ভালুকায় প্রদর্শনীর ধান ক্ষেতে বিভিন্ন রোগ বালাই

#
news image

ভালুকায় সরকারি প্রণোদনার কৃষি প্রদর্শনীর আওতায় বোরো ধান ক্ষেতে পাতা ও গোড়া পচা রোগ দেখা দিয়েছে। উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলামের ওই প্রদর্শনীর ক্ষেতে পাতা ও গোড়া পচা রোগ দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন প্রদর্শনীর ক্ষেতে গেলে কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, সরকারি প্রণোদনা হিসেবে এক বিঘা (৩৫ শতাংশ) জমির জন্য বোরো ব্রি-ধান ৮১ জাতের ৫ কেজি বীজ ধান, রোপণের জন্য ১০০০ টাকা ও বিভিন্ন জাতের সার প্রণোদনা হিসেবে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ২৫ জানুয়ারি তিনি ধানের চারা রোপণ করেন। গত কয়েক দিন হলো ধান গাছের পাতা মরে লাল হচ্ছে আর ধানের গোছায় পচন ধরে ধান গাছ মরে যাচ্ছে।

ফলে তিনি ৩০ মণ ধান ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে জানান।

তিনি ক্ষোভের স্বরে আরও বলেন, একদিনের জন্যও কৃষি বিভাগের কোনো লোক তার ধান ক্ষেতের কাছে আসেননি। পাকা রাস্তার পাশে তার ধান ক্ষেতে কৃষি বিভাগের প্রদর্শনী সাইনবোর্ড লাগানো আছে। এ রাস্তা দিয়েই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসা যাওয়া করেন।

কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত ধান ক্ষেতটি তিনি একবারও দেখেননি। এখন ধানের যে অবস্থা, তাতে এক রকম আশা ছেড়ে দিয়েছেন।

অপরদিকে চানপুর গ্রামের অনেকে জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তারা আশানুরূপ ফলন পাবেন না বলে জানান। অনেক কৃষকের অভিযোগ, নিম্ন মানের কীটনাশক কোম্পানি, ডিলার ও মাঠ পর্যায়ের কৃষি সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশে বাজারে ভেজাল সার ও কীটনাশক সরবরাহ হচ্ছে।

যে কারণে আক্রান্ত ক্ষেতে বার বার কীটনাশক ছিটিয়েও আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন না।

সোনাখালী গ্রামের কৃষক আলী হোসেন জানান, তিনি তার ব্লাস্ট আক্রান্ত ধান ক্ষেতে তিনবার ওষুধ ছিটিয়েছেন। এছাড়াও উপজলার বিভিন্ন গ্রামে কিছু কিছু ধান ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে তিনি।

 

উপজেলা সংবাদদাতা

০৪ এপ্রিল, ২০২৩,  2:19 PM

news image

ভালুকায় সরকারি প্রণোদনার কৃষি প্রদর্শনীর আওতায় বোরো ধান ক্ষেতে পাতা ও গোড়া পচা রোগ দেখা দিয়েছে। উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলামের ওই প্রদর্শনীর ক্ষেতে পাতা ও গোড়া পচা রোগ দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন প্রদর্শনীর ক্ষেতে গেলে কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, সরকারি প্রণোদনা হিসেবে এক বিঘা (৩৫ শতাংশ) জমির জন্য বোরো ব্রি-ধান ৮১ জাতের ৫ কেজি বীজ ধান, রোপণের জন্য ১০০০ টাকা ও বিভিন্ন জাতের সার প্রণোদনা হিসেবে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ২৫ জানুয়ারি তিনি ধানের চারা রোপণ করেন। গত কয়েক দিন হলো ধান গাছের পাতা মরে লাল হচ্ছে আর ধানের গোছায় পচন ধরে ধান গাছ মরে যাচ্ছে।

ফলে তিনি ৩০ মণ ধান ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে জানান।

তিনি ক্ষোভের স্বরে আরও বলেন, একদিনের জন্যও কৃষি বিভাগের কোনো লোক তার ধান ক্ষেতের কাছে আসেননি। পাকা রাস্তার পাশে তার ধান ক্ষেতে কৃষি বিভাগের প্রদর্শনী সাইনবোর্ড লাগানো আছে। এ রাস্তা দিয়েই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসা যাওয়া করেন।

কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত ধান ক্ষেতটি তিনি একবারও দেখেননি। এখন ধানের যে অবস্থা, তাতে এক রকম আশা ছেড়ে দিয়েছেন।

অপরদিকে চানপুর গ্রামের অনেকে জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তারা আশানুরূপ ফলন পাবেন না বলে জানান। অনেক কৃষকের অভিযোগ, নিম্ন মানের কীটনাশক কোম্পানি, ডিলার ও মাঠ পর্যায়ের কৃষি সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশে বাজারে ভেজাল সার ও কীটনাশক সরবরাহ হচ্ছে।

যে কারণে আক্রান্ত ক্ষেতে বার বার কীটনাশক ছিটিয়েও আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন না।

সোনাখালী গ্রামের কৃষক আলী হোসেন জানান, তিনি তার ব্লাস্ট আক্রান্ত ধান ক্ষেতে তিনবার ওষুধ ছিটিয়েছেন। এছাড়াও উপজলার বিভিন্ন গ্রামে কিছু কিছু ধান ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে তিনি।