লিভারপুলকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে প্রথম জয় পেলো ইউনাইটেড

#
news image

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সফরকারী লিভারপুলকে ২-১ গোলে পরাজিত করে প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে প্রথম জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। একইসাথে নতুন কোচ এরিক টেন হাগেরও ইউনাইটেড ক্যারিয়ারে এটাই প্রথম লিগ ম্যাচে জয়।
জেডন সানচো ও মার্কোস রাশফোর্ডের দুই গোলে ইউনাইটেডের জয় নিশ্চিত হয়। প্রথম দুই ম্যাচে পরাজয়ের কারনে টেবিলের তলানিতে থেকে সপ্তাহটা শুরু করেছিল ইউনাইটেড। কিন্তু ডাচ ম্যানেজারের অধীনে হাই ভোল্টেজ ম্যাচে আর হতাশ হতে হয়নি রেড ডেভিলসদের। এদিকে নতুন মৌসুমে এখনো জয়ের দেখা পায়নি লিভারপুর। তিন ম্যাচে দুই ড্র আর এক পরাজয়ে মাত্র ২ পয়েন্ট অর্জন করা জার্গেন ক্লপের দলের সামনে শিরোপা জয়ের চ্যালেঞ্জ এখন থেকেই কঠিন হয়ে যাচ্ছে অনেকেই মত দিয়েছেন। যদিও এখনই এ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করা যাচ্ছেনা। 
ইংলিশ লিগের দুই পরাশক্তি যখন মাঠের লড়াইয়ে ব্যস্ত ঠিক তখনই ওল্ড ট্রাফোর্ডের বাইরে ইউনাইটেডের মালিক গ্লেজার পরিবারের বিরোধীতায় সমর্থকরা প্রতিবাদী মিছিল করেছে। গত সপ্তাহে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হবার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও প্রতিবাদে সরব ছিল। এমনকি কালকের ম্যাচটি বয়কটেরও আহবান জানানো হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালের পর লিভারপুলের বিপক্ষে প্রথম জয়ের আনন্দটা অবশ্য তারা মাটি হতে দেয়নি। পুরো ৯০ মিনিট জুড়েই তারা চিৎকার স্লোগান দিয়েছে, ‘গ্লেজার পরিবারের অপসারন চাই।’
ব্রেন্টফোর্ডের কাছে প্রথম ৩৫ মিনিটের মধ্যে চার গোল হজম করেছিল ইউনাইটেড। সেই ম্যাচটি থেকে বেরিয়ে আসাটা খুব একটা সহজ ছিলনা। কিন্তু টেন হাগ তার লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। চার পরিবর্তনের মধ্যে কাল মূল একাদশের বাইরে ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো ও অধিনায়ক হ্যারি ম্যাগুয়েরে। ইউনাইটেডের প্রথম ম্যানেজার হিসেবে প্রায় এক শতকেরও বেশী ম্যাচ পর লিগের দুই ম্যাচে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেয়েছেন টেন হাগ। কিন্তু আয়াক্সের সাবেক এই কোচ নিজেকে আর খাটো করতে দেননি। 
শুরু থেকেই এক অন্যরকম ইউনাইটেডকে কাল মাঠে খুঁজে পেয়েছে সমর্থকরা। এন্থনি এলানগা শুরুতেই গোল পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্কট ম্যাকটোমিনে ও ব্রুনো ফার্নান্দেস থেকে ঘুড়ে আসা পাসে তার কার্লিং শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। রক্ষনভাগের আগোছালো পারফরমেন্স আরো একবার লিভারপুলের খেলার মধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৬ মিনিটে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। এলানগা ও ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের মধ্যে বল আদান প্রদানের মাধ্যমে এলানগা সানচোর দিকে কাট ব্যাক করে দেন। জেমস মিলনারকে মাটিতে ফেলে দিয়ে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান সানচো। 
লিভারপুল বস ক্লপ বলেছেন, ‘ম্যাচের শুরুটা প্রত্যাশিতভাবেই হয়েছিল।  ইউনাইটেড সর্মথকরা এমনটাই প্রত্যাশা করেছিল। আমাদের থেকে কিছুটা হলেও আগ্রাসী হয়ে খেলছিল তারা। প্রথম গোলের পর তারা আরো বেশী আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে, বড় ম্যাচে যা প্রয়োজন।
বর্তমান পারফরমেন্স বিবেচনায় ট্রান্সফার উইন্ডোর শেষ দিনগুলোতে ক্লপের হয়ত মধ্যমাঠে খেলোয়াড় সংযুক্তির বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। ইনজুরির কারনে থিয়াগো আলচানতারা ও নেবি কেইটা দলের বাইরে রয়েছেন। ৩৬ বছর বয়সী মিলনার বয়স প্রমান করেছেন। ৭৫ মিলিয়ণ ইউরোতে দলে আসা স্ট্রাইকার ডারউইন নুনেজ প্রথম ম্যাচে লাল কার্ড দেখে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় রয়েছেন। 
ইউনাইটেডের দ্বিতীয় গোলে লিভারপুলের মধ্যমাঠের দূর্বলতা চরমভাবে ফুটে উঠেছে। জর্ডান হেন্ডারসন মধ্যমাঠে বলের পজিশন হারালে এন্থনি মার্শাল তা ছিনিয়ে নিয়ে রাশফোর্ডের দিকে বাড়িয়ে দেন। আর এই পাসে ব্যবধান দ্বিগুন করতে কোন ভুল করেননি রাশফোর্ড। জানুয়ারির পর এটাই রাশফোর্ডেও প্রথম গোল। রাশফোর্ডের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনাও টেন হাগের অনেকগুলো দায়িত্বের মধ্যে অন্যতম ছিল। ৮১ মিনিটে মোহাম্মদ সালাহর গোলে লিভারপুল কিছুটা আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত তা কাজে আসেনি।

