দেশের ৪৯ উপজেলায় দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক উন্নয়ণ প্রকল্পে কাজ এগিয়ে চলছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ নভেম্বর, ২০২২, 1:20 AM
দেশের ৪৯ উপজেলায় দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক উন্নয়ণ প্রকল্পে কাজ এগিয়ে চলছে
বরিশাল-ঢাকা ও খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মোট ৪৯টি উপজেলায় ২০৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বরাদ্দে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। এই প্রকল্পটি বর্তমান সরকার বাস্তবায়ন শুরু করে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে উত্তম মৎস্যচাষ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল গড়ে তোলা এই প্রকল্পের মূল্য উদ্দেশ্য।
এছাড়া টেকসই উৎপাদন নিশ্চিতকরণে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং অপ্রচলিত মৎস্যপণ্য শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, খাঁচায় মাছ চাষ, ধানক্ষেতে মাছ চাষ ও স্থানভেদে লাগসই প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই প্রকল্প প্রনয়ণ করা হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পে ৩৯২টি দেশীয় মাছ চাষ, ৩১৪টি পেনে মাছ চাষ, ১০০ ইউনিটে খাঁচায় মাছ চাষ, ৪৯টি ধানক্ষেতে মাছচাষ, ২০টি শামুকের চাষ, ১০০টি ঝিনুকের চাষ, ২০০টি মুক্তা চাষ প্রদর্শনী স্থাপন করা হচ্ছে।
মৎস্যজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ৬ হাজার গ্রুপ গঠন করা হচ্ছে। এর ফলে ৩০ হাজার মৎস্যজীবী বা জেলে সুফল ভোগ করবেন। এদের জন্য মাছ চাষের খাঁচা, পেন, রিক্সা, ভ্যান, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগী, ক্ষুদ্র ব্যবসা, দোকান এবং অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে। মৎস্যজীবী জেলেদের জীবন ধারণের জন্য সহায়তার লক্ষে বৈধ জাল বিনিময় কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৬শত জাল বিতরণ করা হবে এবং ১০০টি ইসসুলেটেড ক্যারেট বক্সসহ ভ্যান সহায়তা দেয়া হবে। ইতোমধ্যেই ১৪৯ জন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ বেকার যুবককে মাঠসহায়ক কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ২০৪ জন নিয়োজিত থাকবেন।
দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আশিকুর রহমান জানান ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জের সব উপজেলা, ফরিদপুরের ২টি, মাদারিপুরের ৪টি, শরিয়তপুরের সব, বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলার সব উপজেলা, ঝালকাঠির সব উপজেলা, পিরোজপুরের সব উপজেলা, বরগুনার সব উপজেলা এবং খুলনা বিভাগের বাগেরহাটের ২টি ও নড়াইলের সব উপজেলা এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। তিনি আশাপ্রকাশ করে বলেন- এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্প অঞ্চলের মাছ চাষে এবং মৎস্যজীবীদের দৈনন্দিন জীবনে এক অকল্পনীয় পরিবর্তন সূচিত হবে।
পিরোজপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শিকদার চান এই প্রকল্পটি সম্পর্কে বলেন ১৬০টি অভয়াশ্রম স্থাপন, ২৪০টি পুন:সংস্কার, ১৯৬টি বিল নার্সারি স্থাপন, ৩০ হেক্টর পুকুর পুন:খনন, ৫০ হেক্টর মৎস্য অভয়াশ্রমের জলাশয় পুন:খননের ফলে এ অঞ্চলে মৎস্য চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে এবং সহ¯্র মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। মাছে-ভাতে বাঙ্গালী প্রবাদ বাক্যটির যথার্থই বাস্তবায়ন হবে যখন এ প্রকল্পের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন অকল্পনীয় বৃদ্ধি পাবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ নভেম্বর, ২০২২, 1:20 AM
বরিশাল-ঢাকা ও খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মোট ৪৯টি উপজেলায় ২০৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বরাদ্দে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। এই প্রকল্পটি বর্তমান সরকার বাস্তবায়ন শুরু করে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে উত্তম মৎস্যচাষ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল গড়ে তোলা এই প্রকল্পের মূল্য উদ্দেশ্য।
এছাড়া টেকসই উৎপাদন নিশ্চিতকরণে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং অপ্রচলিত মৎস্যপণ্য শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, খাঁচায় মাছ চাষ, ধানক্ষেতে মাছ চাষ ও স্থানভেদে লাগসই প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই প্রকল্প প্রনয়ণ করা হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পে ৩৯২টি দেশীয় মাছ চাষ, ৩১৪টি পেনে মাছ চাষ, ১০০ ইউনিটে খাঁচায় মাছ চাষ, ৪৯টি ধানক্ষেতে মাছচাষ, ২০টি শামুকের চাষ, ১০০টি ঝিনুকের চাষ, ২০০টি মুক্তা চাষ প্রদর্শনী স্থাপন করা হচ্ছে।
মৎস্যজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ৬ হাজার গ্রুপ গঠন করা হচ্ছে। এর ফলে ৩০ হাজার মৎস্যজীবী বা জেলে সুফল ভোগ করবেন। এদের জন্য মাছ চাষের খাঁচা, পেন, রিক্সা, ভ্যান, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগী, ক্ষুদ্র ব্যবসা, দোকান এবং অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে। মৎস্যজীবী জেলেদের জীবন ধারণের জন্য সহায়তার লক্ষে বৈধ জাল বিনিময় কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৬শত জাল বিতরণ করা হবে এবং ১০০টি ইসসুলেটেড ক্যারেট বক্সসহ ভ্যান সহায়তা দেয়া হবে। ইতোমধ্যেই ১৪৯ জন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ বেকার যুবককে মাঠসহায়ক কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ২০৪ জন নিয়োজিত থাকবেন।
দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আশিকুর রহমান জানান ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জের সব উপজেলা, ফরিদপুরের ২টি, মাদারিপুরের ৪টি, শরিয়তপুরের সব, বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলার সব উপজেলা, ঝালকাঠির সব উপজেলা, পিরোজপুরের সব উপজেলা, বরগুনার সব উপজেলা এবং খুলনা বিভাগের বাগেরহাটের ২টি ও নড়াইলের সব উপজেলা এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। তিনি আশাপ্রকাশ করে বলেন- এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্প অঞ্চলের মাছ চাষে এবং মৎস্যজীবীদের দৈনন্দিন জীবনে এক অকল্পনীয় পরিবর্তন সূচিত হবে।
পিরোজপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শিকদার চান এই প্রকল্পটি সম্পর্কে বলেন ১৬০টি অভয়াশ্রম স্থাপন, ২৪০টি পুন:সংস্কার, ১৯৬টি বিল নার্সারি স্থাপন, ৩০ হেক্টর পুকুর পুন:খনন, ৫০ হেক্টর মৎস্য অভয়াশ্রমের জলাশয় পুন:খননের ফলে এ অঞ্চলে মৎস্য চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে এবং সহ¯্র মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। মাছে-ভাতে বাঙ্গালী প্রবাদ বাক্যটির যথার্থই বাস্তবায়ন হবে যখন এ প্রকল্পের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন অকল্পনীয় বৃদ্ধি পাবে।