শিরোনামঃ
ইহুদি জাতির চরিত্র নিয়ে যা লেখে আছে কোরআনে সুদের টাকা মসজিদে দান করা নিয়ে ইসলামে যা বলে ‘ব্ল্যাক উইডো’ চরিত্রে অভিনয় করা নিয়ে যা বললেন জোহানসন বিশ্ববাসীকে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর : তারেক রহমান গল টে‌স্টে দ্রুত রান তুলে বাংলাদেশকে জবাব দি‌চ্ছে শ্রীলঙ্কা সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৪৮ জন, সবচেয়ে বেশি রোগী বরিশালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণ করতে ১ জুলাই থেকে বিশেষ কর্মসূচি পালিত হবে সুইস ব্যাংকে ৩৩ গুণ বেড়েছে বাংলাদেশি আমানত, অর্থ পাচারের নতুন সংকেত? সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করবেন শ্রাবন্তী খ্যাতিমান আইনজীবী এড. তোফাজ্জল হোসেনের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

সুদের টাকা মসজিদে দান করা নিয়ে ইসলামে যা বলে

#
news image

ঋণের বিনিময়ে সুদ গ্রহণ করা জুলুম ও গুরুতর পাপ। আল্লাহ তাআলা কোরআনে সুস্পষ্টভাবে সুদ হারাম ঘোষণা করেছেন। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহ ব্যবসা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। (সুরা বাকারা: ২৭৫) আরেক জায়গায় তাআলা বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্ তাআলাকে ভয় করো এবং সুদের যা অবশিষ্ট রয়েছে তা বর্জন করো যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো। আর যদি তোমরা তা না করো তাহলে আল্লাহ তাআলা ও তার রাসুলের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও। (সুরা বাকারা: ২৭৮, ২৭৯)

আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সুদের সাথে সম্পৃক্ত চার প্রকারের লোককে সমানভাবে দোষী সাব্যস্ত করেন। জাবির ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত তারা বলেন, রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লানত করেন সুদের সাথে সংশ্লিষ্ট চার ব্যক্তিকে। তারা হচ্ছে, সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক ও সুদের সাক্ষীদ্বয়। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, তারা সবাই সমপর্যায়ের দোষী। (সহিহ মুসলিম: ১৫৯৮)

সুতরাং মুসলমানদের জন্য সুদের লেনদেনে জড়িত থাকা হারাম। সুদের টাকা ভোগ করা অর্থাৎ নিজের খাওয়া-পরাসহ যে কোনো কাজে ব্যবহার করা হারাম। সুদের অর্থ কোনোভাবে হাতে এসে গেলে তা সুদাদাতাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। তা সম্ভব না হলে ওই টাকা সওয়াবের নিয়ত না করে জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে দিতে হবে। মসজিদ নির্মাণ বা ব্যবস্থাপনায় অবৈধ সম্পদ বা হারাম সম্পদ ব্যয় করা হারাম। এতে মসজিদকে অপবিত্র করা হয়। তাই সুদের টাকা মসজিদে দান করা যাবে না।

মসজিদ নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা মুসলমানদের দায়িত্ব, যা শুধু মুসলমানদের অর্থে এবং হালাল উপায়ে উপার্জিত অর্থে সম্পন্ন করা আবশ্যক। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, তারা হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সুরা বাকারা: ১৮)

অনলাইন ডেস্ক

২০ জুন, ২০২৫,  5:40 AM

news image

ঋণের বিনিময়ে সুদ গ্রহণ করা জুলুম ও গুরুতর পাপ। আল্লাহ তাআলা কোরআনে সুস্পষ্টভাবে সুদ হারাম ঘোষণা করেছেন। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহ ব্যবসা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। (সুরা বাকারা: ২৭৫) আরেক জায়গায় তাআলা বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্ তাআলাকে ভয় করো এবং সুদের যা অবশিষ্ট রয়েছে তা বর্জন করো যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো। আর যদি তোমরা তা না করো তাহলে আল্লাহ তাআলা ও তার রাসুলের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও। (সুরা বাকারা: ২৭৮, ২৭৯)

আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সুদের সাথে সম্পৃক্ত চার প্রকারের লোককে সমানভাবে দোষী সাব্যস্ত করেন। জাবির ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত তারা বলেন, রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লানত করেন সুদের সাথে সংশ্লিষ্ট চার ব্যক্তিকে। তারা হচ্ছে, সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক ও সুদের সাক্ষীদ্বয়। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, তারা সবাই সমপর্যায়ের দোষী। (সহিহ মুসলিম: ১৫৯৮)

সুতরাং মুসলমানদের জন্য সুদের লেনদেনে জড়িত থাকা হারাম। সুদের টাকা ভোগ করা অর্থাৎ নিজের খাওয়া-পরাসহ যে কোনো কাজে ব্যবহার করা হারাম। সুদের অর্থ কোনোভাবে হাতে এসে গেলে তা সুদাদাতাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। তা সম্ভব না হলে ওই টাকা সওয়াবের নিয়ত না করে জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে দিতে হবে। মসজিদ নির্মাণ বা ব্যবস্থাপনায় অবৈধ সম্পদ বা হারাম সম্পদ ব্যয় করা হারাম। এতে মসজিদকে অপবিত্র করা হয়। তাই সুদের টাকা মসজিদে দান করা যাবে না।

মসজিদ নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা মুসলমানদের দায়িত্ব, যা শুধু মুসলমানদের অর্থে এবং হালাল উপায়ে উপার্জিত অর্থে সম্পন্ন করা আবশ্যক। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, তারা হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সুরা বাকারা: ১৮)