ধংসস্তুপে দাঁড়িয়ে মুশফিক, লিটনের বিশ্ব রেকর্ড
প্রভাতী খবর ডেস্ক
২৪ মে, ২০২২, 1:11 AM
ধংসস্তুপে দাঁড়িয়ে মুশফিক, লিটনের বিশ্ব রেকর্ড
সকালের হঠাৎ কালবৈশাখীর পর রৌদ্রোজ্জ্বল সারা বেলা। সংক্ষেপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটাই ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম দিন। ব্যাট করতে নেমে সকালেই ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছিল দল। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস রেকর্ড জুটি গড়েছেন। ২৭৭ রান তুলে স্বস্তিতে দিন শেষ করেছেন।
নতুন বলে শ্রীলঙ্কার দুই পেসার কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দো আগুন ঝরিয়েছিলেন। তারা দুজন মিলে দিনের খেলার বয়স পৌনে এক ঘণ্টা হওয়ার আগেই তুলে নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। নিন্দুক-সমালোচকরা তখন, কত রানে অলআউট হবে বাংলাদেশ- সেই হিসেব কষতে ব্যস্ত।
অবশ্য ৪২ মিনিটের মধ্যে ৬.৫ ওভারে মাত্র ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর এমন ভাবনা আসাই স্বাভাবিক। ঠিক তখনই সব আশঙ্কা, দুর্ভাবনা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দুজনই হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে গড়েছেন ইতিহাস, দলকে নিয়ে গেছেন নিরাপদ অবস্থানে।
শুধু কি তাই, টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশকে অন্যতম এক সেরা জুটি উপহার দিয়ে দিন শেষে লিটন–মুশফিকের অপরাজিত থাকাই বলে দেয় ব্যাটিংয়ে দলের গভীরতা একেবারে মন্দ নয়। আর তা দেখে যারপরনাই মুগ্ধ বাংলাদেশ দলের দক্ষিন আফ্রিকান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৭৭ রান। ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরিতে মুশফিক ১১৫ ও তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকানো ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে লিটন করেছেন ১৩৫ রান। ইতিহাসগড়া এ অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এসেছে ২৫৩ রান।
টেস্টে ষষ্ঠ উইকেটে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। আর একটি জায়গায় তো রীতিমতো বিশ্ব রেকর্ডই গড়েছেন মুশফিক–লিটন। টেস্টে এত কম রানে ৫ উইকেট পড়ার পর এর চেয়ে বড় জুটি আর হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে এসে লিটন–মুশফিকের জুটি নিয়ে ডমিঙ্গো তাই বলেছেন, ‘অসাধারণ জুটি। কোচ হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে আমার দেখা অন্যতম সেরা জুটি। ২৪ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর অনেক চাপ ছিল। দারুণ লড়াই করেছে দুজন।’
সকালে শুরুটা যে ভালো হয়নি এবং তার পেছনে ব্যাটসম্যানদের শট বাছাইয়ের সমস্যার কথাও বললেন ডমিঙ্গো।
শুরুর উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হবে। রান তোলা যাবে জানিয়ে টস জিতে ব্যাটিং নেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। কিন্তু প্রথম ওভারেই কোন রান না করে প্লেড অন হয়ে ফিরে যান মাহমুদুল জয়। ওই ধাক্কাকে পাত্তা না দিয়ে শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল। রানের খাতা খোলা হয়নি তারও।
ওই বিপদ সামাল দিতে এসে আরও বিপদে দলকে ঠেলে দেন মুমিনুল হক ও নাজমুল শান্ত। অধিনায়ক ৯ বলের মধ্যে দুই চারে ৯ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।
এরপরই ফিরে যান নাজমুল শান্ত। তিনি করেন ৮ রান। ফুল লেন্থের ইন সুইং করা বলে শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন। বাঁ-হাতি তামিম-শান্ত-মুমিনুলরা সুবিধা করতে না পারার পরও উইকেটে পাঠানো হয় বাঁ-হাতি সাকিবকে। তিনি গোল্ডেন ডাক মারেন।
মাহমুদুল ছাড়া বাকি তিনজনের শট বাছাই নিয়ে ধারাভাষ্যকারেরাই প্রশ্ন তোলেন। সকালে বাজে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার ব্যাখ্যা করতে গিয়েও লিটন–মুশফিকের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করলেন ডমিঙ্গো, ‘সকালে আমাদের শুরুটা ভালো হয়নি। শটগুলো বাজে ছিল। কিছু ভালো ডেলিভারিও ছিল। তবে দারুণ দক্ষতায় তারা দুজন শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে আমাদের।’
