প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে
নাগরিক ডেস্ক
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, 11:08 AM
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে
প্রাকৃতিক দুর্যোগকে রোধ করার তেমন কোন উপায় নেই,কিন্তু যথাযথ প্রস্তুতি ও উদ্যোগ গ্রহণের মধ্যদিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক অংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আবহমান কাল ধরে বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হয়ে আসছে। এসব ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যে রয়েছে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, কালবৈশাখী ঝড়, টর্নেডো, নদী-ভাঙ্গন, উপকূল-ভাঙ্গন, খরা, শৈত্যপ্রবাহ ইত্যাদি। দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন-জনিত দুর্যোগে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ।
প্রায় প্রতি বছরই দেখা যায়,বৈশাখ মাস থেকে শুরু হয় কালবৈশাখী আর এতে দেশের মানুষ অবর্ণনীয় ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে প্রতি বছর এ দেশের বিপুল-সংখ্যক মানুষের জীবন, সম্পদ ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি হয়। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়। গত ২০ বছরে বাংলাদেশে ১৮৫টি জলবায়ু পরিবর্তন-জনিত বড় দুর্যোগ আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, পাহাড়-ধসের মতো দুর্যোগ রয়েছে। এসব দুর্যোগে ১১ হাজার ৪৫০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আর অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ৩৭২ কোটি ডলারের। পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বাস্তবতা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগেরমাত্রা ও তীব্রতা দিনদিন বেড়ে চলেছে।
এতে আমাদের ভূমিকা অত্যন্ত নগণ্য হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক বিরূপ প্রভাবের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্য ও ঘনবসতির কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী এলাকার জনসাধারণের জীবন ও জীবিকা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গত ২০২০ সালের ২০ মে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে তীব্র শক্তিতে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। ওই ঘূর্ণিঝড়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা ও এর প্রাদুর্ভাব-জনিত টানা ঝড়বৃষ্টিতে বাংলাদেশে পৌনে দুই লাখ হেক্টরেরও বেশি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ অবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায়ও মনোযোগ বাড়ানো উচিত। প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটি বড় কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে অপরিকল্পিত নারায়ণকে। দুর্যোগে প্রস্তুতি ও মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু গণসচেতনতার অভাবে অনেকে অধিদপ্তর প্রদত্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রতি গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগে জীবনহানি ও বিপুল পরিমাণ জাতীয় সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে। আপৎকালীন আবহাওয়া পূর্বাভাস সম্পর্কে জনগণকে অধিকতর সচেতন করতে পারলে উভয় প্রকার ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
সর্বোপরি, যে কোন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন করতে পারলে যেকোনো দুর্যোগ আমারা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো।
নাগরিক ডেস্ক
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, 11:08 AM
প্রাকৃতিক দুর্যোগকে রোধ করার তেমন কোন উপায় নেই,কিন্তু যথাযথ প্রস্তুতি ও উদ্যোগ গ্রহণের মধ্যদিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক অংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আবহমান কাল ধরে বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হয়ে আসছে। এসব ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যে রয়েছে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, কালবৈশাখী ঝড়, টর্নেডো, নদী-ভাঙ্গন, উপকূল-ভাঙ্গন, খরা, শৈত্যপ্রবাহ ইত্যাদি। দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন-জনিত দুর্যোগে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ।
প্রায় প্রতি বছরই দেখা যায়,বৈশাখ মাস থেকে শুরু হয় কালবৈশাখী আর এতে দেশের মানুষ অবর্ণনীয় ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে প্রতি বছর এ দেশের বিপুল-সংখ্যক মানুষের জীবন, সম্পদ ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি হয়। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়। গত ২০ বছরে বাংলাদেশে ১৮৫টি জলবায়ু পরিবর্তন-জনিত বড় দুর্যোগ আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, পাহাড়-ধসের মতো দুর্যোগ রয়েছে। এসব দুর্যোগে ১১ হাজার ৪৫০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আর অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ৩৭২ কোটি ডলারের। পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বাস্তবতা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগেরমাত্রা ও তীব্রতা দিনদিন বেড়ে চলেছে।
এতে আমাদের ভূমিকা অত্যন্ত নগণ্য হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক বিরূপ প্রভাবের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্য ও ঘনবসতির কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী এলাকার জনসাধারণের জীবন ও জীবিকা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গত ২০২০ সালের ২০ মে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে তীব্র শক্তিতে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। ওই ঘূর্ণিঝড়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা ও এর প্রাদুর্ভাব-জনিত টানা ঝড়বৃষ্টিতে বাংলাদেশে পৌনে দুই লাখ হেক্টরেরও বেশি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ অবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায়ও মনোযোগ বাড়ানো উচিত। প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটি বড় কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে অপরিকল্পিত নারায়ণকে। দুর্যোগে প্রস্তুতি ও মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু গণসচেতনতার অভাবে অনেকে অধিদপ্তর প্রদত্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রতি গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগে জীবনহানি ও বিপুল পরিমাণ জাতীয় সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে। আপৎকালীন আবহাওয়া পূর্বাভাস সম্পর্কে জনগণকে অধিকতর সচেতন করতে পারলে উভয় প্রকার ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
সর্বোপরি, যে কোন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন করতে পারলে যেকোনো দুর্যোগ আমারা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো।