শিরোনামঃ
প্লাস্টিক-পলিথিনের ব্যবহার: নিজের ক্ষতির কথা নিজেদেরই ভাবতে হবে সর্বোচ্চ দুর্নীতি পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইনশৃঙ্খলায়!  দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রীর লাশ উদ্ধার  প্রথমবার হকির যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ  বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি নিয়ে ভ্রমণ সতর্কতা যুক্তরাজ্যের প্রধান উপদেষ্টা কাল সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন হাইকমিশনে হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত বলে ধারণা হয়: ফখরুল বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখবে: প্রণয় ভার্মা 'এক বিজয় করেছো, আরেক বিজয় আসবে’, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা প্রথমবার ট্র্যাভেল পাস নিয়ে সেন্ট মার্টিন গেলেন ৬৫৩ পর্যটক

কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: কায়সারকে জরিমানা, অভিযোগ দিয়ে শুরু সাক্কুর

#
news image

আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মিছিল করায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর্থা চৌমুহনী এলাকায় মিছিল করা অবস্থায় তাকে জরিমানা করেন নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাছরিন সুলতানা। তিনি বলেন, নির্বাচনের আচরণবিধি অমান্য করে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণা করায় ওই প্রার্থীকে জরিমানা করা হয়েছে। সামনে এমন বিধি যেন অমান্য না করেন, সেজন্য তাকে (নিজাম উদ্দিন কায়সার) সতর্ক করেছি। অন্যদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। প্রথম দিনেই পোস্টার ছেঁড়া ও মাইক ভাঙচুরের অভিযোগ করেন তিনি। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর ১২ নং ওয়ার্ডের নানুয়া দিঘীরপাড়ে নিজ বাসবভনের নিচে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি। গত শুক্রবার পছন্দের প্রতীক ‘টেবিল ঘড়ি’ পেলেও গতকাল শনিবার সকাল থেকে প্রচারে বের হন এই স্বতন্ত্র প্রার্থী। দুইবারের মেয়র বলেন, গত শুক্রবার গভীর রাতে নগরীর চকবাজার, কাপড়িয়াপট্টি, দেশওয়ালীপট্টি, রাজগঞ্জ ও কান্দিরপাড় এলাকায় আমার নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে মুখোশধারী কয়েকজন। এ ছাড়া রাতে প্রচার শেষে ফেরার পথে আমার প্রচার মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে নগরীর টিক্কারচর এলাকায়। বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। রিটার্নিং কর্মকর্তা আমাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। আমি লিখিত অভিযোগ দিব। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নাবী চৌধুরী দুপুরে বলেন, এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আরফানুল হক রিফাত ‘নৌকা’, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলামকে ‘হাতপাখা’, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার ‘ঘোড়া’ এবং কুমিল্লা নাগরিক ফোরামের সভাপতি কামরুল আহসান বাবুল ‘হরিণ’ প্রতীকে মেয়র পদে লড়ছেন। প্রার্থীরা টানা ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের শর্ত মেনে প্রচার চালাতে পারবেন। ১৪ জুন অর্থাৎ নির্বাচনের আগের দিন প্রচার চালানো যাবে না। ১৫ জুন সকাল থেকে ১০৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দেবেন নগরবাসী। সাক্কু সকালে নগরীর কাপড়িয়াপট্টি, দেশওয়ালীপট্টি ও কান্দিরপাড় এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য আবারও তাকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। স্বতন্ত্র এ প্রার্থী বলেন, ১০ বছর মেয়রের চেয়ারে ছিলাম। এরপরও মানুষের ভালোবাসা আমার জন্য কমেনি। কারণ, আমি মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করেছি। আশা করছি, নগরীর মানুষ এবারও আমাকে হতাশ করবেন না। কুমিল্লা সিটিতে সর্বশেষ ভোট হয়েছিল ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দায়িত্ব নেওয়ার পর সে বছরের ১৭ মে প্রথম সভা হয়। তাদের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে চলতি বছরের ১৬ মে। সিটি করপোরেশনে মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে এবার তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়ে দেয় গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়া কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দুটি পৌরসভা নিয়ে ২০১১ সালের জুলাই মাসে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর এ পর্যন্ত দুটি নির্বাচন হয়েছে। ১০ বছর আগে প্রথম নির্বাচন নির্দলীয় প্রতীকে হলেও ২০১৭ সালে দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচন হয়। দুই নির্বাচনেই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হয় বিএনপিনেতা সাক্কু। এবারের নির্বাচনে সাক্কু ছাড়াও ‘বিএনপিনেতা’ নিজাম উদ্দিন কায়সার মাঠে রয়েছেন। সাক্কু কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নিজাম উদ্দিন কায়সার মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছিলেন। ১৯ মে মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ার পর স্বতন্ত্রভাবে ভোটে লড়তে একদিকে যেমন দুই নেতাই পদত্যাগের ঘোষণা দেন; ঠিক তেমনি দল থেকে তাদের চিরতরে বহিষ্কারের ঘোষণাও আসে। ২০১২ সালে কুমিল্লার প্রথম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন প্রভাবশালী নেতা আফজল খান নিজে। সেবার তিনি বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কুর কাছে হেরে যান। সাক্কু ৬৫ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। আফজল খান পান ৩৬ হাজার ৪৭১ ভোট। এরপর ২০১৭ সালে মেয়র পদে প্রার্থী হন আফজল খানের মেয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আঞ্জুম সুলতানা সীমা। সে নির্বাচনেও সাক্কু ধানের শীষ প্রতীকে ৬৮ হাজার ৯৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীক নিয়ে সীমা পান ৫৭ হাজার ৮৬৩ ভোট। এবার আফজল পরিবারকে বাদ দিয়ে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অনুগত হিসেবে পরিচিত রিফাতকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করলে বেঁকে বসেন কুমিল্লার ব্যবসায়ী নেতা মাসুদ পারভেজ খান ইমরান। মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিলে ভোটের সমীকরণ জটিল হয়ে পড়ে। পরে অবশ্য কেন্দ্রী নেতাদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে তিনি লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ান। প্রায় ১০ লাখ মানুষের বসবাসের কুমিল্লা পৌরসভা ও সদর দক্ষিণ পৌরসভাকে একীভূত করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা হয় ২০১১ সালের ১০ জুলাই। বর্তমানে সিটি করপোরেশনের আয়তন ৫৩ দশমিক শূন্য ৪ বর্গকিলোমিটার এবং ওয়ার্ড সংখ্যা ২৭। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন ও পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন দুইজন।