প্রভাতী খবর ডেস্ক
২৪ মে, ২০২২, 1:11 AM
সকালের হঠাৎ কালবৈশাখীর পর রৌদ্রোজ্জ্বল সারা বেলা। সংক্ষেপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটাই ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম দিন। ব্যাট করতে নেমে সকালেই ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছিল দল। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস রেকর্ড জুটি গড়েছেন। ২৭৭ রান তুলে স্বস্তিতে দিন শেষ করেছেন।
নতুন বলে শ্রীলঙ্কার দুই পেসার কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দো আগুন ঝরিয়েছিলেন। তারা দুজন মিলে দিনের খেলার বয়স পৌনে এক ঘণ্টা হওয়ার আগেই তুলে নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। নিন্দুক-সমালোচকরা তখন, কত রানে অলআউট হবে বাংলাদেশ- সেই হিসেব কষতে ব্যস্ত।
অবশ্য ৪২ মিনিটের মধ্যে ৬.৫ ওভারে মাত্র ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর এমন ভাবনা আসাই স্বাভাবিক। ঠিক তখনই সব আশঙ্কা, দুর্ভাবনা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দুজনই হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে গড়েছেন ইতিহাস, দলকে নিয়ে গেছেন নিরাপদ অবস্থানে।
শুধু কি তাই, টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশকে অন্যতম এক সেরা জুটি উপহার দিয়ে দিন শেষে লিটন–মুশফিকের অপরাজিত থাকাই বলে দেয় ব্যাটিংয়ে দলের গভীরতা একেবারে মন্দ নয়। আর তা দেখে যারপরনাই মুগ্ধ বাংলাদেশ দলের দক্ষিন আফ্রিকান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৭৭ রান। ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরিতে মুশফিক ১১৫ ও তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকানো ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে লিটন করেছেন ১৩৫ রান। ইতিহাসগড়া এ অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এসেছে ২৫৩ রান।
টেস্টে ষষ্ঠ উইকেটে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। আর একটি জায়গায় তো রীতিমতো বিশ্ব রেকর্ডই গড়েছেন মুশফিক–লিটন। টেস্টে এত কম রানে ৫ উইকেট পড়ার পর এর চেয়ে বড় জুটি আর হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে এসে লিটন–মুশফিকের জুটি নিয়ে ডমিঙ্গো তাই বলেছেন, ‘অসাধারণ জুটি। কোচ হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে আমার দেখা অন্যতম সেরা জুটি। ২৪ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর অনেক চাপ ছিল। দারুণ লড়াই করেছে দুজন।’
সকালে শুরুটা যে ভালো হয়নি এবং তার পেছনে ব্যাটসম্যানদের শট বাছাইয়ের সমস্যার কথাও বললেন ডমিঙ্গো।
শুরুর উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হবে। রান তোলা যাবে জানিয়ে টস জিতে ব্যাটিং নেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। কিন্তু প্রথম ওভারেই কোন রান না করে প্লেড অন হয়ে ফিরে যান মাহমুদুল জয়। ওই ধাক্কাকে পাত্তা না দিয়ে শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল। রানের খাতা খোলা হয়নি তারও।
ওই বিপদ সামাল দিতে এসে আরও বিপদে দলকে ঠেলে দেন মুমিনুল হক ও নাজমুল শান্ত। অধিনায়ক ৯ বলের মধ্যে দুই চারে ৯ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।
এরপরই ফিরে যান নাজমুল শান্ত। তিনি করেন ৮ রান। ফুল লেন্থের ইন সুইং করা বলে শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন। বাঁ-হাতি তামিম-শান্ত-মুমিনুলরা সুবিধা করতে না পারার পরও উইকেটে পাঠানো হয় বাঁ-হাতি সাকিবকে। তিনি গোল্ডেন ডাক মারেন।
মাহমুদুল ছাড়া বাকি তিনজনের শট বাছাই নিয়ে ধারাভাষ্যকারেরাই প্রশ্ন তোলেন। সকালে বাজে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার ব্যাখ্যা করতে গিয়েও লিটন–মুশফিকের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করলেন ডমিঙ্গো, ‘সকালে আমাদের শুরুটা ভালো হয়নি। শটগুলো বাজে ছিল। কিছু ভালো ডেলিভারিও ছিল। তবে দারুণ দক্ষতায় তারা দুজন শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে আমাদের।’