আমতলীতে তুচ্ছ ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রকে মারধর
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
১১ এপ্রিল, ২০২২, 7:34 AM
আমতলীতে তুচ্ছ ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রকে মারধর
শিক্ষককে না বলে টিওবয়েলে পানি আনতে যাওয়ার অপরাধে মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুল্লাহ আল ইমামুদ্দিন নামের এক নাজেরা শ্রেনীর ছাত্রকে শিক্ষক আব্দুল হাই মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ছাত্রকে বাবা ওবায়দুল্লাহ গত এক মাস যাবৎ চিকিৎসা করাচ্ছেন। এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে আমতলী থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার পাতাকাটা রহিমিয়া দারুল উলুম ক্বওমী মাদ্রাসায়।
জানাগেছে, উপজেলার পাতাকাটা গ্রামের ওবায়দুল্লার ছেলে আব্দুল্লাহ আল ইমামুদ্দিন দারুল উলুম ক্বওমী মাদ্রাসায় নাজেরা শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। গত ৯ মার্চ রাতে ইমামুদ্দিন শিক্ষক আব্দুল হাইকে না বলে টিওবয়েলে পানি আনতে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুল হাই শিশু ইমামুদ্দিনকে মারধর করে। তার মারধরে শিশুটির কানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। স্বজনরা ১০ মার্চ শিশু ইমামুদ্দিনকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেন। এতে তার অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা শিশুটিকে বরিশাল শেরই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ এসএম মেসবাহ উদ্দিন আহম্মেদের স্বরনাপন্ন হন। গত একমাস ধরে ওই চিকিৎসকের অধিনে তার চিকিৎসা চলছে। এদিকে ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও শিক্ষক মোঃ আব্দুল হাই ছাত্র ইমামুদ্দিনের কোন খোজ খবর নেয়নি। এ ঘটনার শিশুটির বাবা ওবায়দুল্লাহ গতকাল রবিবার বিচার চাইলে গেলে শিক্ষক আব্দুল হাই ও মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা মোঃ রফিক তাকে উল্টো জীবন নাশের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ওবায়দুল্লাহ। এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে শিশুটির বাবা ওবায়দুল্লাহ মাদ্রাসা শিক্ষক ও পরিচালকের নামে আমতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
শিশু আব্দুল্লাহ আল ইমামুদ্দিন কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, হুজুর আব্দুল হাইকে না বলে টিওবয়েলে পানি আনতে গেলে আমাকে মারধর করে কান ফাটিয়ে দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
শিশুটির বাবা ওবায়দুল্লাহ বলেন, আমার ছেলেকে মারধরের বিচার চাইতে গেলে শিক্ষক আব্দুল হাই ও পরিচালক মাওলানা রফিক আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ আব্দুল হাইয়ের সাথে মুঠোফোনে (০১৮২৩৪১২৫২১) যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা রফিক মাদ্রাসা শিক্ষকের মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, শিশুটির চিকিৎসা জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে টাকা দিয়েছি।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রখ/ সাদ্দাম
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
১১ এপ্রিল, ২০২২, 7:34 AM
শিক্ষককে না বলে টিওবয়েলে পানি আনতে যাওয়ার অপরাধে মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুল্লাহ আল ইমামুদ্দিন নামের এক নাজেরা শ্রেনীর ছাত্রকে শিক্ষক আব্দুল হাই মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ছাত্রকে বাবা ওবায়দুল্লাহ গত এক মাস যাবৎ চিকিৎসা করাচ্ছেন। এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে আমতলী থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার পাতাকাটা রহিমিয়া দারুল উলুম ক্বওমী মাদ্রাসায়।
জানাগেছে, উপজেলার পাতাকাটা গ্রামের ওবায়দুল্লার ছেলে আব্দুল্লাহ আল ইমামুদ্দিন দারুল উলুম ক্বওমী মাদ্রাসায় নাজেরা শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। গত ৯ মার্চ রাতে ইমামুদ্দিন শিক্ষক আব্দুল হাইকে না বলে টিওবয়েলে পানি আনতে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুল হাই শিশু ইমামুদ্দিনকে মারধর করে। তার মারধরে শিশুটির কানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। স্বজনরা ১০ মার্চ শিশু ইমামুদ্দিনকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেন। এতে তার অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা শিশুটিকে বরিশাল শেরই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ এসএম মেসবাহ উদ্দিন আহম্মেদের স্বরনাপন্ন হন। গত একমাস ধরে ওই চিকিৎসকের অধিনে তার চিকিৎসা চলছে। এদিকে ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও শিক্ষক মোঃ আব্দুল হাই ছাত্র ইমামুদ্দিনের কোন খোজ খবর নেয়নি। এ ঘটনার শিশুটির বাবা ওবায়দুল্লাহ গতকাল রবিবার বিচার চাইলে গেলে শিক্ষক আব্দুল হাই ও মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা মোঃ রফিক তাকে উল্টো জীবন নাশের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ওবায়দুল্লাহ। এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে শিশুটির বাবা ওবায়দুল্লাহ মাদ্রাসা শিক্ষক ও পরিচালকের নামে আমতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
শিশু আব্দুল্লাহ আল ইমামুদ্দিন কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, হুজুর আব্দুল হাইকে না বলে টিওবয়েলে পানি আনতে গেলে আমাকে মারধর করে কান ফাটিয়ে দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
শিশুটির বাবা ওবায়দুল্লাহ বলেন, আমার ছেলেকে মারধরের বিচার চাইতে গেলে শিক্ষক আব্দুল হাই ও পরিচালক মাওলানা রফিক আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ আব্দুল হাইয়ের সাথে মুঠোফোনে (০১৮২৩৪১২৫২১) যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা রফিক মাদ্রাসা শিক্ষকের মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, শিশুটির চিকিৎসা জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে টাকা দিয়েছি।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রখ/ সাদ্দাম