অনলাইন ডেস্ক

২৩ আগস্ট, ২০২২,  9:59 PM

news image

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সফরকারী লিভারপুলকে ২-১ গোলে পরাজিত করে প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে প্রথম জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। একইসাথে নতুন কোচ এরিক টেন হাগেরও ইউনাইটেড ক্যারিয়ারে এটাই প্রথম লিগ ম্যাচে জয়।
জেডন সানচো ও মার্কোস রাশফোর্ডের দুই গোলে ইউনাইটেডের জয় নিশ্চিত হয়। প্রথম দুই ম্যাচে পরাজয়ের কারনে টেবিলের তলানিতে থেকে সপ্তাহটা শুরু করেছিল ইউনাইটেড। কিন্তু ডাচ ম্যানেজারের অধীনে হাই ভোল্টেজ ম্যাচে আর হতাশ হতে হয়নি রেড ডেভিলসদের। এদিকে নতুন মৌসুমে এখনো জয়ের দেখা পায়নি লিভারপুর। তিন ম্যাচে দুই ড্র আর এক পরাজয়ে মাত্র ২ পয়েন্ট অর্জন করা জার্গেন ক্লপের দলের সামনে শিরোপা জয়ের চ্যালেঞ্জ এখন থেকেই কঠিন হয়ে যাচ্ছে অনেকেই মত দিয়েছেন। যদিও এখনই এ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করা যাচ্ছেনা। 
ইংলিশ লিগের দুই পরাশক্তি যখন মাঠের লড়াইয়ে ব্যস্ত ঠিক তখনই ওল্ড ট্রাফোর্ডের বাইরে ইউনাইটেডের মালিক গ্লেজার পরিবারের বিরোধীতায় সমর্থকরা প্রতিবাদী মিছিল করেছে। গত সপ্তাহে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হবার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও প্রতিবাদে সরব ছিল। এমনকি কালকের ম্যাচটি বয়কটেরও আহবান জানানো হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালের পর লিভারপুলের বিপক্ষে প্রথম জয়ের আনন্দটা অবশ্য তারা মাটি হতে দেয়নি। পুরো ৯০ মিনিট জুড়েই তারা চিৎকার স্লোগান দিয়েছে, ‘গ্লেজার পরিবারের অপসারন চাই।’
ব্রেন্টফোর্ডের কাছে প্রথম ৩৫ মিনিটের মধ্যে চার গোল হজম করেছিল ইউনাইটেড। সেই ম্যাচটি থেকে বেরিয়ে আসাটা খুব একটা সহজ ছিলনা। কিন্তু টেন হাগ তার লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। চার পরিবর্তনের মধ্যে কাল মূল একাদশের বাইরে ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো ও অধিনায়ক হ্যারি ম্যাগুয়েরে। ইউনাইটেডের প্রথম ম্যানেজার হিসেবে প্রায় এক শতকেরও বেশী ম্যাচ পর লিগের দুই ম্যাচে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেয়েছেন টেন হাগ। কিন্তু আয়াক্সের সাবেক এই কোচ নিজেকে আর খাটো করতে দেননি। 
