বগুড়ায় ছেলের হাতে মা খুন
নাগরিক নিউজ ডেস্ক
১২ নভেম্বর, ২০২৪, 11:14 PM
বগুড়ায় ছেলের হাতে মা খুন
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ উম্মে সালমা খাতুন (৫০) হত্যার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যাকারী আপন ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান (১৯) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) র্যাবের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১২ সিপিএসসি কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান।
র্যাবের এই কর্মকর্তা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান (১০ নভেম্বর) দুপুরে দুপচাঁচিয়া উপজেলার জয়পুরপাড়া নামক এলাকার আজিজিয়া মঞ্জিল-এ উম্মে সালমা খাতুন (৫০) নামে এক মহিলাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তার দেহ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা হয়। নিহতের স্বামী আজিজুর রহমান (৫৬) যিনি দুপচাঁচিয়া দারুসসুন্নাহ কামিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল এবং উপজেলা মসজিদের খতিব দুপচাঁচিয়া থানা একটি মামলা করেন। আর এই মামলার সূত্র ধরে র্যাব-১২ প্রযুক্তি ও ছায়া তদন্ত করে অভিযান পরিচালনা করে (১২ নভেম্বর) রাতে কাহালু থানার পাঁচপীর এলাকায় থেকে সাদকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন ধরেই হাতখরচের টাকা নিয়ে মা-ছেলের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন সকালে টাকা নিয়ে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সাদ মাদ্রাসায় ক্লাস করতে গিয়ে বিরতির সময় বাসায় ফিরে আসে। তখন তার মা একা বসে কুমড়া কাটছিলেন। সাদ হঠাৎ মায়ের পেছন থেকে নাক-মুখ চেপে ধরে ধস্তাধস্তি শুরু করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ভিকটিমের হাতের তর্জনী আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং সাদ শ্বাসরোধ করে মাকে হত্যা করে। কৌশলে মৃতদেহটি ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে লুকিয়ে রাখে এবং ঘটনাটিকে ডাকাতির নাটক সাজানোর জন্য বাসার আলমারিতে কুড়াল দিয়ে আঘাতের চিহ্ন তৈরি করে। এরপর নিজের বাবাকে ফোন করে মাকে খুঁজে যাচ্ছে না এবং আত্মীয়স্বজনদের ডেকে এনে নিজেই মৃতদেহ উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে দুপচাঁচিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
নাগরিক নিউজ ডেস্ক
১২ নভেম্বর, ২০২৪, 11:14 PM
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ উম্মে সালমা খাতুন (৫০) হত্যার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যাকারী আপন ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান (১৯) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) র্যাবের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১২ সিপিএসসি কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান।
র্যাবের এই কর্মকর্তা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান (১০ নভেম্বর) দুপুরে দুপচাঁচিয়া উপজেলার জয়পুরপাড়া নামক এলাকার আজিজিয়া মঞ্জিল-এ উম্মে সালমা খাতুন (৫০) নামে এক মহিলাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তার দেহ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা হয়। নিহতের স্বামী আজিজুর রহমান (৫৬) যিনি দুপচাঁচিয়া দারুসসুন্নাহ কামিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল এবং উপজেলা মসজিদের খতিব দুপচাঁচিয়া থানা একটি মামলা করেন। আর এই মামলার সূত্র ধরে র্যাব-১২ প্রযুক্তি ও ছায়া তদন্ত করে অভিযান পরিচালনা করে (১২ নভেম্বর) রাতে কাহালু থানার পাঁচপীর এলাকায় থেকে সাদকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন ধরেই হাতখরচের টাকা নিয়ে মা-ছেলের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন সকালে টাকা নিয়ে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সাদ মাদ্রাসায় ক্লাস করতে গিয়ে বিরতির সময় বাসায় ফিরে আসে। তখন তার মা একা বসে কুমড়া কাটছিলেন। সাদ হঠাৎ মায়ের পেছন থেকে নাক-মুখ চেপে ধরে ধস্তাধস্তি শুরু করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ভিকটিমের হাতের তর্জনী আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং সাদ শ্বাসরোধ করে মাকে হত্যা করে। কৌশলে মৃতদেহটি ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে লুকিয়ে রাখে এবং ঘটনাটিকে ডাকাতির নাটক সাজানোর জন্য বাসার আলমারিতে কুড়াল দিয়ে আঘাতের চিহ্ন তৈরি করে। এরপর নিজের বাবাকে ফোন করে মাকে খুঁজে যাচ্ছে না এবং আত্মীয়স্বজনদের ডেকে এনে নিজেই মৃতদেহ উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে দুপচাঁচিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।