চট্টগ্রামকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের সঙ্গে যুক্ত করে পর্যটন শিল্পের নতুন সম্ভাবনা তৈরি করল ক্রুজশীপ বে ওয়ান

#
news image

সড়ক পথে চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফ এবং সেখান থেকে নৌপথে সেন্টমার্টিন যেতে হত। সব মিলিয়ে ২৮২ কিলোমিটারের যাত্রা পথে ছিল নানা ঝক্কি। সাগর পথে ২৩৬ কিলোমিটার দূরে সেন্টমার্টিন যেতে সেই ঝক্কি ঝামেলা বিগত ২ বছর যাবৎ আর নেই। বরং বাড়তি পাওনা নদী সাগরের বিচিত্র রূপ আর মুগ্ধতা। রাতে সাগর পাড়ি দিয়ে ভোরে প্রবালদ্বীপে সমুদ্রে সূর্যোদয় দেখতে দেখতে সেন্টমার্টিন জেটির অদূরে নোঙ্গর করে ফেলবে এমভি বে-ওয়ান। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ওয়াটার বাসটার্মিনাল থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ছেড়ে শুক্রবার ভোরে সেন্টমার্টিন এবং পরদিন শনিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে সন্ধ্যায় ফেরা।  

রাতের সাগরে মুগ্ধতা জোৎসনার মায়াবি আলোয় জলের নৃত্য। জোৎ¯œা না থাকলেও বিলাসবহুল জাহাজের বুফে বা ট্রেডিশনাল রেঁস্তোরায় বাহারি ডিনার ও লাইভ মিউজিকশোতে গান গাওয়ার সুযোগ অবারিত। অন্যদিকে বেলকনি বা রুফটপে ফুরফুরে বাতাসের আলিঙ্গনে জম্পেস আড্ডায়-গল্পে কখন যে রাতের আঁধার গলে সকাল নামে প্রকৃতির লন্ঠন হাতে, টেরও পাওয়া যায় না। ফিরতি যাত্রায় এবার দিনের আলোয় সাগরের অপরূপ সৌন্দর্য দেখার পালা। চোখে পড়বে গভীর সাগরে ট্রলারে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য। এসব দেখতে দেখতেই কখন যেন দুপুরটা বিকেল হয়ে যাবে। এক সময় সাগরে অস্ত যাবে সূর্য। সাগরে গোধূলী বেলা আর সূর্যাস্তের দৃশ্য এসময় মনে রাখার মত।   

৪০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ৭তলা বিলাসবহুল এই প্রমোদ তরিটি সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশন ও লিফট সুবিধা সম্বলিত। ১৮০০ আসনের জাহাজটিতে সাধারণ চেয়ার থেকে বিলাসবহুল কেবিন, সিভিউ ও রুফটপ বুফেট রেস্তোঁরাসহ একাধিক ট্রেডিশনাল রেস্তোঁরা, আইসক্রিম ও কফিবার, ব্রান্ড শপ সবই আছে। জাহাজ পরিচালনা ও পর্যটকদের সেবা দেয়ার জন্য এতে নাবিক আছেন ১৬৭ জন। এই কোম্পানীর সেন্টমার্টিন ক্রুজে করে সাগরবক্ষ থেকে গোটা প্রবালদ্বীপ, ছেড়াদ্বীপ, ঘোড়াদ্বীপ এবং নয়নাভিরাম সূর্যাস্ত দেখার ব্যবস্থা রয়েছে।

বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিতে হয় বলে আন্তর্জাতিক মানের নৌনিরাপত্তা সম্বলিত এই জাহাজে প্রত্যেক যাত্রীর জন্য রয়েছে লাইফ জ্যাকেট ও জীবনতরীসহ যাবতীয় নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি। বিশেষ করে সাগরে ঢেউ হলে জাহাজের তলদেশে থাকা দুইপাশে দুটিপাখা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে ভারসাম্য রক্ষা করে। ফলে ঢেউয়ের মুখেও জাহাজ দুলতে পারে না।

কক্সবাজারের মত বন্দরনগরী চট্টগ্রামকেও সরাসরি প্রবাল বেষ্টিত সেন্টমার্টিনের সঙ্গে যুক্ত করার মধ্য দিয়ে আরো সম্প্রসারিত হল দেশের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা। ২০২০ পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিনের মধ্যে চালু হয় এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস এবং চট্টগাম-সেন্টমার্টিন পাঁচতারকা মানের বিলাসবহুল জাহাজ এমভি বে ওয়ান। নদীর নাব্যতাসহ বিভিন্ন সংকট মোকাবেলা করে দেশের অন্যতম বৃহৎ কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিঃ ২০২০ সালে ‘কর্ণফুলী ক্রুজলাইনের অধীনে শুরু করে অতি কাক্সিক্ষত ও স্বপ্নের এসব নৌরুটে জাহাজ চলাচল।

