অর্থ আত্মসাৎ মামলার তদন্তে সাকিবসহ ১৫ জনকে তলব করল দুদক
নাগরিক সংবাদ অনলাইন
২০ নভেম্বর, ২০২৫, 11:59 PM
অর্থ আত্মসাৎ মামলার তদন্তে সাকিবসহ ১৫ জনকে তলব করল দুদক
অর্থ আত্মসাৎ ও শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগে করা মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ মোট ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদক। বৃহস্পতিবার দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে সাকিবকে আগামী ২৬ নভেম্বর ঢাকায় উপস্থিত হয়ে তদন্ত–সংশ্লিষ্ট বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
ঘটনার পটভূমিতে জানা যায়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন, ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণামূলক লেনদেন এবং বাজার কারসাজির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে এমন অভিযোগে গত ১৭ মে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন। অভিযোগে উল্লেখ আছে, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে ফটকা ধাঁচের সিরিজ লেনদেন, প্রতারণামূলক সক্রিয় বাণিজ্য ও জুয়ামূলক পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট শেয়ারের দাম বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার বেশি ক্ষতি করেছেন।
তদন্ত সূত্রে আরও জানা যায়, মামলার ২ নম্বর আসামি হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম রয়েছে। এজাহারে বলা হয়, প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্স ও সোনালী পেপারস লিমিটেডের কারসাজি করা শেয়ারে বিনিয়োগের মাধ্যমে সাকিব প্রতারণামূলক লেনদেনে যুক্ত হয়ে ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বেশি অপরাধলব্ধ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সাকিবের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানের একটি পৃথক প্রক্রিয়াও চলছে এবং সেই সংক্রান্ত তথ্যও ২৬ নভেম্বর গ্রহণ করবে দুদক।
মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে সাকিবের মা শিরিন আক্তার, সমবায় অধিদপ্তরের সাবেক উপনিবন্ধক আবুল খায়ের ওরফে হিরু, তাঁর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানসহ মোট ১৫ জনকে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আবুল খায়ের এবং তাঁর সহযোগীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ এর ১৭ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। তাঁর নামে থাকা ১৭টি ব্যাংক হিসাবে ৫৪২ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া গেছে এবং ক্যাপিটাল গেইনের নামে প্রায় ২৯ কোটি টাকার অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তরের তথ্যও তদন্তে উঠে এসেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলাটি রুজু করা হয়।
দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, তলবকৃত ব্যক্তিরা নির্ধারিত দিনে হাজির হলে মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হবে। বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির পরিমাণ, কারসাজিতে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের ভূমিকা এবং পাওয়া তথ্যের উৎস যাচাই করাই এখন মূল লক্ষ্য।
নাগরিক সংবাদ অনলাইন
২০ নভেম্বর, ২০২৫, 11:59 PM
অর্থ আত্মসাৎ ও শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগে করা মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ মোট ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদক। বৃহস্পতিবার দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে সাকিবকে আগামী ২৬ নভেম্বর ঢাকায় উপস্থিত হয়ে তদন্ত–সংশ্লিষ্ট বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
ঘটনার পটভূমিতে জানা যায়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন, ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণামূলক লেনদেন এবং বাজার কারসাজির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে এমন অভিযোগে গত ১৭ মে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন। অভিযোগে উল্লেখ আছে, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে ফটকা ধাঁচের সিরিজ লেনদেন, প্রতারণামূলক সক্রিয় বাণিজ্য ও জুয়ামূলক পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট শেয়ারের দাম বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার বেশি ক্ষতি করেছেন।
তদন্ত সূত্রে আরও জানা যায়, মামলার ২ নম্বর আসামি হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম রয়েছে। এজাহারে বলা হয়, প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্স ও সোনালী পেপারস লিমিটেডের কারসাজি করা শেয়ারে বিনিয়োগের মাধ্যমে সাকিব প্রতারণামূলক লেনদেনে যুক্ত হয়ে ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বেশি অপরাধলব্ধ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সাকিবের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানের একটি পৃথক প্রক্রিয়াও চলছে এবং সেই সংক্রান্ত তথ্যও ২৬ নভেম্বর গ্রহণ করবে দুদক।
মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে সাকিবের মা শিরিন আক্তার, সমবায় অধিদপ্তরের সাবেক উপনিবন্ধক আবুল খায়ের ওরফে হিরু, তাঁর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানসহ মোট ১৫ জনকে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আবুল খায়ের এবং তাঁর সহযোগীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ এর ১৭ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। তাঁর নামে থাকা ১৭টি ব্যাংক হিসাবে ৫৪২ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া গেছে এবং ক্যাপিটাল গেইনের নামে প্রায় ২৯ কোটি টাকার অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তরের তথ্যও তদন্তে উঠে এসেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলাটি রুজু করা হয়।
দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, তলবকৃত ব্যক্তিরা নির্ধারিত দিনে হাজির হলে মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হবে। বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির পরিমাণ, কারসাজিতে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের ভূমিকা এবং পাওয়া তথ্যের উৎস যাচাই করাই এখন মূল লক্ষ্য।