নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে সুন্দরবনের বাঘ গণনা

#
news image

বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের বাঘ (রয়েল বেঙ্গল টাইগার) গণনা নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ও প্রকল্পের পরিচালক ড. আবু নাসের মহসিন। তিনি বলেন, “গত সপ্তাহে বাঘ জরিপের জন্য পরিকল্পনা কমিশন থেকে তিন কোটি টাকা ছাড়ের বিষয়টি অনুমোদন পাওয়া গেছে। এখন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় হতে এক মাস সময় লাগতে পারে। এ অর্থ ছাড় হলেই বাঘ গণনা শুরু হবে।”

তিনি আরও বলেন, “সব কার্যক্রম শেষে নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে জরিপ কাজ শুরু করা সম্ভব হতে পারে। এ লক্ষ্য নিয়েই এখন সার্বিক প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। পুরনো ক্যামেরাগুলোর অবস্থা দেখা হচ্ছে। এ জরিপ কাজের জন্য উপযুক্ত ক্যামেরা খোঁজা হচ্ছে। বাঘ জরিপ কাজের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। এবার নতুন ২০০ ক্যামেরাসহ ৩০০টি স্পটে ক্যামেরা স্থাপন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”

বন বিভাগ থেকে জানা গেছে, সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প অনুমোদন হয় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা রয়েছে ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের একটি অংশে তিন কোটি ২৬ লাখ টাকা দিয়ে বাঘ গণনা করার কথা উল্লেখ আছে।

প্রকল্পের অন্যান্য কাজের মধ্যে রয়েছে- বাঘ যেন লোকালয়ে চলে না আসে সে জন্য জনবসতি রয়েছে এমন ৬০ কিলোমিটার এলাকায় নাইলনের বেড়া দেওয়া, ঘূর্ণিঝড় ও উচ্চ জলোচ্ছ্বাসে বাঘ যেন নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারে সে জন্য বনের মধ্যে ১২টি মাটির কেল্লা নির্মাণ করা, সুন্দরবনে আগুন লাগার প্রবণ এলাকায় দুটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ করা এবং আগুন লাগলে যাতে তাৎক্ষণিকভাবে তা নেভানো যায় সে জন্য যন্ত্রপাতি, পাইপ ও ড্রোন ক্রয়, সুন্দরবনের বাঘ-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে ৪৯টি ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের ৩৪০ জন সদস্য ও চারটি রেঞ্জের কমিউনিটি প্যাট্রল গ্রুপের ১৮৫ জন সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া, পোশাক সরবরাহ ও প্রতি মাসে বনকর্মীদের সঙ্গে মাসিক সভা করা।

উল্লেখ, ২০১৮ সালের জরিপ মতে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্ল্যান (২০০৯-২০১৭) ২০১০ সালের বিশ্ব বাঘ সম্মেলনের অঙ্গীকার, দ্বিতীয় টাইগার অ্যাকশন প্ল্যান (২০১৬-২০২৭) ও গ্লোবাল টাইগার ফোরামের সিদ্ধান্তের আলোকে দেশে বাঘের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ এবং সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ ও এর সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ অক্টোবর, ২০২২,  1:11 AM

news image

বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের বাঘ (রয়েল বেঙ্গল টাইগার) গণনা নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ও প্রকল্পের পরিচালক ড. আবু নাসের মহসিন। তিনি বলেন, “গত সপ্তাহে বাঘ জরিপের জন্য পরিকল্পনা কমিশন থেকে তিন কোটি টাকা ছাড়ের বিষয়টি অনুমোদন পাওয়া গেছে। এখন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় হতে এক মাস সময় লাগতে পারে। এ অর্থ ছাড় হলেই বাঘ গণনা শুরু হবে।”

তিনি আরও বলেন, “সব কার্যক্রম শেষে নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে জরিপ কাজ শুরু করা সম্ভব হতে পারে। এ লক্ষ্য নিয়েই এখন সার্বিক প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। পুরনো ক্যামেরাগুলোর অবস্থা দেখা হচ্ছে। এ জরিপ কাজের জন্য উপযুক্ত ক্যামেরা খোঁজা হচ্ছে। বাঘ জরিপ কাজের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। এবার নতুন ২০০ ক্যামেরাসহ ৩০০টি স্পটে ক্যামেরা স্থাপন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”

বন বিভাগ থেকে জানা গেছে, সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প অনুমোদন হয় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা রয়েছে ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের একটি অংশে তিন কোটি ২৬ লাখ টাকা দিয়ে বাঘ গণনা করার কথা উল্লেখ আছে।

প্রকল্পের অন্যান্য কাজের মধ্যে রয়েছে- বাঘ যেন লোকালয়ে চলে না আসে সে জন্য জনবসতি রয়েছে এমন ৬০ কিলোমিটার এলাকায় নাইলনের বেড়া দেওয়া, ঘূর্ণিঝড় ও উচ্চ জলোচ্ছ্বাসে বাঘ যেন নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারে সে জন্য বনের মধ্যে ১২টি মাটির কেল্লা নির্মাণ করা, সুন্দরবনে আগুন লাগার প্রবণ এলাকায় দুটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ করা এবং আগুন লাগলে যাতে তাৎক্ষণিকভাবে তা নেভানো যায় সে জন্য যন্ত্রপাতি, পাইপ ও ড্রোন ক্রয়, সুন্দরবনের বাঘ-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে ৪৯টি ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের ৩৪০ জন সদস্য ও চারটি রেঞ্জের কমিউনিটি প্যাট্রল গ্রুপের ১৮৫ জন সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া, পোশাক সরবরাহ ও প্রতি মাসে বনকর্মীদের সঙ্গে মাসিক সভা করা।

উল্লেখ, ২০১৮ সালের জরিপ মতে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্ল্যান (২০০৯-২০১৭) ২০১০ সালের বিশ্ব বাঘ সম্মেলনের অঙ্গীকার, দ্বিতীয় টাইগার অ্যাকশন প্ল্যান (২০১৬-২০২৭) ও গ্লোবাল টাইগার ফোরামের সিদ্ধান্তের আলোকে দেশে বাঘের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ এবং সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ ও এর সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়।