ত সার কীটনাশক ব্যবহারে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। খরচ কমানো ও নিরাপদ কলা চাষে ব্যাগিং পদ্ধতিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
জানাযায়, টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের উর্বর লাল মাটিতে দিন দিন বাড়ছে কলার আবাদ। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ফলন হয়েছে ভালো। মধুপুর গড়ের বাগান, বাজার ও জলছত্র কলার হাট থেকে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার কলা বিক্রি হয়ে থাকে। এ বছর উপজেলায় ২৩৫৫ হেক্টোর জমিতে সাগর, সর্বি, বিচি, চাম্পা কলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির কলা আবাদ করা হয়েছে। কলাকে কেন্দ্র করে মধুপুুরের জলছত্র নামক স্থানে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তর কলা বাজার। এ বাজার মূলত শুক্র ও মঙ্গলবার কিন্তু কলার উৎপাদন বেশী ও চাহিদার কারণে সপ্তাহে ছয় দিন কলা বেচা-কেনা হয়ে থাকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকার কারণে সহজেই দেশের বিভিন্ন স্থানে কলা সরবরাহ করা যায়। কলা কিনতে আসেন বিভিন্ন জেলার পাইকাররা। গড় এলাকার কলার গুণগতমান ভালো থাকার কারণে দেশে জুড়ে চাহিদা রয়েছে। কলা আনা নেওয়ার জন্য জলছত্র বাজারেই গড়ে তোলা হয়েছে ট্রাক ও কর্ভাড ভ্যান ডাইভার্স ইউয়িন। সহজেই বাহন পাওয়ার যাওয়ার কারণে দুর থেকে পাইকারদের কলা নিতে গাড়ীর কোন সমস্যা হয় না। সহজেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কলা নেওয়া যায়। ট্রাক অফিসেই পাইকার ড্রাইভার পর্যটক থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করায় বাজারের সমৃদ্ধি হচ্ছে।
তবে সার, কীটনাশক ও জ্বালানী তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় কলা চাষে খরচ আগের তুলনায় বেড়ে গেলেও এ সময়ে ভালো দাম পাচ্ছেন বলে জানান চাষীরা।
কলা বিক্রি করতে আসা চাষী ও পাইকাররা জানান, বাজারে আকারভেদে প্রতি ছড়ি কলা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। গড় এলাকার বিভিন্ন বাগান বাজারে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকার এসে কলা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এ এলাকার কলার গুণগত মান ভালো থাকায় দেশ জুড়ে রয়েছে চাহিদা। ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে কলা। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে পাইকার। শীত কমে যাওয়ায় বাড়তে শুরু করেছে দাম। রমজানে আরো দাম বাড়বে। চড়া দামে কলা কিনেও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে সেখানেও আশানুরূপ লাভ পাচ্ছে বলে জানান পাইকাররা।
মধুপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আল মামুন রাসেল জানান, এ বছর মধুপুরে ২৩৫৫ হেক্টোর জমিতে সাগর, সর্বি, বিচি, চাম্পা কলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির কলা আবাদ করা হয়েছে। কলার ফলন ভালো হওয়ায় চাষীরা দামও পাচ্ছে ভালো। তবে কিছু কিছু চাষী মাত্রাতিরিক্ত সার ব্যবহার করায় তাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। খরচ কমানো জন্য ব্যাগিং পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে চাষীদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
মধুপুর গড় কে আনারসের রাজধানী বলা হলেও এ এলাকার উর্বর লাল মাটিতে দিন দিন কলা চাষে ঝুঁকছেন চাষীরা। বাজারের ট্রাক অফিসে সুযোগ সুবিধা থাকায় বাড়ছে পাইকার। অল্প জমি অধিক ফসল চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কৃষক কলা চাষে এগিয়ে যাচ্ছে।
নাজিবুল বাশার, মধুপুর (টাঙ্গাইল)
০৯ এপ্রিল, ২০২৩, 11:45 AM
টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় আনারসের রাজধানী হলেও কলার দ্বিতীয় রাজধানীও এ গড়। লাল মাটিতে আনারসের পাশাপাশি ব্যাপক পরিমানে কলার চাষ হয়ে থাকে। লাল মাটির উর্বর মৃত্তিকা কৃষি ফসল উৎপাদনের জন্য বিশেষ উপযোগী। তাই উ”ু বন্যামুক্ত মধুপুরে প্রচুর পরিমানে আনারস, পেঁপে, আদা, কচুসহ রের্কড পরিমানে কলা চাষ হয়ে থাকে। তাই স্থানীরা মধুপুর গড়কে কলার দ্বিতীয় রাজধানী বলে থাকে।