কুমিল্লা প্রতিনিধি 

২৯ মে, ২০২২,  1:04 AM

news image

আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মিছিল করায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর্থা চৌমুহনী এলাকায় মিছিল করা অবস্থায় তাকে জরিমানা করেন নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাছরিন সুলতানা। তিনি বলেন, নির্বাচনের আচরণবিধি অমান্য করে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণা করায় ওই প্রার্থীকে জরিমানা করা হয়েছে। সামনে এমন বিধি যেন অমান্য না করেন, সেজন্য তাকে (নিজাম উদ্দিন কায়সার) সতর্ক করেছি। অন্যদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। প্রথম দিনেই পোস্টার ছেঁড়া ও মাইক ভাঙচুরের অভিযোগ করেন তিনি। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর ১২ নং ওয়ার্ডের নানুয়া দিঘীরপাড়ে নিজ বাসবভনের নিচে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি। গত শুক্রবার পছন্দের প্রতীক ‘টেবিল ঘড়ি’ পেলেও গতকাল শনিবার সকাল থেকে প্রচারে বের হন এই স্বতন্ত্র প্রার্থী। দুইবারের মেয়র বলেন, গত শুক্রবার গভীর রাতে নগরীর চকবাজার, কাপড়িয়াপট্টি, দেশওয়ালীপট্টি, রাজগঞ্জ ও কান্দিরপাড় এলাকায় আমার নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে মুখোশধারী কয়েকজন। এ ছাড়া রাতে প্রচার শেষে ফেরার পথে আমার প্রচার মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে নগরীর টিক্কারচর এলাকায়। বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। রিটার্নিং কর্মকর্তা আমাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। আমি লিখিত অভিযোগ দিব। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নাবী চৌধুরী দুপুরে বলেন, এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আরফানুল হক রিফাত ‘নৌকা’, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলামকে ‘হাতপাখা’, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার ‘ঘোড়া’ এবং কুমিল্লা নাগরিক ফোরামের সভাপতি কামরুল আহসান বাবুল ‘হরিণ’ প্রতীকে মেয়র পদে লড়ছেন। প্রার্থীরা টানা ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের শর্ত মেনে প্রচার চালাতে পারবেন। ১৪ জুন অর্থাৎ নির্বাচনের আগের দিন প্রচার চালানো যাবে না। ১৫ জুন সকাল থেকে ১০৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দেবেন নগরবাসী। সাক্কু সকালে নগরীর কাপড়িয়াপট্টি, দেশওয়ালীপট্টি ও কান্দিরপাড় এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য আবারও তাকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। স্বতন্ত্র এ প্রার্থী বলেন, ১০ বছর মেয়রের চেয়ারে ছিলাম। এরপরও মানুষের ভালোবাসা আমার জন্য কমেনি। কারণ, আমি মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করেছি। আশা করছি, নগরীর মানুষ এবারও আমাকে হতাশ করবেন না। কুমিল্লা সিটিতে সর্বশেষ ভোট হয়েছিল ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দায়িত্ব নেওয়ার পর সে বছরের ১৭ মে প্রথম সভা হয়। তাদের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে চলতি বছরের ১৬ মে। সিটি করপোরেশনে মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে এবার তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়ে দেয় গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়া কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দুটি পৌরসভা নিয়ে ২০১১ সালের জুলাই মাসে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর এ পর্যন্ত দুটি নির্বাচন হয়েছে। ১০ বছর আগে প্রথম নির্বাচন নির্দলীয় প্রতীকে হলেও ২০১৭ সালে দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচন হয়। দুই নির্বাচনেই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হয় বিএনপিনেতা সাক্কু। এবারের নির্বাচনে সাক্কু ছাড়াও ‘বিএনপিনেতা’ নিজাম উদ্দিন কায়সার মাঠে রয়েছেন। সাক্কু কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নিজাম উদ্দিন কায়সার মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছিলেন। ১৯ মে মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ার পর স্বতন্ত্রভাবে ভোটে লড়তে একদিকে যেমন দুই নেতাই পদত্যাগের ঘোষণা দেন; ঠিক তেমনি দল থেকে তাদের চিরতরে বহিষ্কারের ঘোষণাও আসে। ২০১২ সালে কুমিল্লার প্রথম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন প্রভাবশালী নেতা আফজল খান নিজে। সেবার তিনি বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কুর কাছে হেরে যান। সাক্কু ৬৫ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। আফজল খান পান ৩৬ হাজার ৪৭১ ভোট। এরপর ২০১৭ সালে মেয়র পদে প্রার্থী হন আফজল খানের মেয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আঞ্জুম সুলতানা সীমা। সে নির্বাচনেও সাক্কু ধানের শীষ প্রতীকে ৬৮ হাজার ৯৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীক নিয়ে সীমা পান ৫৭ হাজার ৮৬৩ ভোট। এবার আফজল পরিবারকে বাদ দিয়ে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অনুগত হিসেবে পরিচিত রিফাতকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করলে বেঁকে বসেন কুমিল্লার ব্যবসায়ী নেতা মাসুদ পারভেজ খান ইমরান। মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিলে ভোটের সমীকরণ জটিল হয়ে পড়ে। পরে অবশ্য কেন্দ্রী নেতাদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে তিনি লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ান। প্রায় ১০ লাখ মানুষের বসবাসের কুমিল্লা পৌরসভা ও সদর দক্ষিণ পৌরসভাকে একীভূত করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা হয় ২০১১ সালের ১০ জুলাই। বর্তমানে সিটি করপোরেশনের আয়তন ৫৩ দশমিক শূন্য ৪ বর্গকিলোমিটার এবং ওয়ার্ড সংখ্যা ২৭। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন ও পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন দুইজন।