শুরু থেকেই এক অন্যরকম ইউনাইটেডকে কাল মাঠে খুঁজে পেয়েছে সমর্থকরা। এন্থনি এলানগা শুরুতেই গোল পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্কট ম্যাকটোমিনে ও ব্রুনো ফার্নান্দেস থেকে ঘুড়ে আসা পাসে তার কার্লিং শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। রক্ষনভাগের আগোছালো পারফরমেন্স আরো একবার লিভারপুলের খেলার মধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৬ মিনিটে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। এলানগা ও ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের মধ্যে বল আদান প্রদানের মাধ্যমে এলানগা সানচোর দিকে কাট ব্যাক করে দেন। জেমস মিলনারকে মাটিতে ফেলে দিয়ে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান সানচো। 
লিভারপুল বস ক্লপ বলেছেন, ‘ম্যাচের শুরুটা প্রত্যাশিতভাবেই হয়েছিল।  ইউনাইটেড সর্মথকরা এমনটাই প্রত্যাশা করেছিল। আমাদের থেকে কিছুটা হলেও আগ্রাসী হয়ে খেলছিল তারা। প্রথম গোলের পর তারা আরো বেশী আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে, বড় ম্যাচে যা প্রয়োজন।
বর্তমান পারফরমেন্স বিবেচনায় ট্রান্সফার উইন্ডোর শেষ দিনগুলোতে ক্লপের হয়ত মধ্যমাঠে খেলোয়াড় সংযুক্তির বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। ইনজুরির কারনে থিয়াগো আলচানতারা ও নেবি কেইটা দলের বাইরে রয়েছেন। ৩৬ বছর বয়সী মিলনার বয়স প্রমান করেছেন। ৭৫ মিলিয়ণ ইউরোতে দলে আসা স্ট্রাইকার ডারউইন নুনেজ প্রথম ম্যাচে লাল কার্ড দেখে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় রয়েছেন। 
ইউনাইটেডের দ্বিতীয় গোলে লিভারপুলের মধ্যমাঠের দূর্বলতা চরমভাবে ফুটে উঠেছে। জর্ডান হেন্ডারসন মধ্যমাঠে বলের পজিশন হারালে এন্থনি মার্শাল তা ছিনিয়ে নিয়ে রাশফোর্ডের দিকে বাড়িয়ে দেন। আর এই পাসে ব্যবধান দ্বিগুন করতে কোন ভুল করেননি রাশফোর্ড। জানুয়ারির পর এটাই রাশফোর্ডেও প্রথম গোল। রাশফোর্ডের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনাও টেন হাগের অনেকগুলো দায়িত্বের মধ্যে অন্যতম ছিল। ৮১ মিনিটে মোহাম্মদ সালাহর গোলে লিভারপুল কিছুটা আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত তা কাজে আসেনি।