স্পিন কীভাবে খেলতে হবে সেটা আমরা বুঝি না : মুমিনুল
স্পোর্টস ডেস্ক
১১ এপ্রিল, ২০২২, 6:00 AM
স্পিন কীভাবে খেলতে হবে সেটা আমরা বুঝি না : মুমিনুল
বাংলাদেশকে স্পিনারের অভয় অরণ্য বললে বেশি বলা হবে না। লেগ স্পিনার এক পাশে রাখলে অফ স্পিনার আর বাঁহাতি অর্থোডক্স ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দেশের ক্রিকেটে। জাতীয় দলের পাশাপাশি বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটেও স্পিনারদের রাজত্ব। বলা চলে তৃণমূল থেকে স্পিন খেলেই শীর্ষ পর্যায়ে গেছেন মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিমরা। তবুও এই স্পিন সামলাতে গিয়েই রীতিমত নাকানিচুবানি অবস্থা! দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই স্পিনার কাছে দিশেহারা।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের চার ইনিংসে বাংলাদেশ দল যে ৪০ উইকেট হারিয়েছেন, তার ২৯টি নিয়েছেন দুই স্পিনার কেশভ মহারাজ আর সাইমন হারমার। দুই ম্যাচেই ব্যাট হাতে বিধ্বস্ত সফরকারীরা। ০-২ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুলের জবাব, উঁচু মানের স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে ভালো খেলতে পারেন না তারা।
মুমিনুল বলেন, ‘এটা তো আগে থেকেই সবাই জানে। উঁচু মানের স্পিন বোলিংয়েরে বিপক্ষে আমরা ভালো খেলি না। আমাদের দুয়েক জন ছাড়া আর কেউ স্পিন খুব ভালো খেলে না। স্পিন কোন দিক দিয়ে কীভাবে খেলতে হবে সেটা হয়তো আমরাও বুঝি না। এসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে।’
সঙ্গে যোগ করেন মুমিনুল, ‘আমাদের উইকেট আর এখানকার উইকেটের ভিন্নতা আছে। উপমহাদেশে যারা বোলিং করে তারা সাইড স্পিন করে, যেটা আমাদের দেশে খুব কাজে দেয়। এখানে ওভার হেড স্পিন কার্যকর। আমাদের বোলাররা হয়তো কন্ডিশনের জন্য সাইড স্পিন করে। এখানে এসে ওরা ওভারহেড স্পিন করবে, (এতো সহজ নয়)। ওভারহেড স্পিনের জন্য টেকনিক্যাল পরিবর্তন করতে হয়। তখন তার আগের টেকনিকে সমস্যা হতে পারে। আর ঘরোয়া ক্রিকেটের স্পিনার এবং আন্তর্জাতিক স্পিনারের মানে অনকে পার্থক্য আছে।’
বাংলাদেশ দল টেস্টে পিছিয়ে পড়েছে মূলত ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। ধারাবাহিকতার অভাব যেমন ছিল, তেমনি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাদমান ইসলাম এমনকি খোদ অধিনায়ক মুমিনুলও। পোর্ট এলিজাবেথ টেস্ট ৩৩২ রানে হারের পর অধিনায়কও কাঠগড়ায় তুললেন নিজেদের ব্যাটিং বিভাগকে।
মুমিনুলের ব্যাখ্যা, পরিকল্পনা যা ছিল, হয়তো বাস্তবায়ন ঠিক হয়নি। লড়াই করতে না পারার ব্যাখ্যা একটাই, আমরা খুব বাজে ব্যাটিং করেছি। এটাই, আর কোনো কিছু নাই। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে বলতে গেলে…আমরা আসলে খেলতে পারিনি। হারলেও আগের টেস্টে প্রথম ইনিংসে আমরা দল হিসেবে খুব ভালো ব্যাটিং করেছিলাম। কিন্তু পরের তিন ইনিংসে আমরা এর পুনরাবৃত্তি করতে পারিনি। সেশন বাই সেশন ব্যাটিং করা, লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করা, এই ব্যাপারগুলোতে আমরা পিছিয়ে ছিলাম।’
