‘বার্মিংহাম কাণ্ডে’ নিষিদ্ধ হলেন সোমা ও মৌ
প্রভাতী খবর ডেস্ক
৩০ আগস্ট, ২০২২, 11:29 PM
‘বার্মিংহাম কাণ্ডে’ নিষিদ্ধ হলেন সোমা ও মৌ
সবকিছু এতদিন আড়ালেই ছিল। অবশেষে তা সম্মুখে এলো। বার্মিংহাম কমনওলেথ গেমসের টেবিল টেনিস দ্বৈতে অংশ না নিয়ে লন্ডনে ঘুরতে গিয়েছিলেন সোনম সুলতানা সোমা ও সাদিয়া রহমান মৌ! এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুজনকে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন। ঘটনাটি গত ৫ অগাস্টের। ওই দিন মেয়েদের দ্বৈতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সোমা ও মৌ কোর্টে না নামায় ওয়াকওভার পায় ইংল্যান্ড। বিদায় নেয় বাংলাদেশও। ইংল্যান্ড ম্যাচের আগের দিন অবশ্য চোট পেয়েছিলেন সোমা। এ কারণে দ্বৈতের ম্যাচে তার খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। তবে বাংলাদেশ টিটি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মঙ্গলবার জানাল, ঠিকঠাক চিকিৎসা নিলে সোমা খেলতে পারতেন। “আগের দিন সোমা চোট পাওয়ার পর ওকে আমরা ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। ডাক্তার বলেছিলেন, ঠিকঠাক চিকিৎসা নিলে এবং পুরো বিশ্রাম পেলে সে সেরে উঠবে এবং খেলতে পারবে। সেই অনুযায়ী ওই রাতে আমরা টিম মিটিংও করেছিলাম।” “কিন্তু পরের দিন ম্যাচের আগে সোমা ও মৌ কেউ আমাদের ফোন রিসিভ করেনি। একপর্যায়ে মুঠো বার্তায় জানায়, তারা আশ-পাশেই আছে। কিন্তু যখন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ, ঠিক সেই সময় তারা ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছে লন্ডনে থাকার কথা।” দেশে ফেরার পর গত শনিবার ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের প্রয়োজনে সাড়া না দিয়ে সোমা ও মৌয়ের ঘুরতে যাওয়ার প্রসঙ্গটি ওঠে। সর্বসম্মতিক্রমে দুজনকে ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় দুই বছর এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান জাহাঙ্গীর। “দেখুন, সে যদি অসুস্থ থাকে, তাহলে সে হোটেলে থাকবে, চিকিৎসা নিবে। ইংল্যান্ড ম্যাচের আগেও সোমাকে ডাক্তার দেখবে এবং খেলতে পারবে কিনা, সেটা জানানোর কথা ছিল। কিন্তু তাদেরকে পাওয়াই যায়নি। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের সম্মানহানি হয়েছে।” বার্মিংহামের ওই ঘটনার সময়ই সোমা ও মৌয়ের ব্যাপারে কেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর জানালেন ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের কথা। “দেশের সম্মানহানি করায় তখনই তাদেরকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব এসেছিল, কিন্তু কমনওয়েলথ গেমসের পরপরই ইসলামিক সলিডারিটি গেমস থাকায় করা হয়নি।” বার্মিংহামের আসরে টেবিল টেনিসে পুরুষ দলগত বিভাগে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। আর মেয়েদের এককে জয়ে শুরু পেয়েছিলেন সোমা ও মৌ দুজনেই। তুরস্কের কনিয়াতে হওয়া ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে ৭ অগাস্ট টেবিল টেনিসে মেয়েদের এককে দুই ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছিলেন মৌ। সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে হেরে যান তিনি। প্রথম ম্যাচে বাই পাওয়া সোমা পরের ম্যাচে ক্যামেরুনের হানফু সারাহর কাছে ৩-১ সেটে হেরে যান। দুই খেলোয়াড় অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় পাচ্ছেন। সময়সীমা মঙ্গলবার ফুরাবে বলে জানালেন জাহাঙ্গীর। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ফেডারেশনের কাছ থেকে কোনো চিঠি না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সোমা। “আমাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এ ব্যাপারে আমি কোনো চিঠি এখনও পাইনি। পেলে আমি উত্তর দিব, অভিযোগের বিষয়ে আমার অবস্থান জানাব। তবে, এতটুকু বলতে চাই, আমি এমন কিছু করিনি, যার কারণে আমাকে শাস্তি পেতে হবে।”
