আওয়ামী লীগকে কোনো মতেই ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায় না: মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ মে, ২০২২, 9:57 PM
আওয়ামী লীগকে কোনো মতেই ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায় না: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের সফল নেতৃত্বের শাসনামলে এদেশে ভয়াবহ একটি দুর্ভিক্ষ হয়ে ছিল। এরা এতো বড় চোর ছিল যে, তখন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বলে ছিলেন-আওয়ামী লীগের নাম বাদ দিয়ে এটাকে নিখিল বাংলা লুটপাট সমিতি নাম দেওয়া উচিত। আজকে আবার সেই চুরি শুরু করেছে তারা। বাংলাদেশের সমস্ত সম্পদ লুট করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। পত্রিকায় দেখলাম জানি না, শেষ পর্যন্ত কি হবে-বলছে, বিদেশে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনা যাবে, মানে হচ্ছে আরেক শয়তানি শুরু করবে তারা অর্থাৎ নিজেরা টাকা পাচার করেছে সেই টাকা ফিরিয়ে এনে আরেকটি দুর্নীতি করবে। পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে এনে আবারও লুটপাটের সুযোগ করে দিবে।'
গতকাল রবিবার ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বিএনপি।
তিনি বলেন, ‘এদেরকে (আওয়ামী লীগ) কোনো মতেই বিশ্বাস করা যায় না। এরা বরাবরই প্রতারক দল। জনগণের সঙ্গে বরাবরই প্রতারণা করেছে। এদের কোনো মতেই ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায় না। একদিন থাকলেও আমাদের ক্ষতি।’
সুদূর লন্ডনে বসে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা তারেক রহমানের পক্ষে সম্ভব হবে কী-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, 'অবশ্যই' সম্ভব হবে। কারণ তারেক রহমান সেই রাজনীতি ধারণ করেছেন যে রাজনীতি এ দেশের সমস্ত মানুষের রাজনীতি। দেশের মানুষ এখন হত্যা গুম খুন ধর্ষণ এর থেকে মুক্তি চাই। তখন জিয়াউর রহমান আমাদের যে আদর্শ দিয়ে গেছেন তা দিয়ে অবশ্যই সম্ভব হবে। তা না হলে আমাদের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রায় ৩০ জনের অধিক হাসপাতালে পড়ে আছে কেন, কি পেয়েছে তারা? কি পাচ্ছে? তারা বিশ্বাস করে এই ফ্যাসিবাদীদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে তাই তারেক রহমানের নির্দেশে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।’
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে আলোকবর্তিকা দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের জীবনে ব্যর্থতা নেই। তিনি শহীদ হয়েছেন কিন্তু তার আদর্শ শহীদ হয়নি। তার দেখানো আদর্শে আদর্শিত হয়েই এদেশের মানুষের মুক্তি আসবে। তাই জিয়াউর রহমান সম্পর্কে যে যাই বলুক, খলনায়ক-পাকিস্তানের চর-সামরিক জান্তা থেকে উঠে আসা অক্ষত ব্যক্তি বলুক, তাতে কিছু যায় আসে না। কারণ এই দেশের মানুষের হৃদয়ের মধ্যে তিনি পতিত হয়ে আছেন। যে যতই চেষ্টা করুক কোনমতেই শহীদ জিয়াউর রহমানকে মুছে ফেলা যাবে না। আজকে জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস ধারণ করেছে।’
আজকে দেশের সবচেয়ে বড় সংকট গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বপ্নগুলোকে ভেঙ্গে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে দাবি করে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
আলোচনা সভায় বক্তব্যে রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি'র আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপি নেতা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, খায়রুল কবির খোকন প্রমূখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ মে, ২০২২, 9:57 PM
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের সফল নেতৃত্বের শাসনামলে এদেশে ভয়াবহ একটি দুর্ভিক্ষ হয়ে ছিল। এরা এতো বড় চোর ছিল যে, তখন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বলে ছিলেন-আওয়ামী লীগের নাম বাদ দিয়ে এটাকে নিখিল বাংলা লুটপাট সমিতি নাম দেওয়া উচিত। আজকে আবার সেই চুরি শুরু করেছে তারা। বাংলাদেশের সমস্ত সম্পদ লুট করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। পত্রিকায় দেখলাম জানি না, শেষ পর্যন্ত কি হবে-বলছে, বিদেশে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনা যাবে, মানে হচ্ছে আরেক শয়তানি শুরু করবে তারা অর্থাৎ নিজেরা টাকা পাচার করেছে সেই টাকা ফিরিয়ে এনে আরেকটি দুর্নীতি করবে। পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে এনে আবারও লুটপাটের সুযোগ করে দিবে।'
গতকাল রবিবার ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বিএনপি।
তিনি বলেন, ‘এদেরকে (আওয়ামী লীগ) কোনো মতেই বিশ্বাস করা যায় না। এরা বরাবরই প্রতারক দল। জনগণের সঙ্গে বরাবরই প্রতারণা করেছে। এদের কোনো মতেই ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায় না। একদিন থাকলেও আমাদের ক্ষতি।’
সুদূর লন্ডনে বসে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা তারেক রহমানের পক্ষে সম্ভব হবে কী-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, 'অবশ্যই' সম্ভব হবে। কারণ তারেক রহমান সেই রাজনীতি ধারণ করেছেন যে রাজনীতি এ দেশের সমস্ত মানুষের রাজনীতি। দেশের মানুষ এখন হত্যা গুম খুন ধর্ষণ এর থেকে মুক্তি চাই। তখন জিয়াউর রহমান আমাদের যে আদর্শ দিয়ে গেছেন তা দিয়ে অবশ্যই সম্ভব হবে। তা না হলে আমাদের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রায় ৩০ জনের অধিক হাসপাতালে পড়ে আছে কেন, কি পেয়েছে তারা? কি পাচ্ছে? তারা বিশ্বাস করে এই ফ্যাসিবাদীদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে তাই তারেক রহমানের নির্দেশে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।’
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে আলোকবর্তিকা দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের জীবনে ব্যর্থতা নেই। তিনি শহীদ হয়েছেন কিন্তু তার আদর্শ শহীদ হয়নি। তার দেখানো আদর্শে আদর্শিত হয়েই এদেশের মানুষের মুক্তি আসবে। তাই জিয়াউর রহমান সম্পর্কে যে যাই বলুক, খলনায়ক-পাকিস্তানের চর-সামরিক জান্তা থেকে উঠে আসা অক্ষত ব্যক্তি বলুক, তাতে কিছু যায় আসে না। কারণ এই দেশের মানুষের হৃদয়ের মধ্যে তিনি পতিত হয়ে আছেন। যে যতই চেষ্টা করুক কোনমতেই শহীদ জিয়াউর রহমানকে মুছে ফেলা যাবে না। আজকে জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস ধারণ করেছে।’
আজকে দেশের সবচেয়ে বড় সংকট গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বপ্নগুলোকে ভেঙ্গে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে দাবি করে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
আলোচনা সভায় বক্তব্যে রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি'র আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপি নেতা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, খায়রুল কবির খোকন প্রমূখ।