প্রতি বছরের মত এ বছরও কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। আনারসের মতো গড় অঞ্চলের কলারও সুনাম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলেও ভালে দাম পাচ্ছে চাষীরা। চাষী পাইকারদের সুবিধার জন্য জলছত্র ট্রাক ড্রাইভার্স ইউয়িন তাদের নিজস্ব অফিসে থাকা খাওয়ার সুবিধার জন্য আবাসিকহোটেল ও রেস্তোরার ব্যবস্থা করে কলার বাজারকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। আর কৃষি বিভাগ বলছে, এবার কলার ভালো দাম পাচ্ছে চাষীরা। মাত্রাতিরিক্ত সার কীটনাশক ব্যবহারে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। খরচ কমানো ও নিরাপদ কলা চাষে ব্যাগিং পদ্ধতিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
জানাযায়, টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের উর্বর লাল মাটিতে দিন দিন বাড়ছে কলার আবাদ। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ফলন হয়েছে ভালো। মধুপুর গড়ের বাগান, বাজার ও জলছত্র কলার হাট থেকে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার কলা বিক্রি হয়ে থাকে। এ বছর উপজেলায় ২৩৫৫ হেক্টোর জমিতে সাগর, সর্বি, বিচি, চাম্পা কলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির কলা আবাদ করা হয়েছে। কলাকে কেন্দ্র করে মধুপুুরের জলছত্র নামক স্থানে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তর কলা বাজার। এ বাজার মূলত শুক্র ও মঙ্গলবার কিন্তু কলার উৎপাদন বেশী ও চাহিদার কারণে সপ্তাহে ছয় দিন কলা বেচা-কেনা হয়ে থাকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকার কারণে সহজেই দেশের বিভিন্ন স্থানে কলা সরবরাহ করা যায়। কলা কিনতে আসেন বিভিন্ন জেলার পাইকাররা। গড় এলাকার কলার গুণগতমান ভালো থাকার কারণে দেশে জুড়ে চাহিদা রয়েছে। কলা আনা নেওয়ার জন্য জলছত্র বাজারেই গড়ে তোলা হয়েছে ট্রাক ও কর্ভাড ভ্যান ডাইভার্স ইউয়িন। সহজেই বাহন পাওয়ার যাওয়ার কারণে দুর থেকে পাইকারদের কলা নিতে গাড়ীর কোন সমস্যা হয় না। সহজেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কলা নেওয়া যায়। ট্রাক অফিসেই পাইকার ড্রাইভার পর্যটক থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করায় বাজারের সমৃদ্ধি হচ্ছে।
তবে সার, কীটনাশক ও জ্বালানী তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় কলা চাষে খরচ আগের তুলনায় বেড়ে গেলেও এ সময়ে ভালো দাম পাচ্ছেন বলে জানান চাষীরা।
কলা বিক্রি করতে আসা চাষী ও পাইকাররা জানান, বাজারে আকারভেদে প্রতি ছড়ি কলা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। গড় এলাকার বিভিন্ন বাগান বাজারে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকার এসে কলা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এ এলাকার কলার গুণগত মান ভালো থাকায় দেশ জুড়ে রয়েছে চাহিদা। ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে কলা। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে পাইকার। শীত কমে যাওয়ায় বাড়তে শুরু করেছে দাম। রমজানে আরো দাম বাড়বে। চড়া দামে কলা কিনেও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে সেখানেও আশানুরূপ লাভ পাচ্ছে বলে জানান পাইকাররা।
মধুপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আল মামুন রাসেল জানান, এ বছর মধুপুরে ২৩৫৫ হেক্টোর জমিতে সাগর, সর্বি, বিচি, চাম্পা কলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির কলা আবাদ করা হয়েছে। কলার ফলন ভালো হওয়ায় চাষীরা দামও পাচ্ছে ভালো। তবে কিছু কিছু চাষী মাত্রাতিরিক্ত সার ব্যবহার করায় তাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। খরচ কমানো জন্য ব্যাগিং পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে চাষীদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
মধুপুর গড় কে আনারসের রাজধানী বলা হলেও এ এলাকার উর্বর লাল মাটিতে দিন দিন কলা চাষে ঝুঁকছেন চাষীরা। বাজারের ট্রাক অফিসে সুযোগ সুবিধা থাকায় বাড়ছে পাইকার। অল্প জমি অধিক ফসল চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কৃষক কলা চাষে এগিয়ে যাচ্ছে।