অনলাইন ডেস্ক

২৬ অক্টোবর, ২০২২,  8:38 PM

news image

সড়ক পথে চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফ এবং সেখান থেকে নৌপথে সেন্টমার্টিন যেতে হত। সব মিলিয়ে ২৮২ কিলোমিটারের যাত্রা পথে ছিল নানা ঝক্কি। সাগর পথে ২৩৬ কিলোমিটার দূরে সেন্টমার্টিন যেতে সেই ঝক্কি ঝামেলা বিগত ২ বছর যাবৎ আর নেই। বরং বাড়তি পাওনা নদী সাগরের বিচিত্র রূপ আর মুগ্ধতা। রাতে সাগর পাড়ি দিয়ে ভোরে প্রবালদ্বীপে সমুদ্রে সূর্যোদয় দেখতে দেখতে সেন্টমার্টিন জেটির অদূরে নোঙ্গর করে ফেলবে এমভি বে-ওয়ান। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ওয়াটার বাসটার্মিনাল থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ছেড়ে শুক্রবার ভোরে সেন্টমার্টিন এবং পরদিন শনিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে সন্ধ্যায় ফেরা।  

রাতের সাগরে মুগ্ধতা জোৎসনার মায়াবি আলোয় জলের নৃত্য। জোৎ¯œা না থাকলেও বিলাসবহুল জাহাজের বুফে বা ট্রেডিশনাল রেঁস্তোরায় বাহারি ডিনার ও লাইভ মিউজিকশোতে গান গাওয়ার সুযোগ অবারিত। অন্যদিকে বেলকনি বা রুফটপে ফুরফুরে বাতাসের আলিঙ্গনে জম্পেস আড্ডায়-গল্পে কখন যে রাতের আঁধার গলে সকাল নামে প্রকৃতির লন্ঠন হাতে, টেরও পাওয়া যায় না। ফিরতি যাত্রায় এবার দিনের আলোয় সাগরের অপরূপ সৌন্দর্য দেখার পালা। চোখে পড়বে গভীর সাগরে ট্রলারে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য। এসব দেখতে দেখতেই কখন যেন দুপুরটা বিকেল হয়ে যাবে। এক সময় সাগরে অস্ত যাবে সূর্য। সাগরে গোধূলী বেলা আর সূর্যাস্তের দৃশ্য এসময় মনে রাখার মত।   

৪০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ৭তলা বিলাসবহুল এই প্রমোদ তরিটি সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশন ও লিফট সুবিধা সম্বলিত। ১৮০০ আসনের জাহাজটিতে সাধারণ চেয়ার থেকে বিলাসবহুল কেবিন, সিভিউ ও রুফটপ বুফেট রেস্তোঁরাসহ একাধিক ট্রেডিশনাল রেস্তোঁরা, আইসক্রিম ও কফিবার, ব্রান্ড শপ সবই আছে। জাহাজ পরিচালনা ও পর্যটকদের সেবা দেয়ার জন্য এতে নাবিক আছেন ১৬৭ জন। এই কোম্পানীর সেন্টমার্টিন ক্রুজে করে সাগরবক্ষ থেকে গোটা প্রবালদ্বীপ, ছেড়াদ্বীপ, ঘোড়াদ্বীপ এবং নয়নাভিরাম সূর্যাস্ত দেখার ব্যবস্থা রয়েছে।

বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিতে হয় বলে আন্তর্জাতিক মানের নৌনিরাপত্তা সম্বলিত এই জাহাজে প্রত্যেক যাত্রীর জন্য রয়েছে লাইফ জ্যাকেট ও জীবনতরীসহ যাবতীয় নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি। বিশেষ করে সাগরে ঢেউ হলে জাহাজের তলদেশে থাকা দুইপাশে দুটিপাখা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে ভারসাম্য রক্ষা করে। ফলে ঢেউয়ের মুখেও জাহাজ দুলতে পারে না।

কক্সবাজারের মত বন্দরনগরী চট্টগ্রামকেও সরাসরি প্রবাল বেষ্টিত সেন্টমার্টিনের সঙ্গে যুক্ত করার মধ্য দিয়ে আরো সম্প্রসারিত হল দেশের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা। ২০২০ পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিনের মধ্যে চালু হয় এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস এবং চট্টগাম-সেন্টমার্টিন পাঁচতারকা মানের বিলাসবহুল জাহাজ এমভি বে ওয়ান। নদীর নাব্যতাসহ বিভিন্ন সংকট মোকাবেলা করে দেশের অন্যতম বৃহৎ কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিঃ ২০২০ সালে ‘কর্ণফুলী ক্রুজলাইনের অধীনে শুরু করে অতি কাক্সিক্ষত ও স্বপ্নের এসব নৌরুটে জাহাজ চলাচল।