প্রভাতী খবর ডেস্ক
৩০ আগস্ট, ২০২২, 11:29 PM
সবকিছু এতদিন আড়ালেই ছিল। অবশেষে তা সম্মুখে এলো। বার্মিংহাম কমনওলেথ গেমসের টেবিল টেনিস দ্বৈতে অংশ না নিয়ে লন্ডনে ঘুরতে গিয়েছিলেন সোনম সুলতানা সোমা ও সাদিয়া রহমান মৌ! এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুজনকে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন। ঘটনাটি গত ৫ অগাস্টের। ওই দিন মেয়েদের দ্বৈতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সোমা ও মৌ কোর্টে না নামায় ওয়াকওভার পায় ইংল্যান্ড। বিদায় নেয় বাংলাদেশও। ইংল্যান্ড ম্যাচের আগের দিন অবশ্য চোট পেয়েছিলেন সোমা। এ কারণে দ্বৈতের ম্যাচে তার খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। তবে বাংলাদেশ টিটি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মঙ্গলবার জানাল, ঠিকঠাক চিকিৎসা নিলে সোমা খেলতে পারতেন। “আগের দিন সোমা চোট পাওয়ার পর ওকে আমরা ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। ডাক্তার বলেছিলেন, ঠিকঠাক চিকিৎসা নিলে এবং পুরো বিশ্রাম পেলে সে সেরে উঠবে এবং খেলতে পারবে। সেই অনুযায়ী ওই রাতে আমরা টিম মিটিংও করেছিলাম।” “কিন্তু পরের দিন ম্যাচের আগে সোমা ও মৌ কেউ আমাদের ফোন রিসিভ করেনি। একপর্যায়ে মুঠো বার্তায় জানায়, তারা আশ-পাশেই আছে। কিন্তু যখন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ, ঠিক সেই সময় তারা ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছে লন্ডনে থাকার কথা।” দেশে ফেরার পর গত শনিবার ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের প্রয়োজনে সাড়া না দিয়ে সোমা ও মৌয়ের ঘুরতে যাওয়ার প্রসঙ্গটি ওঠে। সর্বসম্মতিক্রমে দুজনকে ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় দুই বছর এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান জাহাঙ্গীর। “দেখুন, সে যদি অসুস্থ থাকে, তাহলে সে হোটেলে থাকবে, চিকিৎসা নিবে। ইংল্যান্ড ম্যাচের আগেও সোমাকে ডাক্তার দেখবে এবং খেলতে পারবে কিনা, সেটা জানানোর কথা ছিল। কিন্তু তাদেরকে পাওয়াই যায়নি। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের সম্মানহানি হয়েছে।” বার্মিংহামের ওই ঘটনার সময়ই সোমা ও মৌয়ের ব্যাপারে কেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর জানালেন ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের কথা। “দেশের সম্মানহানি করায় তখনই তাদেরকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব এসেছিল, কিন্তু কমনওয়েলথ গেমসের পরপরই ইসলামিক সলিডারিটি গেমস থাকায় করা হয়নি।” বার্মিংহামের আসরে টেবিল টেনিসে পুরুষ দলগত বিভাগে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। আর মেয়েদের এককে জয়ে শুরু পেয়েছিলেন সোমা ও মৌ দুজনেই। তুরস্কের কনিয়াতে হওয়া ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে ৭ অগাস্ট টেবিল টেনিসে মেয়েদের এককে দুই ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছিলেন মৌ। সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে হেরে যান তিনি। প্রথম ম্যাচে বাই পাওয়া সোমা পরের ম্যাচে ক্যামেরুনের হানফু সারাহর কাছে ৩-১ সেটে হেরে যান। দুই খেলোয়াড় অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় পাচ্ছেন। সময়সীমা মঙ্গলবার ফুরাবে বলে জানালেন জাহাঙ্গীর। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ফেডারেশনের কাছ থেকে কোনো চিঠি না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সোমা। “আমাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এ ব্যাপারে আমি কোনো চিঠি এখনও পাইনি। পেলে আমি উত্তর দিব, অভিযোগের বিষয়ে আমার অবস্থান জানাব। তবে, এতটুকু বলতে চাই, আমি এমন কিছু করিনি, যার কারণে আমাকে শাস্তি পেতে হবে।”