স্পোর্টস ডেস্ক
১১ এপ্রিল, ২০২২, 6:00 AM
বাংলাদেশকে স্পিনারের অভয় অরণ্য বললে বেশি বলা হবে না। লেগ স্পিনার এক পাশে রাখলে অফ স্পিনার আর বাঁহাতি অর্থোডক্স ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দেশের ক্রিকেটে। জাতীয় দলের পাশাপাশি বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটেও স্পিনারদের রাজত্ব। বলা চলে তৃণমূল থেকে স্পিন খেলেই শীর্ষ পর্যায়ে গেছেন মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিমরা। তবুও এই স্পিন সামলাতে গিয়েই রীতিমত নাকানিচুবানি অবস্থা! দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই স্পিনার কাছে দিশেহারা।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের চার ইনিংসে বাংলাদেশ দল যে ৪০ উইকেট হারিয়েছেন, তার ২৯টি নিয়েছেন দুই স্পিনার কেশভ মহারাজ আর সাইমন হারমার। দুই ম্যাচেই ব্যাট হাতে বিধ্বস্ত সফরকারীরা। ০-২ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুলের জবাব, উঁচু মানের স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে ভালো খেলতে পারেন না তারা।
মুমিনুল বলেন, ‘এটা তো আগে থেকেই সবাই জানে। উঁচু মানের স্পিন বোলিংয়েরে বিপক্ষে আমরা ভালো খেলি না। আমাদের দুয়েক জন ছাড়া আর কেউ স্পিন খুব ভালো খেলে না। স্পিন কোন দিক দিয়ে কীভাবে খেলতে হবে সেটা হয়তো আমরাও বুঝি না। এসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে।’
সঙ্গে যোগ করেন মুমিনুল, ‘আমাদের উইকেট আর এখানকার উইকেটের ভিন্নতা আছে। উপমহাদেশে যারা বোলিং করে তারা সাইড স্পিন করে, যেটা আমাদের দেশে খুব কাজে দেয়। এখানে ওভার হেড স্পিন কার্যকর। আমাদের বোলাররা হয়তো কন্ডিশনের জন্য সাইড স্পিন করে। এখানে এসে ওরা ওভারহেড স্পিন করবে, (এতো সহজ নয়)। ওভারহেড স্পিনের জন্য টেকনিক্যাল পরিবর্তন করতে হয়। তখন তার আগের টেকনিকে সমস্যা হতে পারে। আর ঘরোয়া ক্রিকেটের স্পিনার এবং আন্তর্জাতিক স্পিনারের মানে অনকে পার্থক্য আছে।’
বাংলাদেশ দল টেস্টে পিছিয়ে পড়েছে মূলত ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। ধারাবাহিকতার অভাব যেমন ছিল, তেমনি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাদমান ইসলাম এমনকি খোদ অধিনায়ক মুমিনুলও। পোর্ট এলিজাবেথ টেস্ট ৩৩২ রানে হারের পর অধিনায়কও কাঠগড়ায় তুললেন নিজেদের ব্যাটিং বিভাগকে।
মুমিনুলের ব্যাখ্যা, পরিকল্পনা যা ছিল, হয়তো বাস্তবায়ন ঠিক হয়নি। লড়াই করতে না পারার ব্যাখ্যা একটাই, আমরা খুব বাজে ব্যাটিং করেছি। এটাই, আর কোনো কিছু নাই। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে বলতে গেলে…আমরা আসলে খেলতে পারিনি। হারলেও আগের টেস্টে প্রথম ইনিংসে আমরা দল হিসেবে খুব ভালো ব্যাটিং করেছিলাম। কিন্তু পরের তিন ইনিংসে আমরা এর পুনরাবৃত্তি করতে পারিনি। সেশন বাই সেশন ব্যাটিং করা, লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করা, এই ব্যাপারগুলোতে আমরা পিছিয়ে ছিলাম।’